ফেসবুকে ষ্টাইল করে লিখার নিয়ম | ষ্টাইলিশ করে লেখার নিয়ম | Stylish Font | Stylish Text Generator (𝓬𝓸𝓹𝔂 𝒶𝓃𝒹 𝓹𝓪𝓼𝓽𝓮 ♥ Stylish Text Generator | Stylish Fonts Generator

ষ্টাইল করে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাাপে লিখে চমকে দিন আপনার বন্ধুদেরকে |

 Stylish Fonts Generator 😍 𝟙𝟘𝟘+ 𝕊𝕥𝕪𝕝𝕚𝕤𝕙 𝕋𝕖𝕩𝕥

নিচের বক্সে লিখলে ষ্টাইলিশ হয়ে যাবে .........

আমার থালায় মায়ে অতিরিক্ত আরেক টুকরো মাংস তুইলা দেওনের লগে লগেই বুবু কইলো, মা তুমি শুধু তোমার পোলারে মেল্লা আদর করো,কিন্তু আমারে একটুও আদর করোনা।
 
মায়ে একটু রাগ দেখায় কইলো , তুই মাইয়া মানুষ বিয়ের পর শশুড় বাড়ীত গিয়া খাইবার পারবি।আর মাইয়া মাইনষের একটু কম কইরা খাওন লাগে।নইলে মোটা হইলে কাম কাজ কইরবার পারতিনা। বুবু মুখটা কালো কইরা ডাল মাখা ভাতটুকু খাইয়া নিলো। বিকেলে খেলবার যাওয়ার সময় বুবু যখন আমার সাথে মাঠে যাইবার চাইলো,মায়ে বুবুরে সোজা মানা কইরা দিলো।কইলো রোদে খেললে কালা হইয়া যাবি।পরে তোরে কোন পোলা নিবো না।বুবু করুণ দৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকলো। বাজানে হাটে যাওয়ার সময় বুবু কইলো চুড়ি কিন্না আনতে।আব্বাই কইলো এহন টেহা নাই,পরে কিন্না লইস।বুবুর সেদিন চুড়ি কিনা না হইলেও আমার ফুটবল ঠিকই আব্বায় কিন্না দিছিলো।সেদিন বুবুর মুখখানা দেইখা আমার খুব খারাপ লাগছিলো।
 
বুবুর বিয়ার সাত বছর হইয়া গেছে । আমি অহন বাজারের একটা দোকানে কাম করি।হঠাৎ বুবুর জন্য মনটা কেমন করবার লাগছে । কিছু নাস্তা পানি আর বুবুর জন্য কাচের চুড়ি কিন্না নিয়া দেখা করবার গেলাম। বুবগো বাড়ির গিয়া দেখলাম মেল্লা মাইনষে উঠোনে ভর্তি। ভীর ঠেইলা ভেতরে গিয়া দেখলাম বুবুই আমার লাশ হইয়া শুইয়া আছে।সবাই মিল্লা কইতাছে বড়ো সুখের সংসার আছিলো মাইয়াটার।কোন দুঃখে যে বিশ খাইলো মুখপুড়ী। 
 
আমি কিছু না কইয়া বুবুর লাশের পাশে বইসা পড়লাম। মাস ছয়েক আগে বুবু বাসায় গিয়া কইছিলো মা ঐ বাড়িত সবাই মিল্লা আমারে মেল্লা কথা শুনায়।আর তোমাগো জামাইতো আমারে মারেও।মা আমি আর ঐ বাড়িত যামুনা।
 
সেদিন মায়ে আমারে কইছিলো, মাইয়া মানুষ যদি মাইন্না নিতে না পারস,তাহলে সংসার কেমনে করবি।ভালা কইরা শুইন্না রাখ, মাইয়া মাইনষে বউ সাইজা শশুর বাড়িত ঢুকে আর লাশ হইয়া বাইর হয়।
আজ মায়ের কথাই হাছা হইলো।বুবু লাশ হইয়াই এই বাড়ি থাইকা বাইর হইবো।বুবু জন্য আনা কাচের চুড়ি গুলা আর বুবুর হাতে পরা হইলোনা। পাশেই পইরা থাকলো মাইনষের পায়ের চাপে ভাঙ্গা ভাঙ্গা চুড়ির টুকরা।বুবুর মনটাও হয়তো এমন কইরাই ভাইঙ্গা গেছিলো।
 
#বুবুর_চুড়ি
#কাঠগোলাপ
===== ======= =========== ============ ======= ========== =
বউকে ডক্টর দেখিয়ে নিয়ে আসলাম। ডক্টর বললেন বাচ্চা ভালো আছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ডেলিভারি ডেট। কি অদ্ভুত ধরনের আনন্দ হচ্ছে আমাদের দুজনের। বাসায় ফিরার টাইমে এলাকার একটা মা কুকুর দেখলাম। খুব সম্ভবত আজকেই বাচ্চা হবে। বউ আমাকে দেখিয়ে বলতেছে,
" দেখো কুকুরটাকে! আমাদের মতো না জানি ও কত্তো খুশি!! ☺️"
আমার আবার এইসব কুকুর বিড়াল পছন্দ না। গা ঘিন ঘিন করে। কুকুরটা কাছে আসতেই পেট বরাবর এমন লাত্থি দিলাম একদম ছিটকে যেয়ে পড়লো পাশে। আর কেমন চিৎকার করতে করতে পাশের গলিতে ঢুকে গেলো। কি এক পৈশাচিক আনন্দ !! বউ একটু রাগই হলো। তাতে কি? আমি হলাম সৃষ্টির সেরা জীব!!!
সন্ধ্যায় বাইরে গেলাম কিছু ফল কিনতে, বাবু আসবে। কত্তো কাজ! ফলের দোকানের সামনে যেতেই দেখি ডাস্টবিনের এখানে কুকুরটার সব কয়টাই মরা বাচ্চা হয়ছে। কুকুরটাও এই বুঝি মরবে...
মুচকি হেসে যেই বাসার দিকে মুখ করলাম। আমার মা ফোন দিয়ে বললো....
" খোকা, সব শেষ!! বউ মা যে পা পিছলে সিড়ি থেকে পড়ে গেছে। তুই তাড়াতাড়ি আয় হাসপাতালে...! "
আল্লাহ যে কখন কোন ঘটনার জন্য প্রতিদান দিবেন কেউ বলতে পারে না।
=========== ============= ================ ==============
রাতে বাড়িতে এসেই এক বোনের চিৎ-কার আমাকে তার কাছে নিয়ে যাও। সে আমার সাথে আজকেও মেসেজ করেছে। বিয়েতে বসে যাতে আমি বুঝতে না পারি সে বিয়ে করতাছে।
বলতে বলতে ছেলেটাকে কল দিচ্ছে ছেলেটা বার বার ফোন কেটে দিচ্ছে। কারণ সে তখন বাসর ঘরে। মেয়েটা চিৎ-কার করতে করতে মাটিতে পরে অজ্ঞান হয়ে যায়। মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে। রাত ১২ টা বেজে গেলো তার জ্ঞান এতক্ষণে ফিরে এসেছে।
তিন বছরের রিলেশন ছিলো তাদের। আজ ছেলেটা তার সাথে প্রতা-রণা করে আরেকজন কে বিয়ে করছে। অনবরত একটানা বলে যাচ্ছে আমাকে তার কাছে নিয়ে যাও। আমি শুধু জিজ্ঞাসা করবো আমার সাথে নাটক কেন করলো।
 
সারারাত মেয়েটি ঘুমাতে পারেনি সেদিন শুধু চিৎ-কার করে কেদেঁছিলো। আর বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিলো। সেইদিনের পরে মেয়েটি আর কোনদিন মন খুলে হাসেনি। ছেলেটি হানিমুনে সাজেক থেকে ঘুরে আসলো। আর মেয়েটি প্রতিদিন চোখের জল ফেলছে।
সত্যিকারের ভালোবাসা এখনও আছে মেয়েটিকে দেখে বুঝেছি। আর সে মেয়েটি ছিলো আমার বোন।
লিখেছেন - নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাই।
 
==== =========== ============== ========== 
পর্ব ২
লাল পাঁড়ের সাদা শাড়ি
সামিরা আক্তার
---------
মেসেজটা পড়ে চৈতালী পাগলের মত আশরাফ কে ফোন করতে লাগলো। ওপাশে রিং হলো তবে কেউ ধরলো না ফোনটা। তার বদলে আশরাফের নাম্বার থেকে ভেসে আসলো আর একটা মেসেজ। মেসেজে না দেখে চৈতালী আবার ফোন করতে লাগলো। তার বিশ্বাস আশরাফ মজা করছে। কিন্তু এবার ফোন বন্ধ। চৈতালীর চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো।চোখের পানি মুছে আশরাফের দেওয়া দ্বিতীয় মেসেজ ওপেন করলো। আশরাফ লিখেছে- "চৈতালী " আমাকে ফোন করে আমার পাপবোধ বাড়িয়ে দিও না প্লিজ। ভাবছো তো তোমার কি দোষ ছিলো? তোমার সাথে কেন এমন করলাম?? হ্যাঁ আমি মানছি তোমার দোষ নেই। এর মধ্যে তোমাকে না জড়ালেও পাড়তাম। 
 
কিংবা তোমাকে আগে থেকে সব জানাতে পারতাম। তোমার কাছে হেল্প চাইতে পারতাম। কিন্তু আমি সেসব কিছুই করি নাই। কারন তাহলে ব্যাপারটা কেমন খাপছাড়া লাগতো। আমি আমার বাবার কাছে বিশ্বাস যোগ্য হতে চেয়েছিলাম। আমার বাবা খুবই চালাক মানুষ। একবার যদি বুঝতো আমাদের সম্পর্কে ফাঁক আছে তাহলেই সন্দেহ করতো। মিতুর কথা বলার পর থেকেই বাবা আমাকে নজরে রাখতে শুরু করেছিলেন। তাই আমি এমন ভাব ধরে থাকতাম যেন তোমার সাথে সম্পর্কে আমি অনেক খুশি। জানই তো আমরা সন্তানেরা মা - বাবার কাছে বড় অসহায়। এরা আর কিছু না পারুক ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল খুব ভালো পারে। তাছাড়া বাবার বিশ্বাস জেতার অন্যতম কারণ ছিলো টাকা।
 
তুমি আমাকে লোভী ভাবতে পারো কিছুই করার নেই। জীবন সিনেমা নয় বা আমি আলাদিনের চেরাগ পাই নি। মিতুকে নিয়ে ভাল থাকার জন্য আমার টাকার দরকার ছিলো। এই ছয়মাসে আমি বাবার কাছ থেকে অনেকবার টাকা নিছি। ঢাকা শহরে একটা ফ্ল্যাট কিনছি। আর বাকি টাকা দিয়ে ছোট খাট ব্যবসা শুরু করছি। তুমি এই মেসেজ পড়ছো আর আমি মিতুকে নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়েছি। তোমাকে সবই জানালাম। পারলে এই অধমকে হ্মমা করে দিও। মিতুকে গালাগালি করো না প্লিজ। ও এসবের কিছু জানে না। আমার সাথে বিয়ে হলে তুমি উল্টো কষ্ট পেতে কারণ তোমার স্বামীর মনে অন্য কেউ বাস করতো। তুমি এখনও অনেক ছোট চৈতালী। লেখাপড়া করো। জীবনকে আগাও। এমন কাউকে পাবা যে আজকের বিয়ে ভেঙে যাওয়াটা তোমার কাছে আর্শীবাদ মনে হবে।
 
মেসেজে আর কিছু লেখা নেই। চৈতালী ধীরে ধীরে বেলকনিতে গিয়ে বেলকনির দরজা আটকে দিয়ে বেলকনিতে বসে পড়লো। না চাইতেও এতহ্মণ আটকে রাখা চোখের জল গাল বেয়ে পড়তে শুরু করলো। একটা ছেলে তার জীবনে এলো, তাকে ভালবাসতে বাধ্য করলো, সুন্দর একটা সংসারের স্বপ্ন দেখালো, তারপর বিয়ের দিন পালিয়ে গিয়ে জানালো এসব মিথ্যা ছিলো? 
 
( চলবে ............ )
 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url