X Akhon Vabi | এক্স এখন ভাবী | Shamim Hasan Sarkar | Ahona Rahman | Khan Atik | Mohin Khan

 
#মায়া
সূচনা পর্ব
লেখিকা : কাজল

 
আজ প্রায় ৭ বছর হতে চললো আবির নতুন সংসার পেতেছে , তার নাকি ফুটফুটে এক মেয়ে আছে সুন্দরী বউ বড়লোক শ্বশুরবাড়ি , আবিরের স্ত্রী জিনিয়া বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ার তাদের চৌধুরী জুয়েলার্স এর একমাত্র দাবিদার এখন আবির, কি সুন্দর জীবন তার ৭ বছর আগে সে চৌধুরী জুয়েলার্স এর এক সামান্য বেতনের কর্মচারী ছিলো সে, বেতন সামান্য হলেও বেশ ভালোই চলছিল কিন্তু । 
 
আবিরের সংসারে ও আর ওর মা এইতো সংসার এখানে সামান্য বেতনে দুবেলা ভালোভাবে খাওয়া পরার অভাব ছিলো না যেমন সুন্দর চলছিলো জীবন তেমন সুন্দর ভাবেই চলতো আরেকটা বাড়তি মানুষ এলে মোটেও আবিরকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো না কেননা যে মেয়েটি আবিরের সংসারে আসার স্বপ্ন সাজিয়েছিল নিজে দুই চোখে সেই মেয়েটি স্বনির্ভর ছিলো। আবিরের থেকে কিছু বেশি টাকা মাইনে একটা ভালো চাকরি করতো সে । 
 
আবিরের সঙ্গে সম্পর্কটা তার সেই ১৬ বছর বয়স থেকে আবির তখন সবে ১৯ এর , আবির তখন চৌধুরী জুয়েলার্স এ কাজ পায়নি সে একটা হোটেলের খাবার ডেলিভারির কাজ করতো , পড়াশুনার মাঝামাঝি সে এই কাজটা করতো অনেক কষ্টে ম্যানেজার কে বুঝিয়ে সুজিয়ে সে এই কাজ টা পেয়েছে , আবির সকালে ৭-১০:৩০ টা অবধি ৩ টে টিউশনি করাতো মোটামুটি একটা বেতন সে পেতো তারপর বার8 গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে কলেজে আসতো ওর ১১ টা থেকে ৪ টে অবধি ক্লাস চলতো তারপর সোজা হোটেলে চলে যেতো সেখানে ৪:৩০ টা থেকে রাত ১১ টা অবধি ডিউটি করে বাড়ি ফিরে খেয়ে ঘুমোতে ঘুমোতে ১২ টা বেজে যেত , পরদিন সকাল ৬ টায় উঠে বাজার সেরে তারপর সে পড়াতে যেতো, আসলে আবিরের মা নীলিমা দেবীর বয়স হয়েছে তো তাই তিনি বাড়ির কাজগুলোই শুধু কোনো রকমে সামলান । 
 
এভাবেই চলতে চলতে কোনো এক দিন রাতে ও যখন খাবার ডেলিভারি করতে গেলো রাত প্রায় ১০:৩০ টা, কলিং বেল চাপতেই কিছুক্ষণ বাদে একটি মেয়ে এসে দরজা খুলে দিলো মেয়েটির হাতে বই ছিলো সে পড়ছিলো এক নজর আবিরের দিকে তাকিয়ে ইশারা করলো খাবারটা ভেতরে এসে রাখতে আর টাকাটা টেবিলে আছে নিয়ে যেতে আবির তাই করলো আর বেরিয়ে এলে মেয়েটি দরজা বন্ধ করে দিলো। 
 
আবির সেদিনের পর থেকে উঠতে বসতে খেতে শুতে শয়নে স্বপনে নিদ্রায় জাগরণে যেনো কেবল ওই মেয়েটিকেই দেখতে লাগলো , আর পর সেই বাড়ি থেকে আর কোনো অর্ডার আসেনি কিংবা এলেই সেখানে খাবার পৌঁছে দেবার দায়িত্ব আবিরের ওপর পড়েনি তাই সেই মেয়েকে দেখার সৌভাগ্য আবিরের আর হয়নি কিন্তু আবির জানে না কেনো কিসের টানে সে মাঝে মাঝেই ওই এলাকা দিয়ে চক্কর লাগতো কিন্তু ওর সেই দেবী সরস্বতীর দেখা আর পায়নি । পাবেই বা কি করে সে কি আর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তার যে জীবনে পড়াশুনা ছাড়া আর কিছু নেই । 
 
আবিরে যখন কলেজের ফাইনাল ইয়ার হঠাৎ একদিন কলেজে সে তার সরস্বতীর দেখা পেয়ে গেলো , প্রথমটায় ভাবলো ও হয়তো ভুল দেখছে কিন্তু পরমুহূর্তেই ওর ভুল ভেঙে গেলো যখন মেয়েটি এসে জিজ্ঞেস করলো প্রথম বর্ষের ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট টা কোন দিকে , সরস্বতী দেবী কি তবে তাদেরই কলেজ ভর্তি হয়েছে । এরপর রোজ দেখা হতো ওদের যদিও মেয়েটি কখনোই একবারের জন্যও আবিরের দিকে তাকায়নি কিন্তু আবির যেনো নিয়ম করে তাকে দেখেই যেতো রোজ। 
 
প্রথমদিকে মেয়েটির কোনো বন্ধু বান্ধব না থাকেলও পরবর্তীতে ওর একটি ভালো বান্ধবী হয়েছিলো আর তারপর থেকে সে বইপত্র থেকে মুখ তুলে তার বান্ধবী সঙ্গীতার সাথে মাঝে মাঝে ক্যান্টিনে আড্ডা দিতো ক্যাম্পাসে বসে গল্পঃ করতো । 
 
একদিন আবির ভাবলো সাহস করে গিয়ে আজ কথা বলি দেবী সরস্বতীর সঙ্গে অন্তত নাম টা তো জানা যাবে , যেই ভাবা সেই কাজ যেহেতু সে সিনিয়র ছিলো তাই খুব দাপটের সাথেই গিয়ে দাঁড়ালো ওদের সামনে । মায়া খুব সহজ ভাবে জিজ্ঞেস করলো আপনি কি কিছু বলবেন , সঙ্গীত হঠাৎ বলে উঠলো আরে আবির দা কিছু বলবে দাড়িয়ে কেনো বসো না । মায়া জিজ্ঞেস করলো তুই কু চিনিস ওনাকে তোর কি পরিচিত । 
 
সঙ্গীত কিছু বলতে যাবে আবির ওকে থামিয়ে দিয়ে নিজে বলতে শুরু করে ..তুমি 1st ইয়ারের ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী না যে প্রথম দিন আমাকে জিজ্ঞেস করছিলে তোমার ক্লাস কোনদিকে আর এখন আমায় চিনতেই পারছো না । যাইহোক কলেজ ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করতে আসে সবাইকে যে চিনে রাখতে হবে তার কোনো মানে নেই আমি নিজেই আমার পরিচয় দিচ্ছি আমি আবির তোমাদের সিনিয়র এবছর আমার ফাইন্যাল তোমার নাম টা জানা হয়নি এখনও তোমায় নাম কি । 
 
ওর কেমন যেনো ভালো লাগলো আবিরের কথা বলার ভঙ্গিমা , ও তো জানতো সিনিয়র মানেই তো বেশ রোয়াব দেখিয়ে হম্বিতম্বি করা কিন্তু এই ছেলেটা তেমন নয়, সঙ্গীতা ওকে ঝাকিয়ে বললেন কিরে আবিরদা নাম জিজ্ঞেস করছে বল।
আমার নাম মায়া ।
 
আর কোনো কথা বলার সুযোগ হয়নি সেদিন ক্লাস থাকায় সঙ্গীতা মায়াকে টেনে নিয়ে চলে আসে সেখান থেকে । আর আবির সে আপন মনে বলতে লাগলো হায়রে মায়া কি মায়ার জড়ালে আমায় তোমায় এই মোহোমায়া থেকে কারোর সাধ্য নেই আমায় বাঁচায় । আবিরের যেনো ইচ্ছে করছিলো পড়ায় ফাঁকি দিয়ে সে মায়ার সঙ্গে এখানেই থেকে যায় কিন্তু তার যে দায়িত্ব আছে মা কে ভালো রাখার । 
 
কেটে গেলো কয়েকটা দিন সেই নিয়ম মাফিক যেমনটা কাটছিলো কিন্তু পরিবর্তন শুধু এইটুকু যে আগে শুধু আবির মায়াকে দেখতো এখন ছুতোয় নাতায় মায়াও যেনো আবিরকে সব সময় দেখতে চাইতো।
 
হঠাৎ একদিন রাতে আবির সকল কাজকর্ম সেরে খাওয়া সেরে ঘুমোতে গেলে হঠাৎ ওর ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে ফোনটা রিসিভ করে আবির জিজ্ঞেস করলো কে বলছেন কোনো রকম ভনিতা কোনো রকম জড়তা নয় খুব সোজা সাপটা ভাবেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো মায়া বলছি আবির যেনো নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলো না সে আবার জিজ্ঞেস করে কে বলছেন ..আমি মায়া বলছি আপনি কি আবির
হ্যাঁ..
 
আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো...
আবির যেনো কিছুই বুঝতে পারছে না তাই সে বলে বসলো পড়াশুনার বিষয়ে কি কোনো সাহায্য লাগবে তোমার ?
 
না আমি পড়াশুনাতে যথেষ্ঠ ভালো ক্লাসে টিচাররা যতোটা সাহায্য করেন আমার তাতেই হয়ে যায় অন্য বিষয়ে কথা বলার আছে ..
বেশ বলো কি বলবে ...
ফোনে নয় আগামীকাল কি আপনি আমার সঙ্গে একা কোথাও দেখা করতে পারবেন তাহলে সেখানে বলতাম ....
 
ঠিক আছে অনেক রাত হয়ে গেছে এবার ঘুমিয়ে পর কাল দেখা করছি বোলো কি বলার আছে ...
ঠিক আছে good night..
Good night.
 
পরের দিন কলেজ শেষে মায়া সঙ্গীতাকে চলে যেতে বলে নিজে ক্যাম্পাসেই রয়ে গেলো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আবির সেখানে এসে মায়াকে বললো বলো কি বলবে মায়া যখন আবিরের দিকে তাকালো আবিরের যেনো শক লাগলো । মায়ার চোখের ভাষা এ কি বলছে মায়ার কাজল কালো দুটি চোখ সে কোনো ভুল দেখছে না তো তার ঘোর কাটিয়ে মায়া বলে উঠলো 
 
আমি কয়েকটা কথা বলবো খুব সহজ ভাবে আর আপনি আমার কথার মাঝে একটাও কথা বলবেন না আমার কথার শেষে আপনাকে বলার সুযোগ দেওয়া হবে তখন যা বলার আপনি বলবেন ....
এবার মায়া বলতে শুরু করলো সত্যি কথা বলতে প্রথম যেদিন আমি আপনার সঙ্গে কথা বলেছিলাম সেদিন আমি আপনাকে খেয়াল করিনি তাই আপনি যেদিন আমার সাথে আলাপ করতে এসেছিলেন সেদিন আমি আপনাকে চিনতে পারিনি । কিন্তু সেদিন আপনি যখন আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন আমি মুগ্ধ হয়ে আপনার কথা শুনছিলাম । 
 
আমার ভীষন ভালো লেগেছিলো আপনার কথা গুলো এরপর থেকে আমি কেমন যেনো apnar প্রতি কোনো এক অজানা মায়ার আবদ্ধ হয়ে গেছি , সেদিনের পর থেকে আপনাকে না দেখলে আমার আর ভালো লাগতো না আপনাকে একটা বার দেখার জন্য কতোনা ছুতো খুঁজেছি আপনার কথা শুনবো বলে আপনার আশে পাশে ঘুরঘুর করেছি আমি জানিনা আপনি আমাকে খেয়াল করেছেন কিনা করার কোনো কথাও নেই আর আমি সেইরকম আসাও রাখিনি , 
 
কিন্তু আমার কেমন যেনো দমবন্ধ লাগতো আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য ছটফট করতাম অনেক কষ্টে আপনার নাম্বার টা জোগাড় করে আপনাকে কাল রাতে ফোন করেছিলাম আর আমি তার আগেই বুঝে গেছিলাম নিজের মনকে তাই ঠিক যে মুহূর্তে আমি আমার মনকে বুঝতে পারলাম তখনই ঠিক করলাম আপনাকে সবটা জানাবো কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনার জবাব কি হবে তাও আমি জানি না আর সেটা নিয়ে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন ও নেই আমি শুধু আপনাকে জানাতে চাই আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি আমি খুব নিশ্চিন্ত আমি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি আবির । 
 
এই কথাগুলো মায়া আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো এবং কথা শেষ করে সে আবিরকে বললো এবার আপনার কিছু বলার থাকলে আপনি বলুন...

চলবে -------------
 
===================================
 
,,,,,,,,,,,,,,,,,রহস্য গল্প,,,,,,
,,,,,,,,,,,খুনের পরিকল্পনা,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রাকিব হাসান,,,,,,
 
জয়া কাপের অর্ধেক চা শেষ করে ফেলেছে। অবশেষে আমি সাকসেক। এই চায়ে মিশিয়ে দিয়েছি আর্সেনিক আর পটাশিয়াম সায়ানাইড। পৃথিবীর তীব্রতর বিষ। ময়নাতদন্ত করলেও বুঝতে পারবে না এটা একটা মার্ডার। পটাশিয়াম সায়ানাইড জাস্ট হার্টকে ব্লক করে এট্যাক এনে দেয়। সবাই জানবে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে জয়া।
 
জয়া আমার স্ত্রী। ওকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু নীতুকে বোদহয় আরও বেশি ভালোবাসি। নীতুর সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। তারপর প্রেম ভালোবাসা সব হয়েছে। এখন বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে নীতু। জয়াকে ডিভোর্স দেওয়া সম্ভব নয়। আমার এই বাড়ি গাড়ি সবই তো জয়ার। এজন্যই অনেক ভেবে প্লান করেছি। সাপ মরবে লাঠি ভাংঙ্গবে না। তাছাড়া জয়ার বাবা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা এত সহজে ছাড়বে না৷ তাই এমন ব্যবস্থা করে খুন করছি কেউ বুঝতেই পারবে না। চা শেষ করে বড়জোর ২ মিনিট সময় পাবে৷ তারপরই হার্ট তার কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে পটাশিয়াম সায়ানাইড এর প্রভাবে। 
 
আমি চা শেষ করে কাপটা রাখতেই ভীষণভাবে চমকে উঠতে বাধ্য হই। এই কাপেই তো জয়ার জন্য সায়ানাইড দিয়েছি। কাপ বদল হল কিভাবে! জয়াকে জিজ্ঞেস করতেই বললো ভুল করে আমার কাপে চিনি দিয়েছে তাই কাপ বদল করেছে। তারমানে আমি শেষ আজ। ১ মিনিট আর এই দুনিয়াতে আমার। কার কাছ থেকে বিদায় নিব? না যাকে পাবার জন্য মরতে চলেছি তার কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে।
মেসেঞ্জারে ডুকতেই নীতুর মেসেজ,,,
 
Sorry Bro,,, I am a boy,,,, Just kidding with you,,,😂😂😂,,
আমার এখন কি করা উচিত?
যার পরামর্শ ভালো লাগবে তার জন্য পুরস্কার এর ব্যবস্থা আছে,,,
==========================================
 
#blackmagic
 
ছবির এই পুতুলটা সম্প্রতি কুয়েতের এক সমুদ্রের তীর পরিষ্কার করার সময় পাওয়া গেসে!! এই ছবিগুলা গত ৪ঠা জুলাই কুয়েত ভিত্তিক একটা টুইটার একাউন্ট থেকে পোষ্ট করা হয়।
 
এইধরণের ব্ল্যাক ম্যাজিক সাধারণত করা হয় কাউকে হত্যার । অর্থাৎ পুতুলটি যতদিন সাগরে অক্ষত থাকবে ততদিন টার্গেট ব্যক্তিটি কষ্ট করতে থাকবেন। যখন এটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে তখন ঐ ব্যক্তিটিও মারা যাবেন।
 
এই ধরনের কাজ যারা করে এবং করায় তারা উভয়েই কাফের ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী। এদেরকে যারা কাফের বলবে না তারাও কাফের। এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার কোন উপায় কোরআন-হাদিসে নেই।
 
সুতরাং, কেউ পূর্বে এই ধরণের কাজ করলে বা করিয়ে থাকলে তাকে পুনরায় নতুন করে কালেমা পড়ে মুসলমান হতেই হবে ; তাছাড়া বিকল্প কোন পথঘাট নেই।
এসব কালো জাদু,তাবিজ করে অন্যের ক্ষতি করে,
 
কত সুখের সংসার আর নিষ্পাপ জীবন এদের দ্বারা নষ্ট হয়ে গেছে আল্লাহু আলম!
আল্লাহ আমাদেরকে এই ধরণের ভয়াবহ কুফুরি থেকে রক্ষা করুন। আমিন !
=====================================
 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url