ZOOXOO Doll - How to use opacity between video - perfect brest type & name

 

--আপনি বলতে চাইছেন "বাংলাদেশের জাতীয় ফুল কি?" এটা বলতে পারলেই আমি ফ্রি বান্দরবান ট্যুর জিতে যাবো।
-- জি স্যার।
১ এপ্রিল ২০২২
সকাল ৭টা,
সায়েম চৌধুরী ঘুম থেকে উঠে রুমের দরজা খুলে বাহিরে পা দিতেই একটা ছোট বক্স। ৩৫ বছর বয়সী সায়েম কৌতূহল বশত বক্সটা তুলে নেয়। বক্সটা নিয়ে রুমে এসে বক্সটা খুলে একটা কাগজ পায়। কাগজটি খুলতেই সায়েম লিখা দেখতে পায়,
স্যার
 
আমরা একটি সিক্রেট পন্যের কোম্পানি থেকে বলছি।
আপনি আমাদের পন্যটি খুব বেশি ক্রয় করেছেন তাই আপনার জন্য রয়েছে একটি গেইম শো। আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ই-মেইল চেক করুন।
ধন্যবাদ। 
 
সায়েম তার ই-মেইল চেক করে।
ই-মেইল এর ইনবক্সে সায়েমকে কেউ একজন নক করেছে।
Yes Or No...
সায়েম Yes রিপ্লাই করে।
এবং সাথে সাথে একটা প্রশ্নপত্র চলে আসে।
প্রশ্নপত্রটা ছিল এমন....
১) আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের নাম কি?
২) সেই দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম কি?
৩) সেই দেশের জাতীয় ফুল কি?
(এই ৩টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েই জিতে নিন বান্দরবান ট্যুর ফ্রি)
সায়েম সাথে সাথে প্রশ্ন গুলোর উত্তর ই-মেইল করে দেয়।
এবং ১ ঘন্টা পর।
সায়েমের কাছে একটি ই-মেইল আসে যাতে লিখা ছিল....
"কংগ্রাচুলেশনস স্যার!
 
আপনার সবগুলো উত্তর সঠিক হয়েছে এবং আপনি জিতে গেছেন ফ্রি বান্দরবান ট্যুর। আগামীকাল ২ এপ্রিল বিকাল ৫টায় ট্যুর রওনা। গাড়ি আপনার বাড়ির সামনে আসবে। GeT Ready "
সায়েম কিছুটা অবাক হয়ে বসে রইলো।সবকিছু খুব সহজেই হয়ে যাচ্ছে।
দুপুর ১২টায় হঠাৎ সায়েমের ফেসবুকে " ফয়েজ তালুকদার " নামের একজন ব্যাক্তির একটা ম্যাসেজ রিকুয়েষ্ট পাঠায় যাতে লিখা ছিল,
" স্যার ট্যুরের সব মেম্বারদের জন্য একটা ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলেছি। আপনাকে এড করতে চাচ্ছি। আপনাকে এড দিব? "
সায়েম রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করে "হ্যা এড দেন" বলে।
কিছুক্ষণ পর সায়েমকে এড দেয়া হয় একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে। যেখানে প্রায় ২৫-২৬ জন মেম্বার আছে। সব বয়সের মানুষই গ্রুপটিতে ছিল।সায়েমের চিন্তাটা এবার ধীরে ধীরে দূর হচ্ছিল।
"ফয়েজ তালুকদার"
" মাহাদী মারুফ"
"ফাইজুর রহমান"
"নুসরাত জাহান"
 
"সায়েম চৌধুরী"
এরকম ২৫ জন মেম্বার ছিল গ্রুপে। সবাই মুটামুটি সবার সাথে পরিচয় পর্ব সেড়ে নেয়।
সায়েম বেশ খুশি।
২ এপ্রিল বিকাল ৫টা।
সায়েমের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় একটি বাস।
সায়েম ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে রেডি। উঠে যায় বাসে। বাসের সুপারভাইজার ছিল "ফয়েজ তালুকদার"। সায়েম বাসে উঠে নিজের সিটে বসে পড়ে। গ্রুপের অন্য মেম্বাররাও ছিল বাসে।
এভাবেই ২৫ জন যাত্রীকে নিয়ে বাস ঢাকা ছেড়ে দেয়।
বাসে ৪০ বছর থেকে শুরু করে ২০ বছরের যুবক ও ছিল। ২৫ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা এবং মেয়ে।
বাস চলছে....
 
হঠাৎ ২০ বছর বয়সী ইরফান উঠে দাঁড়িয়ে বলে " আমরা কি একটু গান নাচ করতে পারি না "
ততক্ষণে সায়েম সবার সাথে কথা বলে খবর নিয়েছিল যে সবাই ই ১ এপ্রিল বক্স পেয়েছিল এবং প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ট্যুর জিতেছে। অর্থাৎ ২৫ জনের সবাইই এই পদ্ধতিতে ট্যুর জিতেছে।
ইরফান সহ যারা একটু ইয়ং ছিল তারা একটু গান নাচ করে মজা করছিল।
সবাই সবার সাথে ফ্রি হয়ে গিয়েছিল।
৪০ বছর বয়সী ফজলুর রহমান হঠাৎ বলে উঠে
 
" বুঝলেন ভাই আমার একটা বন্ধু ছিল নাম তারেক। আমরা যখন ইয়ং ছিলাম তখন ও এরকম সবাইকে নিয়ে বেশ মজা করতো "
পাশের সিটে বসা ৪০ এর কাছাকাছি বয়সী ফাইজুর রহমান বলে " হ্যা আমার ও একটা রুমমেট ছিল এরকম বেশ আনন্দ ফুর্তি করতে পছন্দ করতো। ওর নাম ও তারেক ছিল "
ফজলুর রহমান আবার বলে উঠে " আপনার রুমমেট কি নারায়ণগঞ্জ ইউনিভার্সিটিতে পড়তো?
ফাইজুর; হ্যা। আপনার ফ্রেন্ড ও?
ফজলুর ; হ্যা। ওইযে গালে একটা তিল আছে,কালো করে ওই তারেক না?
ফাইজুর; আরে হ্যা ওই তারেকের কথাই তো বলছি।
 
পাশ থেকে ৩৫-৩৭ বছর বয়সী এক ভদ্র মহিলা লিমা খাতুন বলে উঠলেন " আপনারা যেই তারেকের কথা বলছেন তাকে বোধ হয় আমিও চিনি। কপালে কাটা দাগ আছে না"
ফজলুর ; আরে হ্যা তারেকের কপালে একটা কাটা দাগ আছে।
পাশ থেকে ২৫-২৭ বছর বয়সী নুসরাত জাহান বলে " আপনারা যেই
 
বর্ণনা দিচ্ছেন সে হিসেবে সে আমার বান্ধবীর বাবা তারেক মাসুদ। তাকে আমিও চিনি "
ইরফান নাচ থামিয়ে এসে বলে " আপনারা যেই তারেকের কথা বলছেন সে তো আমার বন্ধুর বাবা"
পাশ থেকে মাহাদি বলে উঠে" আপনারা যার কথা বলছে সে তো আমার ব্যবসায় পার্টনার "
সায়েম বলে উঠে " আপনারা যেই তারেকের কথা বলছেন সে তো আমাদের বাড়িতে ভাড়া ছিল "
এভাবে বাসের ২৫ জন যাত্রীই "তারেক মাসুদ" নামক এই ব্যাক্তিকে চিনে এটা প্রমাণিত হয়।
সায়েমের কপালে ঘাম...
 
সায়েম বলে উঠে " আমি একটা ব্যাপার বুঝলাম না। তারেক মাসুদের পরিচিত ২৫ জনই আমরা একসাথে। এটা কিভাবে সম্ভব? "
ইরফান বলে উঠে " আমরা সম্ভবত কোন বড় ট্রেপে পড়েছি। ওই ফয়েজকে ধরে আনেন। ও আমাদের ম্যাসেঞ্জারে এড করেছে। ও সব জানে। "
ফয়েজকে নিয়ে আসলে ফয়েজ বলে " আমাকে ও কেউ ফোনের মাধ্যমে এই দায়িত্ব দিয়েছে। টাকা দিয়েছে আমি কাজ করেছি আর আপনারা সবাই যেই তারেক মাসুদের কথা বলছেন তাকে আমিও চিনি "
সায়েম বলে " কিভাবে চিনো?"
 
ফয়েজ বলে " আমি তার থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম "
বাসের ড্রাইভার হঠাৎ বলে উঠে " আপনারা যেই তারেকের কথা বলছেন আমিও তারে চিনি "
ইরফান বলে " কিভাবে? "
 
ড্রাইভার নিচু স্বরে বলে " আমি তার বোনকে ধর্ষণ করেছিলাম "
এভাবে সবাই বলতে থাকে।
মিজান বলে " হাই স্কুলে তারেকের পানির বোতলে প্রসাব করে রেখে দিয়েছিলাম। তারেক সেটা খেয়েছিল "
সায়েম বলে " বাড়ি ভাড়া না দেয়ায় তারেক আংকেলকে আমি অপমান করে বের করে দিয়েছি "
নুসরাত বলে " আমি তারেক আংকেলের মেয়েকে ধর্ষণ হতে দেখেও বাচাই নি "
ইরফান বলে " আমি তারেক আংকেলের ছেলের এডমিট কার্ড চুরি করেছিলাম যাতে ও ফেইল করে আর আমি টপার হই "
ফাইজুর বলে " তারেক যখন রুমমেট ছিল তখন ও টাকা দিতে পারতো না বলে কুত্তার মতো ব্যবহার করতাম "
ফজলুর বলে " ওকে সবসময় অপমান করতাম "
লিমা বলে " ও গরীব ছিল তাই ৩ বছরের সম্পর্ক শেষ করে অন্য ছেলেকে বিয়ে করেছিলাম"
এভাবেই বাসের ২৭ জন ব্যাক্তিই বলে তারা কোন না কোনভাবে তারেক মাসুদ নামক সেই ব্যাক্তিকে ঠকিয়েছে কষ্ট দিয়েছে।
সায়েম চিতকার করে বলে উঠে " ড্রাইভার বাস থামাও। আমাদের এক্ষুনি নেমে যেতে হবে "
বাস থামানোর আগেই...
হঠাৎ একটা বিকট শব্দ।
একটা ব্লাস্ট।
 
পুরো বাসটা লণ্ডভণ্ড।
বাসটা টুকরো টুকরো হয়ে গেলো সাথে বাসের ভিতরে থাকা মানুষ গুলোর বডি ও।
সবকিছু পুড়ে ছাই।
কারো বডির অস্তিত্ব ও নেই।
রক্তের বন্যা আর মাংস গুলো এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
২৭ জন ব্যাক্তির মৃত্যু। 
 
ব্লাস্টের পর যখন রাস্তার আশেপাশের সবাই মানুষের দেহের অংশ খুজতে ব্যস্ত তখন কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আড়াল থেকে সারাজীবন ঠকে যাওয়া খাটো করে আধা পাকা দাড়ি ওয়ালা শার্ট আর প্যান্ট পড়া নিঃস্ব তারেক মাসুদ মুচকি হাসি দিয়ে চায়ে চুমুক দিয়ে বলতে থাকে " একটা কমন ম্যান ও চাইলে ধ্বংসের খেলায় নামতে পারে "
 
সমাপ্ত
 
গল্পের নামঃ " কমন ম্যান "
লেখকঃ আলিফ খান ( মেন্টাল)
গল্পটি কাল্পনিক ধন্যবাদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url