আমার মালিক আল্লাহ্‌ তায়ালা | Amar Malik | Lamiya Islam | Holy Messenger | চমৎকার নতুন গজল

Amar Malik Allah Tayala | আমার মালিক আল্লাহ্‌ তায়ালা | Holy Messenger | Lamiya Islam

 আশা করছি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকবেন... 

Subscribe Our channel 

Title: Amar Malik 

Lyric: Abdul Kadir Hawlader 

Tune : Joynul Abedin Ekatto 

Singer: Lamiya islam Original Singer:Joynal Abedin Ekatto 

Record :Abs Tune Studio (01922424316) 

Sound Design: Wali Ullah

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিউয়ারস, উন্নত এবং সুন্দর ভিডিও মেকিং এর জন্য স্পন্সর এবং ডোনেশন একটা ফ্যাক্ট। আয়োজনগুলো তৈরিতে এর শুন্যতা ভীষণ। আল্লাহর রহমত, নিজেদের প্রচেষ্টা এবং আপনাদের অব্যাহত ভালোবাসায় আমাদের এগিয়ে চলা। আশাকরি, আপনার সুযোগ থাকলে ভিডিও তৈরিতে স্পন্সর করে এ পথচলাকে বেগবান করবেন, ইনশাআল্লাহ।

অসাধারণ একটি গজল । বেশি ভাল লাগতেছে। may Allah blessing to you. awesome voice & amazing Lamiya Islam. আরো ছোট যখন ছিল তখন বোরকা ছিল মুখ ঢাকা ছিল এখন তো বড় হয়েছে আর মুখ খুলে সংগীত পরিবেশন করছে। সত্যি অসাধারণ যা কল্পনা করা যায় না। এই কন্ঠ আল্লাহ পাকের নিয়ামত। বেশি বেশি শুকরিয়া করবেন। মাশা-আল্লাহ মনোমুগ্ধকর হয়েছে প্রিয় বোন দোয়া রইলো আরোও এগিয়ে যাও শুভ কামনা তোমার জন্য

মাশাআললাহ খুবই চমৎকার একটা গজল উপহার দেয়ার জন্য স্যার আবুবকর এবং শিল্পী লামিয়া ইসলাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন এই শুভকামনা রইলো মাশাআল্লাহ প্রিয় বোনের গজলটি খুব ভালো লাগলো বোন শুভ কামনা রইল এগিয়ে যান অসিমিত আপনার চ্যানেল এর ভিডিও গুলা সব সময় শুনি ওনেক ভালো লাগে, বিশেষ করে লামিয়ার গজল গুলা অসাধারণ

এবিএস টিউনের কাজগুলো আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়। অডিও এবং ভিডিও সবটাই মনমুগ্ধকর। Truly Lamia sings a lot. I like ghazal very much. Mashallah, let's go ahead, ABS tune, let's go ahead, dear sister. লামিয়ার কন্ঠ এন্ড সাউন্ড কম্পোজ মাশাল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে এগিয়ে যাও লামিয় দোয়া রইলো | ভিডিও টি খুব সুন্দর লাগলো ভাইয়া রা আমার মতো কেকে জান্নাতে যেতে ইচ্ছুক? আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে জান্নাত দান করেন।

 

লামিয়ার মুখ থেকে যে গজল গুলোই শুনি সবগুলো যেন নতুন নতুন লাগে, আল্লাহর এক অসাধারন নিয়ামত লামিয়ার কন্ঠ..

খাবার টেবিলে রিফাত বলে উঠলো,
-ভাইয়া ,ভাবি কোথায় ?বিয়ের সময়ও তো দেখলাম না।
আমি নিশ্চুপ হয়ে থাকলাম
-ওর কথা বাদ দাও আমার হয়ে উত্তর দিলো সানজানা
-কেন ,কি হয়েছে, উনি কি অসুস্থ?
-ও অসুস্থ না কিন্তু আমাদেরকে অসুস্থ করবে ও একটা অপয়া, হয়তো তোমার দিকে তাকাবে তারপর তোমার একটা কিছু হয়ে যাবে, আমি এসব একদম চাইনা।
আমার মাথায় রক্ত উঠে গেলো, খাবারের প্লেটটা ধাক্কা দিয়ে আমি উঠে চলে গেলাম।
রুমে ফিরে দেখলাম মৌ কাঁদছে, মানে পুরোটাই ও শুনেছে। আমি মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
-রিফাতকে দেখতে ছবির মতোই?
-হ্যাঁ আমি এককথায় উত্তর দিলাম
-সানজানা ওকে খুব ভালবাসে তাই না ?
আমি ঘাড় নেড়ে সায় দিলাম। একটা দীর্ঘশ্বাস এর শব্দ শুনতে পেলাম, খুব খারাপ লাগছিল।
আনুমানিক রাত সাড়ে বারোটার দিকে ফোন এলো হসপিটাল থেকে। সানজানা আর রিফাত ফিরে যাবার পথে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, অ্যাক্সিডেন্টে সানজানার তেমন একটা কিছু হয়নি কিন্তু রিফাতের অবস্থা খুব খারাপ। আমরা সবাই ছুটে গেলাম, সানজানা হসপিটালের মেঝেতে বসে আকুল হয়ে কাঁদছে, রাতটা ছিল ভয়াবহ, যেন শত সহস্র বছর দূরে ভোর। ভোর হলো, সূর্য উঠলো কিন্তু রিফাত চলে গেলো। সানজানা হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মতো কাঁদতে লাগলো।
ওকে নিয়ে এলাম আমাদের বাড়িতে, মাত্র পনেরো দিনের সংসার আমার বোনের। কিন্তু কেমন যেন হয়ে গেছে, উল্টাপাল্টা কথা বলে, অনেক সময় চিনতে পারেনা। একজন ডাক্তারও দেখালাম, উনি বললেন হঠাৎ পাওয়া শক থেকে এরকম করছে, সবাই মিলে সময় দিলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু সানজানা নিজেকে একলা রুমে সবসময় বন্দী করে রাখে। খাওয়ার সময় অনেক ডাকাডাকি করে দরজা খুলতে হয়।
খাবারের টেবিলে বসে ক্রমাগত মা মৌকে গালিগালাজ করে যাচ্ছিলেন।
এই প্রথম মৌ কথা বললো,
-মা আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?
-তোমার চোখে লাগে না, তুমি আসার আগে আমার সংসার টা কি ছিল আর এখন আমার সংসারটা কি হয়েছে? আমাকে বিধবা করেছো আমার মেয়েটাকে বিধবা করেছো আর কি চাও তুমি?
-মা তুমি চুপ করবে? মাঝখান থেকে আমি বলে উঠলাম
-তুই চুপ কর, জিজ্ঞেস কর তোর বউকে কি চায়? আর কি দিলে ওর মন ভরবে আর কতটা খেলে ওর মন ভরবে? এই বলছিস না কেন তুই, ডাইনী কোথাকার ,কি চাস বল এখন বলবি, মা কেমন যেন পাগলের মত করছিলো।
-আমি চাই আপনি খাবার টা শেষ করুন আর চুপ করুন, কানে বড্ড লাগছে।
-লাথি মারি তোর ওই খাবারে আমি, মা চেয়ারটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে রেখে চলে গেলো।
-আমি খুবই দুঃখিত মৌ, বুঝতেই পারছো সানজানার এই অবস্থায় মায়ের মাথা ঠিক নেই, প্লিজ কিছু মনে করো না। আমি মাকে গিয়ে বুঝাচ্ছি, তিনি ঠিক বুঝবেন আমি খাবার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম।
-খাবার শেষ করো, সকালে না হয় কথা বলো এখন উনি রেগে আছেন ।মৌ আমার হাত শক্ত করে ধরলো, আসলেই তো , আমি আবার বসে গেলাম।
সকাল বেলা মা নাস্তার টেবিলে আসলো না, জানি মৌ গিয়ে ডাকলে মা রেগে যাবে তাই নিজেই উঠে গেলাম। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর মা দরজা খুললেন না, বাধ্য হয়ে দরজা ভাঙতে হলো। চোখের সামনে দেখলাম আমার মা মাটিতে পড়ে আছে। ড্রাইভার এর সাহায্যে ধরাধরি করে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছালাম, বেঁচে আছে আমার মা কিন্তু খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থা। অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে, ডাক্তার বললেন উনার ব্রেইন হেমারেজ হয়েছে সোজা ভাষায় যেটাকে বলে স্ট্রোক। আর আপনারা আনতে অনেক দেরি করেছেন খুব সম্ভবত উনি রাতেই স্ট্রোক করেছেন। আমার মায়ের বামপাশ পুরোপুরি প্যারালাইসিস হয়ে গেল আর কথা বলাও বন্ধ হয়ে গেলো।
এক বিকেলে সূর্য যখন অস্তগামী হঠাৎ আমার মনে পরলো মৌ মাকে শেষ কথাটা খাবার টেবিলে বলেছিলো আমি চাই আপনি চুপ করুন, এর মানে কি? সেই রাতে ও আমার হাত ধরে আটকেছিলো যেন মায়ের ঘরে না যাই, বিয়েতে বাবার মত ছিল না, সেই রাতেই বাবার হার্ট অ্যাটাক হলো কারণ কি, বাবা সারাজীবন খুব healthy life lead করেছেন। রাতের সুনসান নিরবতায় free road এ রিফাত কেন এক্সিডেন্ট করবে? আমার মাথায় অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরছিল।
কাঁধে হাতের স্পর্শ পেলাম, চা হাতে মৌ, কেমন একটা উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে আমরা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি।
- কোন প্রশ্ন করো না আর কোন উত্তর খুঁজতে যেও না, অপয়া ভেবো না, ভালোবাসি তোমাকে, তোমার কোন ক্ষতি হোক চাই না। হিমশীতল চোখে মৌ আমার দিকে তাকিয়ে আছে, ওর এই চোখ আমি আগে কখনো দেখিনি । প্রচন্ড ভয়ের একটা স্রোত যেন আমার শিড়দাড়া বেয়ে নেমে গেলো।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url