Firey Ashi Bar Bar | Afran Nisho | Tanjin Tisha | Bangla Natok | বাংলা নাটক

ফিজিক্যাল এবিউজ ❌🚫❌
এক আপুর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা,,
 
#ঘটনা_১ জয়েন ফ্যামিলি থাকায় চাচাতো ফুফাতো ভাই বোন সব এক সাথে ছিলাম। তখন থ্রি/ফোরে পড়ি। ৯ বছরের বড় চাচাতো ভাই ২/১ বার বব্ধ রুমে আমার গোপ*** সাথে তার গোপ** ঘসতো। ফুফাতো ভাইও সেম কাজ করার চেষ্টা করতো। কিন্তু আমার দাদী আমার ব্যাপারে খুব কঠোর হওয়ায় কেউই আর সফল হয় নাই। যদিও ঐ বয়সে এটা আমার কাছে একটা খেলাই মনে হইছে৷ কিন্তু এখন খুব হীনমন্যতায় ভুগি। ফুফাতো ভাই কিছু করতে না পারায় খুব বাজে ইঙ্গিত করতো ক্লাস নাইন অব্দি। এখনো তার ক্যারেক্টর খারাপ।
 
#ঘটনা_২ লঞ্চে শেষ রাত্রে ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় কেউ একজন পেছন থেকে এসে চুমু দেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু আমি ধাক্কা দেয়ায় পরে দৌড় দেয়। তখন ক্লাস টেনে পড়তাম।
 
#ঘটনা_৩ এসএসসির পর খালার বাসায় বেড়াতে গেছি, খালাতো ভাই ইশারা ইংগিতে অনেক কিছু বুঝাতো। আমি এড়ায়া গেছি। যদিও আমি তাকে মনে মনে পছন্দ করতাম কিন্তু হঠাৎ একদিন সে লুংগি খুলে দাড়ায়া গেছে৷ আমি এতই অবাক হইছি যে তার দিকে ফিরেও তাকাই নি আর কোন রিয়্যাক্টও করতে পারি নি। সে যখন দেখছে আমার মধ্যে কোন পজেটিভ রিয়াকশন নাই তখন সে চলে গেছে, এরপর থেকে তার জন্য মন থেকেই ঘৃনা আসে। এখন মনে হয় সেদিন বড় বাচা বেচে গেছিলাম।
 
#ঘটনা_৪ ইন্টারে বেস্ট ফ্রেন্ডের (ছেলে) সাথে রিকশায় আসার সময় হঠাৎ গালে চুমু দেয়। এইজন্য ওর সাথে অনেক বছর যোগাযোগ রাখিনি। ও অবস্য অনেক বার মাফ চাইছে। কিন্তু আমি মন থেকে আজো ক্ষমা করতে পারি নি।এর পর থেকে কোন ছেলেকেই আর ফ্রেন্ড তো দূর, নিজের ফোন নাম্বারও কাউকে দেই নি।
 
#ঘটনা_৫ অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে ভাই ভাবীর সাথে কক্সবাজারে সাগরে গোসলের সময় কেউ একজন বুকে চাপ দেয়। ওত মানুষের ভীরে আর খুজে পাই নি।
আসলে বেশির ভাগ মেয়েরাই ফ্যামিলিতেই এবিউজ হয় বেশি।এত বছর পর মনের কথা বলতে পারায় একটু হালকা লাগছে।খুব ফ্রি মাইন্ডেড ছিলাম। তাই হয়তো কাছের মানুষরাই আঘাত করে বেশি।আম্মুর থেকে দাদী বেশি এলার্ট ছিলেন। তাই অনেক সময় অনেকের নজর থেকে বেচে ফিরছি।
আমার দুই ছেলে। এখন নিজের ছেলেদের নিয়াও ভয়ে আছি, কাউকে এবিউজ করলো না তো!!! কাউকে টিজিং করলো না তো!!!
===============00======================00===============
#বিপদ
#অনুগল্প
#তানিশা_লাবন্য

 
একবার করোনাতে খুব বিপদে পড়েছিলাম স্বামীর চাকরি নেই। ৫ হাজার টাকার খুব প্রয়োজন ছিল। ৮-১০ দনের মধ্যে হয়ে যেত। অনেক জায়গায় খুজেছি পাইনি। শেষ এ এক ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। ফেসবুকে ৪-৫ বছরের পরিচয় ছিল আমার থেকে ছোট, আপু আপু বলে ডাকত।আমিও ছোট ভাইয়ের মত কথা বার্তা বলতাম।ছেলেটা বিদেশ থাকত ভাবলাম বলে দেখি এত বছরের পরিচয় হয়ত হেল্প করবে৷ তাকে বলার পর রাজি হল দিবে। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া জানালাম নামাজে আল্লাহ বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে ভেবে আর ওই ছেলের জন্য মন ভরে দোয়া করলাম। 
 
দুইদিন যাওয়ার পর ছেলেটা টাকা দিল না ভাবলাম হয়ত ব্যাস্ত ছিল। তিনদিনের দিন ছেলেটা রাতে কল দিল আমি রিসিভ করলাম। তখন ছেলেটা বলে রাতে তাকে একটু সময় দিতে হবে।আমি অবাক হলাম কি সময় দিব?? তখন বলে আরে আপু একটু জরুরি কথা ছিল।আমি ও ভাবলাম হবে হয়ত তাই রাত ১১ টায় কল দেয়ার পর রিসিভ করলাম তখন বুঝলাম ছেলেটা বাজে কথা বলার জন্য কল দিয়েছে। আমি অবাক যাকে ছোট ভাই ভাবতাম আজকে সে এসব কথা বলছে!!!! আমি তাকে ধমক দিলাম এক পর্যায়ে সে বলে টাকা কি মাগনা দিব???একটু কথা বলবেন এতে কি??? আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। আমি ৮ দিনের ধার হিসেবে নিতে চাচ্ছিলাম। আর সে আমাকে কি ভাবল??? 
 
কল কেটে সারারাত কান্না করলাম। বিপদে পড়ে টাকা চেয়েছি দেখে একটা মানুষ আমাকে কি বেশ্যা ভাবল???এত্ত বড় অপমান?? না দিলে মানা করে দিত। আসলে বিপদে না পড়লে মানুষ চেনা যায়না। এত্ত দিন আপু আপু বলে সেই ছেলে হয়রান হয়ে যেত সেও বিপদে তার রুপ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি পরে আমার গলার ১২ আনা ওজনের চেইন বিক্রি করে টাকার জোগাড় করেছিলাম। এর কিছুদিন পরেই স্বামীর ৮০ হাজার টাকা বেতনে বায়িং হাউজে চাকরি হল।এখন হাজার হাজার টাকা হাতে আসে কখন ও ১০ হাজার টাকার শপিং ও করি মাঝে মাঝে। কিন্তু ওই কথা মনে হলে এখন ও কলিজা কামড় দেয়। কিছুদিন আগে ওই ছেলে ফেসবুকে নক দিল। আমার আর স্বামীর হাস্যজ্যল ছবি ফেসবুকে দেখে তার নাকি ভালো লেগেছে।
 
তখন তাকে বলি একটা কথা বলি কখনও কারও বিপদে সুযোগ নিও না। পারলে সহোযোগিতা করবে না পারলে না করে দিও। তবুও এমন কিছু করনা যাতে সে অপমানিত হয়। তখন ওই ছেলে বলে আপু আমি ক্ষমা চাওয়ার জন্য কল দিয়েছি আমি এখন বুঝতে পারি কি ভুল করেছিলাম৷ আপু আপনাকে টাকা না দেয়ার পরে আমার অনেক বড় বিপদ হয়েছে মিথ্যা চুরির দ্বায়ে আমাকে মালিক মেরেছে, আমাকে জেলে দেয়া হয়েছিল। তিন মাসের ভেতর নিঃস্ব হয়ে দেশে আসি। আপু আমাকে কি অভিশাপ দিয়েছিলেন!!! তখন আমি বলি নারে ভাই তবে তুমি টাকা দিবে বলার পর নামাজে আল্লাহর কাছে তোমার জন্য অনেক দোয়া করেছিলাম হয়ত তা অভিশাপে পরিনত হয়েছিল। আমি ব্যাস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দিলাম পরে। 
 
আল্লাহ কখনও বান্দার শোধ নিতে ভুলেনা হয়ত তারই লিলা খেলা তবে আমি কাউকে অভিশাপ দেইনি।
 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url