হঠাৎ একদিন আসবেরে জম পুরাবে এই দেহেরি দম | Hothat Akdin Asbere Jom Purab...
হঠাৎ একদিন আসবেরে জম পুরাবে এই দেহেরি দম Hothat Akdin Asbere Jom Purabe Ei Deheri Dom
#ভয়ংকর সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত কাহিনিঃ
#প্লটঃ ৪৮ টি শূকরের রক্ত দিয়ে যে কালোজাদু সম্পূর্ণ হয়। তার ৪৮ দিন পরেই সপরিবারের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু কেন?
_________________//________________
#ফ্ল্যাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে একটি মেয়ের মৃতদেহ। মেয়েটির বক্ষঃস্থল দু'টি কেটে চামড়ার সাথে সমান করে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে পেটটা ও কাটা হয়েছে। আর পেটটা এমনভাবে কাটা হয়েছে। যেন মনে হচ্ছে, করাত দিয়ে টেনে টেনে কেটেছে। এমনকি লাশটির নাড়িভুড়ি সব বেরিয়ে আসতে লাগলো। এছাড়া মেয়েটির উরুতে ছুরি দিয়ে আঘাতের বেশকিছু দাগ আর ভার্জিনাতে একটি ২ ফিট লম্বা বিশিষ্ট কাঠের লাঠি অর্ধকের বেশি ঢুকানো ছিল। লাশটিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে, কতটা কষ্ট দিয়ে মেরেছে হত্যাকারী।
সকালে লাশটি দেখার জন্য লোকের ভিড় জমে। আর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে মেয়েটিকে ময়নাতদন্তের জন্য ল্যাবে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে পোস্টমর্টেম করার জন্য লাশটি ডোমের কাছে পাঠানো হয়। ডোম প্রচুর পরিমানে মদ খেয়ে লাশ কাটাকাটি শুরু করে দেয়। লাশটি কাটতে গিয়ে দেখে, গলার মধ্যে একটি ডায়মন্ড আটকে আছে। ডোম সেটি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। অনেকদিন পর মূল্যবান একটি জিনিস পেলাম। সে একবারও চিন্তা করেনি, সেই ডায়মন্ডের জন্য তার জীবনে নেমে আসবে অভিশপ্ত কালোরাত্রি। একটুখানি পর চিকচিক কন্ঠে কে যেন বলতে লাগলো, ডায়মন্ডটি যেখান থেকে নিলে সেখানে রেখে দাও। বারবার সে একটি কথাই বলে। 'যেখান থেকে নিলে সেখানে রেখে দাও'। এরপর পাশের রুম থেকে জোরে জোরে মায়াবী কান্নার আওয়াজ আসতে লাগলো। ডোম মদের নেশায় প্রথমে ভুলভাল ভাবলেও কান্নার আওয়াজ শুনে সে সত্যিই ভয় পেয়ে যায়। এমন লাশ তো আগে কখনো দেখিনি।
পোস্টমর্টেম সম্পূর্ণ হলে ডাক্তার লাশটিকে গ্রামে পাঠিয়ে দিতে বলে। কিন্তু লাশটি গ্রামে নেওয়ার জন্য কোন ড্রাইভার রাজি হয়না। কেননা, প্রথমত লাশটির চেহেরা খুবই ভয়ংকর দেখাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ডোমের কথা শুনে তারা আরও বেশি ভয় পেয়ে যায়। তৃতীয়ত, গ্রামটি শহর থেকে অনেক দূরে। ডাক্তার বলে যতটাকা লাগে আমি দেব। এরপরও লাশটি নিয়ে যাও। শেষমেশ, একজন ভ্যানগাড়ি চালাক রাজি হয়। সে সব ধরনের গাড়ি চালানোর প্রতি পারদর্শী।
অবশেষে, ভ্যানগাড়ি চালাক আর একটি ওয়ার্ডবয় এম্বুলেন্সে করে লাশটি নিয়ে রওনা দেয়। আস্তে আস্তে রাত গভীর হয়ে আসে। চারদিকে নিস্তব্ধ। শরীরের রক্ত যেন হিমশিম খাচ্ছে দু'জনের। ততক্ষণে, মায়াবী কান্নার আওয়াজ শুরু হয়। ড্রাইভার মেয়েটির স্পষ্ট কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। কিন্তু ওয়ার্ডবয় প্রথমে খেয়াল না করলেও পরিবর্তে শুনতে পেল৷ তখন দু'জনে চমকে উঠে। মৃত লাশ কিভাবে কান্না করে?? আর অশ্রু কন্ঠে বলতে লাগলো, যে যাই বলুক না কেন গাড়ি থামাবেনা। যে যাই বলুক না কেন গাড়ি থামাবেনা। তারা এটি শুনে আরও ভীতু হয়ে যায়। মিনিট পাঁচেক পর দেখতে পেল, রাস্তার মাঝখানে দু'জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে। আর গাড়ি থামতে বলে।
ভদ্রলোকটিঃ আমার শাশুড়ী আম্মা মারা গেছে। খুবই ইমার্জেন্সি সেখানে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু রাস্তায় তেমন কোন গাড়ি নেই। যার কারণে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছেনা। আপনি যদি আমার স্ত্রীকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে দিলেন তাহলে খুবই উপকৃত হলাম।
ড্রাইভারঃ আচ্ছা ঠিক আছে। পেছনে বসতে পারেন। সামনে কোন সিট খালি নেই। তাও আবার লাশের সাথে।
কিন্তু মহিলাটিকে দেখে বুঝা যাচ্ছেনা, উনার আম্মা যে মারা গেছে। 'কেননা' সে যে-রকম সাজগোছ করে নীল শাড়ি পড়ছে। এসব দেখে কে বিশ্বাস করবে? উনার আম্মা মারা গেছে। তাছাড়া পৌঁছে দেওয়ার কথা শুনে সে আরও মুশকি হেঁসে উঠলো। এসব দেখে ড্রাইভারের মনে সন্দেহ হয়। তাতে সন্দেহ হলেও কিছু করার নেই। এরপর মেয়েটি আবারও অশ্রু কন্ঠে বলে! তোমাদের না বলছি যে যাই বলুক গাড়ি না থামাতে। কিন্তু তোমরা গাড়ি থামালে কেন? তখন ড্রাইভার ভাবনায় পড়ে যায়। কি হচ্ছে এসব। একটুখানি পর ধুপধুপ করে শব্দ হয়। মনে হচ্ছে ভেতরে দু'জন মারামারি করছে। এরূপ আওয়াজ। তখন মহিলাটি গাড়ি থামতে বলে। আর রাগান্বিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে ধানক্ষেতের দিকে হেঁটে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ড্রাইভার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে পড়ে। যখন মেয়েটির লাশটি গাড়ি থেকে নামানো হয় তখন শোনা যায়। মেয়েটির পিতা দু'দিন আগে মারা গেছে। কিন্তু কেন বা কিভাবে তা জানা যায়নি?
[ আপনাদের ভালো রেসপন্স আসলে বাকি পর্বগুলো অবশ্যই লিখবো ]
#গল্পঃ কালোজাদু [ সিজন_২ ]
___( ১ম খন্ড )___
Author: Arman Chowdhury