আজি মনে মনে লাগে হোরী কবি: কাজী নজরুল ইসলাম || Aji mone mone lage hori ... KAJI NAZRUL ISLAM




আজি মনে মনে লাগে হোরী 
আজি বনে বনে জাগে হোরী।। 
ঝাঁঝর করতাল খরতালে বাজে 
বাজে কংকন চুড়ি মৃদুল আওয়াজে 
লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে 
প্রেম-উল্লাসে শ্যামল গৌরী।। 
আজি কদম্ব তমাল রঙ্গে লালে লাল 
হলো কৃষ্ণ ভ্রমর ভ্রমরী 
রঙ্গের উজান চলে কালো যমুনার জলে 
আবীর রাঙ্গা হলো ময়ূর-ময়ূরী।। 
মোর হৃদি বৃন্দাবন যেন রাঙে 
রাধা শ্যাম যুগল চরণ রাগে 
ও চরণ ধূলি যেন ফাগ হ’য়ে মেশে রে 
অন্তরে পড়ে মোর ঝরি’।।
!!!!
খাটের নিচ থেকে পেত্নিটা বেরিয়ে এসে স্বজুরে আমাকে মেরে বসলো এক থাপ্পর - আমি তো হতভাগার মতো দাড়িয়ে রইলাম----
অনেক আগে একটা পেত্নীর সাথে প্রেম ছিল, তারপর আবার প্রেত্নীর প্রেমে ছ্যাকাও খেয়েছি।
অতীত নিয়ে আর না ভেবে সাধারন ভাবেই সিঙ্গেল লাইফ নিয়েই গড়িয়ে গড়িয়ে হামাগুড়ি দিয়ে জিবন কাটাচ্ছিলাম, বেশ ভালোই চলছে।
প্রায় চার মাস হয়ে গেলো গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়না,
তাই এবার গ্রামের বাড়ি চলে গেলাম -
এবার সময়টা কেমন যেনো লাগছে,, অন্যরকম লাগছে ঠিক আগের মতো না -
গ্রামের ছেলে বেলার বন্ধুরা সবাই সবার মতো ব্যাস্ত যার যার কাজে,,, তাই তেমন কারো সাথে সময় কাটানোর মতো কোন উপায় নেই।
বাড়িতে প্রথম যেদিন পা রাখি সেদিন ই কেমন যেনো গা ছমছমক করছিলো,, আর লক্ষ্যে করে দেখলাম বাড়ির পিছেন বাশঁ গাছ গুলো বিনা বাতাসেই দুলছিলো-
ঘরে ডুকে দেখি ঘরটা কেমন পরিত্যক্ত ঘর হয়ে আছে।
ঘর এর দেওয়াল এ মাকড়শা বাসা বেধেছে,, চার পাশের সব কিছুর গায়ে ধুলা বালি লেগে আছে।
রাত হয়ে গেলো কোথাও বের হলাম না আর ঘর থেকে,,
কারন কেও নেই আড্ডা দেওয়ার মতো -
মনে পড়ে গেল সেই পুরনো অতীতের কথা,, বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম,, -
শুয়ে শুয়ে এসব অতীত ভাবতেই মনে পড়ে গেল সেই
অতিতের প্রেমিকা,, প্রেত্নী মারিয়ার কথা,,,
তার সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা এতো দিন ভূলে থাকলেও আজ কেনো জানি মনে পড়লো আবার,,,
তাই কল্পনার জগতে ডুব দিলাম মারিয়াকে নিয়ে,,,
হঠাৎ কারে মেয়েলি কন্ঠে কান্নার শব্দ পেলাম,, কে জেনো কান্না করছে,,
কোথা থেকে কান্নার শব্দ আসছে,, দেখলাম খাটের নিচে থেকে কান্নার শব্দ আসছে।
খাটের নিচে উকি দিয়ে দেখলাম বিভস্য কালো চিক চিকে চেহারার পেত্নী, সম্পুর্ন উলঙ্গ হয়ে, কনকনে শীতে কাপছেঁ।
আমি আবার এসব পেত্নী দেখে ভয় পাই না, সাধে কি আর পেত্নীর জামাই হয়ছি,,,।
এসব পেত্নীর সাথে প্রেম করা আমার অনেক দিনের অভিঙ্গতা।
কিন্তু কথা হলো এই পেত্নীর কান্না শুনে মেজাজ খুব খারাপ হচ্ছে,,
কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করেই যাচ্ছে।
আমি বললাম কিরে পেত্নী সমস্যা কি তর ঘ্যান ঘ্যান করা বন্ধ করবি। একটু শান্তিতে ঘুমাতে দে।
কিন্তু কিছুই মানছে না, পেত্নীটা,,
ধমক দিয়ে বললাম,,পেত্নী মেরি মা, এবার একটু থাম কান্না টা বন্ধ কর, বলতো কি চাস,
কথা বলে না সালার পেত্নী,,,
আমি বললাম বিস্কুট আছে খাবি এই নে খা।
ওরে আল্লাহ পেত্নীর দেখি বেজাই রাগ আমার মুখে বিস্কুট ছুরে মারে।
আচ্ছা বল কি চাস।
পেত্নী) আমি খাটে ঘুমিবো,, খাটের নিচে অনেক ঠান্ডা,,
আমার খুব শীত লাগছে।
আমি বললাম তাহলে আমি কোথায় ঘুমাবো,,,?
পেত্নী) তুমি মাটিতে ঘুমাও,,,
আমি) বাহ পেত্নী বাহ ঘর আমার খাট আমার আর আমি ঘুমাবো মাটিতে।
পেত্নী) নাহ, এই ঘর আমার তর না,
আমি) চাপাবাজি বন্ধ করে বের হ ঘর থেকে না হলে দিমু একটা।
পেত্নী খাটের নিচে থেকে উঠে এসেই আমাকে ঠাস করে মেরে দিলো এক থাপ্পর।
আমি তো পুরাই টাসকি খেয়ে গেলাম,,, পেত্নীর সাথে বাধলো এবার তুমূল ঝগড়া,, ঝগড়া শেষে সিধান্ত হলো দুজনেই খাটে থাকবো।
বেচারা পেত্নীর চাপে আমি সাইমন নিরুপায় হয়ে থাকলাম,,,
চুপচাপ শুয়ে আছি, একটু পরে দেখলাম বিছার মধ্যে কে জেনো গরম পানি ঢেলে দিছে,,,
হাত দিয়ে দেখি পুরো বিছানা ভিজে গেছে,,
কিন্তু এমন বৃষ্চি গন্ধ কেনো,,,
পেত্নী কি তাহলে হিসু করছে 🥴.....?
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url