Konna Re | Shan | Bangla new song 2017
Konna Re | Shan | Bangla new song 2017
আজ মাসের ৩ তারিখ। আমাদের থাইল্যান্ড যাবার দিন। বেলা এখন এগারটা, আমাদের ফ্লাইট বিকাল তিনটায়। আমার ভিসা করা হয় নি, করা হয়েছে দুইটা। আমি গাড়িতে করে রিনি আর জামিলকে পাঠিয়ে দিলাম। আমি বসে আছি নিজের রুমে। রকিং চেয়ারে বসে বসে সিগারেট টানছি। সব কিছু গুছানো শেষ মোটামুটি। রিনি এখনও ব্যাপারটা জানে না। জামিল খুব ভালভাবে কাজটা করতে পেরেছে। রিনি আর জামিল থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে আসুক, ফিরে আসলে আসবে, না আসলে ওখানে পালিয়ে থাকবে। আমার সেটা দেখার বিষয় না। ওরা ওদের ব্যাপার বুঝবে। মতিউর হামজা প্রতিদিন ভোরে জগিং এ বের হন, একটা নির্জন জায়গা বুঝে টুক করে মেরে দিল জামিল। আমার পিস্তলটা দিয়ে, চারটা গুলি মেরেছে জামিল।
লাশটা নিয়ে রেখেছে পাশের একটা আন্ডার কন্সট্রাকশনের বিল্ডিং এ। এখনও লাশ খুঁজে পাওয়া যায় নি। খুঁজে পেলে খুনী খোঁজা শুরু হবে। সন্দেহ প্রথমে যাবে, মতিউর হামজার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধীদের দিকে। সত্যিটা যদি খুঁজেও পায়, তাও তা যাবে জামিলের দিকে। আমি কাল থানায় যাব। জামিলের বিরুদ্ধে রিনিকে নিয়ে পালিয়ে যাবার একটা ডায়েরী করব। আমি চাই না, জামিল ফিরে আসুক দেশে। পালিয়ে বেড়াক এখানে ওখানে, রিনিকে সাথে নিয়ে। আমি শিখিয়ে দিয়েছি, কীভাবে পালিয়ে বেড়াতে হবে। যদি জামিল ধরা পড়ে, আমার কথা যদি বলে, পুলিশ তা বিশ্বাস করবে না। আমার বিয়ে করা বউটা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া লোক, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিতেই পারে।
জামিল খুব ভালভাবেই বুঝে গিয়েছিল, রিনিকে পেতে হলে ওর মতিউর হামজাকে সড়াতে হবে। আমি বুঝিয়েছি জামিলকে। জামিল বুঝিয়েছে রিনিকে ওরা দুজনে দুজনের মত থাকবে। রিনি জামিল থাইল্যান্ড চলে গেল। আমি দেশে রইলাম, আমার রেহনুমার কাছে। যে রেহনুমাকে আমি ভালবাসতাম। আমাদের সমবয়সী প্রেম হুট করেই ছিনিয়ে নিয়েছিল মতিউর হামজা। রেহনুমাদের বাসায় প্রস্তাব পাঠায়, রেহনুমার বাবা মা ভয়ে রাজী হয়ে যায়। রেহনুমা ভয়ে বলে না, ও কাউকে ভালবাসে। আমাকে ভালবাসত রেহনুমা। আমার ক্ষতি হোক চাইতো না। রেহনুমাকে অত্যাচার করত মতিউর হামজা, রেহনুমা তা সহ্য করত। চুপ করেই মেনে নিত।
আমার মতিউর হামজার প্রতি রাগ ছিল, ক্ষোভ ছিল তা হুট করে মিটিয়ে দিলাম, রিনিকে বিয়ে করে, জামিলকে দিয়ে। আমার ভিতর অসুখটা আছে আমি জানি, আমি আমার জিনিস চাই, যখন হোক, যেভাবে হোক, যে করেই হোক। আমি যা করি আমার কাছে তা সত্য, অন্য কার কী হল ভাবার সময় আমার নেই।
কলিং বেল বেজে উঠল। রেহনুমা চলে এসেছে। আমার ভালবাসা, যার জন্য আমার এতো দিনের অপেক্ষা। আমি দরজা খুলে দিলাম। চমকে উঠলাম আমি। আমার সামনে জামিল দাঁড়িয়ে। জামিলের হাতে আমার দেয়া পিস্তলটা। জামিল আলতো করে একটা হাসি দিল। আমি জানি, জামিলের হাতের পিস্তলে আরও দুইটা গুলি আছে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ঔষধ একাক জনের একাক রকম।
আর আমার হলো রক্ত। অন্য সময় আমি ঠান্ডা কিন্তু মাথায় একবার রাগ উঠে গেলে নিজেকেই চিনি না৷ অন্যদিন মাথা গরম হয়ে গেলে পশুদের মেরে তাদের রক্ত দেখে নিজেকে ঠান্ডা করতাম। কিন্তু ২ দিন আগে মাথা এতো গরম হয়েছিল যে মানুষের রক্ত না দেখলে মাথা ঠান্ডাই হচ্ছিল না। তাই সেদিনই প্রথম মানুষ খুন করলাম। ভাবলাম আপনাদের সাথে সেটা শিয়ের করি। সাবধান 


মেয়েটাকে তুলে আনতে আমার মোটামুটি ভালোই কষ্ট হয়েছিল কারন আমার বয়স তো বেশি না তাই। তো তাকে তুলে আনছিলাম রাত ১২টার দিকে এনে রাখছিলাম আমারই রুমে৷ তো ১ টা থেকে শুরু করলাম আমার মজা। তখন সে জ্ঞানেই ছিল।
যাতে সে চিৎকার না করতে পারে তাই সুই সুতা দিয়ে ভালো করে শেলাই করলাম। তার ঠোট থেকে পড় রক্ত দেখে খুবই ভালো লাগছিলো। তারপর মুখে মোমবাতির গলিত মোম ঢেলে দিলাম যাতে করে কোনো শব্দ ই বাইরে না যায়। তারপর
সুন্দর করে এক এক করে তার নখ গুলো তুলতে থাকলাম। যেটা করতে আমার খুবই ভালো লাগছিলো।
নখ গুলো তুলতে তুলতে দেখি মেয়েটা জ্ঞান হারিয়েছে। তারপর চুল গুলো তুলে ফেললাম একটা একটা করে। দারুণ রক্ত বের হচ্ছিল। এরপর আঙ্গুল গুলোকে একটা একটা করে টুকরো টুকরো করলাম। তখন না মেয়েটাকে একেবারে অন্যরকম লাগছিল দেখতে। ততক্ষণে মনে হয় মেয়েটা মারা গিছে। এরপর মেয়েটার জামা কাপড় খুলে ফেললাম। তারপর তার স্তন দুটো কেটে ফেললাম সুন্দর করে। এতো মজা লাগছিলো এগুলো করতে তা আর কি বলবো।
এরপর নজর দিলাম তার উপরের দিকে। আস্তে আস্তে তার চোখ দুটো বের করে আনলাম। খুবই সুন্দর দেখতে। এরপর কান দুইটা কেটে ছুড়ে ফেলে দিলাম দূরে। এরপর ছুরি দিয়ে তার চামড়া ছাড়াতে ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। খুব যত্ন সহকারে তার সমস্ত শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নিলাম। এখন তাকে দেখতে অপূর্ব এক সুন্দরী মনে হচ্ছিল। এর পর তার গায়ের মাংসগুলো কাটার পালা। খুবই ধীরে ধীরে সেটা করতে থাকলাম। অবশেষে শেষ হলো আমার মিশন। আজ আমি খুবই খুশি। আজকের মতো এতো আনন্দ কোনো দিন পাই নাই৷
না না আরো কিছু বলা আপনাদের ঠিক হবে না। যেটা বলেছি সেটাই অনেক। এটা কথাও থেকে দেখে বা শুনে লেখা নয়।
আমার আড়ালে থাকার আসল কারন টা আশা করি সবাই বুঝতে পারিছেন।
............ সমাপ্ত,,,,,,,