মিয়া খলিফা Mia Khalifa | পিরিয়ড Period | Mohollar Hit Jamai | মহল্লার হিট জামাই | Zaher Alvi | Iffat Ara Tithi | Bangla Natok 2022

 


#পিরিয়ড
 
আমার ছোট বোন তখন ক্লাস এইটে পড়ে আর ছোট ভাই ক্লাস ফোর । আমাদের পাশের বাসার এক আন্টির ছেলে কোরআনে হাফেজ হইছে তো তাকে বলছে শরিফ তুমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমার বাচ্চাগুলাকে আরবি পড়াবা । সে রাজি হইছে  এবং ছেলেটা প্রচুর লাজুক ।
 
তো প্রথম ১৫ দিন পড়ার পর আমার ছোট বোনের পিরিয়ড হইছে , সন্ধ্যায় হুজুর আসার পর বলে হুজুর আমি অসু*স্থ পড়বো না ,হুজুর বলে আচ্ছা ।
 
টানা ৪দিন পড়ে নাই আমার ছোট ভাই আম্মার সাথে রীতিমতো ঝ*গ*ড়া করে... কেনো তার একা একা পড়া লাগবে ? বলে তোমার মেয়ের জ্ব*র কা*শি কিছু নাই মুরগির গোস্ত দিয়া ভাত খায় কেমনে সে অসু*স্থ? আম্মা হাসতো , পরে হুজুর আসলে তার কাছে ভাই বিচার দেয় বলে হুজুর কনা পড়বে না তাই মি*থ্যা বলছে । হুজুর কিছু বলে না চুপ থাকে।
 
এভাবে ৩ মাস চলে আর প্রতি মাসে হুজুর থেকে ৪ দিনের মতো ছুটি নেয়।
এবার ভাই ভালো রকম চি*ল্লা*ইছে তোর কি হয় কিছুদিন পর পর বা*টপা*রি করোস খালি.... আমি মজা করে ওরে রা*গা*নোর জন্য বলছি ওর পিরিয়ড হয় প্রতিমাসে । তাই ছুটি নেয়; তুই এমন করলে আরো বেশি ছুটি নিবো । তখন আর সে কিছু বলে নাই ।
 
সন্ধ্যায় হুজুর আসছে কনা পড়বে না আর রিফাতকে ডাকছে পড়ার জন্য সে হুজুরকে গিয়ে বলে হুজুর আমার পিরিয়ড হইছে আমি পড়বো না ....

এই কথা শুনে আমরা আর আশেপাশে নাই , হুজুর আর কথা না বাড়িয়ে ওইদিন চলে গেছে ।
ও আম্মাকে আইসা বলতেছে আম্মা আমার পিরিয়ড হইছে মাংস দিয়া ভাত খাইতে দাও ...
 হুজুররে বলছি হুজুর গেছেগা।
 
আম্মা ঝা*টা নিয়া যেই দৌ*ড়ানি দিছে সামনে থাকলে আমার পি*ঠেও কিছু পড়তো 🤭

============================================================
                                              শব্দ পূরণ
 
লেখা:- Md Ashiqur Rahman Ashique

আজ আমি আমার স্ত্রীর ছোট বোনকে বিয়ে করে ঘরে আনলাম। জানি না সে কি ভাবছে সত্যি জানি না। যদি জানতে পারতাম তাহলে বলতাম সব কথাগুলো বলে দিতাম মন খুলে।
 
আমাদের বিয়ের ৩য় এ্যানিভার্সারি তে ওর জন্য ডায়মন্ডের কানের দুল কিনে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম সাথে একগুচ্ছ ফুল। একদম ভুলে গিয়ে ছিলাম। ছোট বোনটার মেসেজে খেয়াল হল। অফিসে ভিষণ কাজ থাকায় সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতে গিয়েও ফিরতে পারিনি অনেক রাত করে ফিরে দেখি নতুন শাড়ি পড়া অবস্থায় হালকা সাঁজে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে । অফিস থেকে বিদেশি ক্লাইন্ট এর সাথে ডিনার করেছি তাই ওকে বললাম খেয়ে ঘুমিয়ে পরতে। কিছু না বলে চুপচাপ এসে শুয়ে পড়ল।তখনো আমি ল্যাপটপে কাজ করছিলাম। কোনো কথা ই আর হয়নি।
 
বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হলেও বিয়ে ঠিক হওয়ার পর আমরা একে অপরকে জানতে অনেকটা সময় পাই। আমার বিজনেস স্টাবলিশ করাতে একটু সময় নেই। তাতে আমাদের একে অপরকে খুব কাছে থেকে জানতে পারি।
 
বিয়ের পর সবসময় বলত ভালো লাগেনা বাসায় একা একা। আমি বলতাম মা তো আছেন। তখন বুঝতাম না ও কি বলছে ।
 
তাই একসময় নুসরাত মানে আমার স্ত্রী আমাকে আর কিছু না বলে মা'কে নিয়ে বাইরে যায় বেড়াতে। এতে মা অনেক খুশি। তাই আমি অতটা মাথা ঘামাই নি।
 
নুসরাত হঠাৎ রাতে বলে উঠত ছাদে যাবে চাঁদ দেখবে ভরা পূর্ণিমা। আমি সারা দিনের কাজ শেষে এতটাই ক্লান্ত যে তার কোনো কথার জবাব দিতাম না। সে চুপ হয়ে যেত।
 
সকাল থেকে রাত অবদি কাজ আর মাঝখানে টুকটাক কথাবার্তা রাতে বাসায় ফিরে দেখা।
সেদিন কোনো একটা ফাইল মিসিং এর কারণে আমার অনেক বড় একটা লস হয়। এটা নিয়ে একপ্রকার টেনশন নিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে রুমে যেতে ই পেছন থেকে নুসরাত আমাকে জড়িয়ে ধরল আমি খানিকটা বিরক্তি নিয়েই কিছুটা বকাবকি করলাম। কি কারণে জানি ঐদিন খুব সাঁজগুজ করেছিল। আমি আমার চিন্তায় এসবে নেই।
 
অবশেষে কিছুদিন পর জানতে পারলাম আমার সন্তান আসছে পৃথিবীতে। তাও মায়ের কাছ থেকে। নুসরাতের কাছে যেতেই নুসরাত কোনো কথা না বলে আশেপাশের কাপড় গুছিয়ে রাখছিল। কি কারণে জানি কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না।
 
নুসরাত অনেকটা শারিরীক ভাবে দূর্বল হয়ে পরছিল। তাই তাকে ডাক্তার দেখিয়ে যাবতীয় মেডিসিন কেয়ার টেইকার রেখে দিলাম। সেদিন একটা কথা বলেছিল, আমার এত কিছু লাগবে না একটু সময় দাও তুমি।
 
আমি ওকে বাসায় পৌছে দিয়ে আবার অফিসে যাই। নতুন একজনের আগমনে তার জন্য তো ব্যবস্থা করতে হবে। সেই আগত সন্তানের জন্য ব্যাংক একাউন্ট আলাদা ফান্ড ওর নামে আলাদা বিজনেস শুরু করি। কোনো কিছুর যেন কমতি না হয় আমার সন্তানের আমি সেই চিন্তায় ব্যস্ত।
 
এদিকে নুসরাতকে আর আগের মত পেতাম না। অনেকটা চুপচাপ হয়ে গেছে শান্ত। কি জানি একা একা ভাবে । কোনো কিছু জানতে চাইলে উত্তর দিয়ে চলে যায়। মেয়েদের এসময় মন মানসিকতটা এরকম হয় হুট করে। তাই আমি জোর করিনা কথা বলতে। এই সময় ও ওর মত ভালো থাকুক।
হঠাৎ রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলল, আইসক্রিম খাবে। এই ঠান্ডার সময়ে। আমি ধমক দিয়ে বললাম কিসের পাগলামি কর। এত ঠান্ডায় আইসক্রিম খেলে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। একথা বলতে ই সে চুপ হয়ে যায়।
 
এরপর থেকে সে একদম চুপ হয়ে যায়। কোনো আবদার কোনো অভিযোগ নেই। যতই ডেলিভারির দিন ঘনিয়ে আসছিল তার চেহারায় ভয়ের ছাপ দেখা দিচ্ছিল।
একদিন হঠাৎ করে আমার হাত ধরে বলে, একটু সময় করে থেকো আমার ঐ সময়টায়। আর সময় চাইব না তোমার কাছে। একটু সময় বের কর আমার জন্যে।
 
ঐ দিন কথাটা শুনে কোথায় একটা ব্যথা লাগল। শুধু বললাম আচ্ছা থাকব।
ওর জন্য সবকিছু বাসায় নার্স সহ ফাস্ট এইডের যাবতীয় সব রেডি রেখেছিলাম।
আমি ব্যবসার কাজে চিটাগাং গেলাম। আর সেদিন ই ওর লেভার পেইন শুরু হল। আমি ঐখানে থাকা অবস্থায় ডাক্তারের কাছে সব ঠিক করলাম। কিন্তু নুসরাত কিছুতে ই বাসা থেকে যাবে না আমি আসা না অব্দি একরকম জেদ করে ছিল। আমি রওনা দিলাম।
 
নুসরাত আমার জন্য অপেক্ষা করছে রাস্তা যেন শেষ হচ্ছিল না। কি জন্য জানি নুসরাতের চুপ হয়ে যাওয়া মুখখানা বার বার আমাকে আঘাত করছিল। যেন মনে হচ্ছিল নুসরাত আমার কাছ থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছে। আমি আটকে রাখতে পারছি না।
 
কোনোরকম পৌছে দৌড়ে নুসরাতের কাছে গেলাম। আমার মেয়ে হয়েছে নুসরাতের কাছে যেতে ই নুসরাত চোখ বন্ধ করে ফেলল। চোখের কোণ দিয়ে পানি পরছিল। আমার দিকে তাকিয়ে ই যেন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করল। আমি যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
 
বার বার শুধু কানের মাঝে ভেসে আসছিল,, " আমার ঐ সময়টায় তুমি আমার পাশে থেকো। একটু সময় করে হয়ত আর এভাবে সময় চাইব না তোমার কাছে।"
 
এই কথাগুলো যেন আমার বুক ভেদ করে কোথায় গিয়ে লাগছিল। একটু সময় ই তো চেয়েছিল আমার নুসরাত। অভিমান জমা করে রাখতে রাখতে আমায় দেখে চোখের শেষ অশ্রুবিন্দু দিয়ে তার না বলা হাজার অভিযোগের আজ পরিসমাপ্তি ঘটাল। বড্ড অভিমানী মেয়েটা।
আমি সেই সময় টুকুও এই মানুষটাকে দিতে পারিনি। হাজার না বলা কথা আমার ব্যস্ততা তাকে একদম শান্ত করে দিয়েছে। একটু একটু করে সে সরে গেছে আমার কাছ থেকে অথচ আমি তা টের ই পাইনি।
আজ ওর ডায়রী হাতে দাড়িয়ে আছি, একরাশ অভিমান আর অভিযোগ গুলো লেখা। আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল আমি বাচ্চার জন্য খেতে দেইনি। সে বলেছে,
 
একজন মা কি তার সন্তানের ক্ষতি চায়,তুমি বড্ড সার্থপর হয়ে গেছ সন্তান দেখলে আমার কথা ভাবলে না আমার ইচ্ছা কে এতটুকু মুল্যায়ন করলে না তুমি। একদিন সত্যি সত্যি অনেক দূরে চলে যাব। অনেক দূরে। যেখানে তোমার কাছে আর কোনো দিন সময় চাইব না। আমি তো এত সম্পত্তি গাড়ি ডায়মন্ড চাইনি। একটু সময় তুমি আমাকে দিলে না। আমার যে এই তুমি নামক সময়ের বড্ড অভাব আমার জীবনে বুঝলে না তুমি। একটুও বুঝলে না। আর কিচ্ছু চাইব না তোমার কাছে কিচ্ছু না। যেমন চাও তেমন হবে। "
 
খুব অসহায় লাগছে নিজেকে। আজ তার শূণ্যতায় আমি সময় পার করছি কিন্তু যখন ছিল তাকে সময় দেই নি। চলে যাওয়ার পর বুঝতেছি কি ছিলে আমার কাছে বাকি সবকিছু ই এখন ফিঁকে ।
একটু সময়ের চাওয়ায় হারিয়ে যায় প্রিয় মানুষগুলো। খুব কষ্ট হচ্ছিল সবকিছু তো ওদের জন্য ই করছিলাম। তাহলে...
 
এক সপ্তাহ আগে ওর বোন নাদিয়াকে বিয়ে করি মেয়েটা যেন মায়ের অভাব বুঝতে না পারে সেজন্য।
হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ আসল, তাড়াতাড়ি ফিরে এসো জিনিয়া অপেক্ষা করছে। (জিনিয়া আমার মেয়ে)
 
সব কাজ ছেড়ে চলে গেলাম। কারণ আমি বুঝে গেছি কোথায় কি দিতে হয়।
আজ রাতে বড্ড ইচ্ছে হয় চাঁদ দেখতে মনে পরে নুসরাতকে। একা একা ছাদে দাড়িয়ে আছি হঠাৎ কাধে হাতের স্পর্শ পেলাম তাকিয়ে দেখি নুসরাত না না নাদিয়া আমার ২য় স্ত্রী চাঁদের আলোয় ওকে একদম নুসরাতের মত দেখাচ্ছে
 
একা একা চাঁদ দেখা হচ্ছে। আমাকে ডাকলে পারতেন একসাথে দেখতাম। (নাদিয়া )
সত্যি প্রকৃতি কখনো শূন্যস্তান পছন্দ করে না। " কিন্তু নুসরাত নুসরাতের মত ই রয়ে যায় মনে। "
 

==================================================================
মিয়া খলিফা
 
আমি জানি আপনি এই নাম শুনেছেন এবং ২১ বছর বয়সে সে যে ভয়ঙ্কর কাজগুলো করেছিল হয়তো আপনি সেগুলোও দেখেছেন। আপনি ইসলামিক স্কার্ফ পরেছিলবন,যা সচরাচর হিজাব নামে পরিচিত। এবং তারপর এটি এক ধরনের সে** দৃশ্যে পরিণত হলো। 
 
আপনি নিশ্চই জানেন যে, এটি কতটা উত্তেজক ব্যপার।মিয়া একটি পর্ণ ভিডিওতে কিছু অশ্লীল কাজ করার সময় বিনয়ের প্রতিক হিজাব পরতে রাজি হন।নিঃসন্দেহে,তিনি যা করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং অসম্মানজন ছিল।
 
আমরা সবাই তাকে ঘৃণা করব কি না তা সিদ্দান্ত নেওয়ার আগে,আমি আপনাকে এই সবকিছুর পিছনের সম্পুর্ণ গল্প শুনাতে চাই।আর শুধুমাত্র তারপনই আমি আপনাদের উত্তর জানতে চাই।মিয়া খলিফাকে কি চিরকাল তার অতীতের ভুলের দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা উচিত? অনেকেই মিয়াকে বিখ্যাত প* স্টার হিসেবে দেখেন যিনি একসময় বিশ্বের এক নম্বরে ছিলেন এবং এখনো এডাল্ট সাইটে সবচেয়ব বেশি সার্চ করা অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। 
 
কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ যা জানেন না তা হল,তিনি মাত্র তিনমাস এই ইন্ডাস্ট্রিিতে ছিলেন এবং যদিও তার অনলাইনে হাজার হাজার এডাল্ট ভিডিও রয়েছে।এর মধ্যে তিনি মাত্র ১১ টিতে অভিনয় করেছিলেন।
 
তাহলে এই সব কিভাবে হল? এর উত্তর শুধু তার চেহারা দেখে বলা কঠিন, মিয়াকে যখন প* করার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছিলো,তখন সে তার জীবনের খুবই দুর্বল পর্যায়ে ছিল।
 
আমি নিজেকে ঘৃণা করতাম,আমি পারিনি আমাএমন কোন অস্তিত্ব ছিল না,যে রূপে আমি নিজেকে আয়নায় দেখতে পারতাম এবং ঠিক থাকতে পারতাম।আমি নজেকে আগের মত সুন্দর অনুভব করিনি,তাই যখনই আমি পুরুষদের কাছ থেকে মনযোগ পেয়েছি,আমি অনুভব করেছি যে আমাকে এটি ধরে রাখতে হবে নাহলে আমি হয়তো এটি আর কখনোও পাবো না।এবং তাদের খুশি করার জন্য যা করতে পারি তাই করব যাতে আমি তাদের মনোযোগ পেতে থাকি।
 
যেহেতু তার নিজের মূল্য বৈধতার উপর অনেক বেশি নির্ভর করত,বিশেষ করে পুরুষদের কাছ থেকে,তাহলে আপনি কল্পনা করতে পারেন যে তিনি রাস্তায় হাটার সময় কেমন অনুভব করেছিলেন।একটি গাড়ী তার সামনে থামে এবং জানালা নিচু করে বলে,আপনি খুব সুন্দর। 
 
আপনি কি আমার জন্য মডেলিং করতে চান? বিষয়টা এমন,আমি কি আমার কার্ড দিতে পারি? আর আমি জিজ্ঞাসা করলাম,আমাকে বলছেন?আপনি কি সিরিয়াস?সত্যিই! হ্যা। লোকটি একটি প* এজেন্সি থেকে এসেছিল,এবং দুই সপ্তাহ পরে,বৈধতার জন্য আরও মরিয়া হয়, মিয়া এডাল্ট মুভিতে অভিনয় করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 
 
আমার মনে হয়েছিল যো প* করা আমার পক্ষে ঠিক ছিল কারণ আমি ভেবেছিলাম যে কেউ এটি সম্পর্কে জানতে পারবে না। এবং যখন সেটে হিজাব পরতে না চাওয়ার জন্য লোকজন তাকে নয়ে হাসাহাসি করেছিল,তখন কেউ জানতে পারবে না ভেবে সে রাজি হয়ে যায়।তিনি সত্যিই এটি করতে চাননি,কিন্তু তিনি চাপের জন্য করেছিলেন।যখন ঘরে চারজন শ্বেত পুরুষ প্রোডিউসার থাকে এবং আপনি তাদের এমন কিছু বলেন এবং তারা সবাই হাসে। 
 
এটা এতোটাই কষ্টদায়ক যে,এটি আপনার কিছু বলতে চাওয়ার ইচ্ছাটাকেই মেরে ফেলে এবং দ্বিতিয় বার কিছু বলতে ইচ্ছে হয়না।এবং সেই ভিডিও প্রকাশের সাথে সাথেই মিয়া খলিফার নোংরা ছোট্ট গোপন বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্ষোভে পরিণত হয়।কিছু দিনের মধ্যেই,তার পুরো পৃথীবি ভেঙে পরে, তার পরিবার তাকে অস্বীকার করল।সে মৃত্যুর হুমকি পেল।তার ঠিকানা ফাস করে ইন্টারনেটে শেয়ার করা হয়েছিল।
 
এমনকিখন সে সব কিছু ত্যাগ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করেছিল,তার ভুলগুলো তাকে সর্বত্র অনুসরণ করছিল।সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাই,যখন আমি জনসম্মুখে যাই,কারণ লোকজনের চাহনি দেখলেই মনে হয়,তারা আমাকে কাপর চোপড়ের উপর থেকেই দেখতে পায়। 
 
এটি আমার জন্য প্রচণ্ড বিব্রতকর ছিল।তার কর্মফলকে আরও খারাপ করতে,মিয়া তার ভিডিও থেকে কোনো টাকা উপার্জন করে নি।অথচ তার আপত্তিকর ভিডিওর পিছনের আসল মাস্টারমাইন্ডরা মিয়াকে ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে।আজ,যে কেউ তার ভিডিওগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে পারে আর মিয়া এ ব্যপারে কিছুই করতে পারে না। 
 
আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে এটি নামানোর জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করেছি।কিন্তু কোম্পানি রাখবে...তারা কিছু শুনবে না।এবং আমরা তাদেরকে অসংখ্য অফার করেছি।আমি শুরুতে আপনাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম,মিয়া খলিফা কি তার অতীতের ভুল দ্বারা আজীবন সংজ্ঞায়িত করা করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য,আপনাকে জানতে হবে যে,এই মহিলাটি আজ কে? মিয়া নিজেকে একজন খেলার ধারা ভাষ্যকর,একজা শেফ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে,একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রি-ব্রান্ডিং করেছেন। কোনো অল্পবয়সী মেয়ে যেন তার করা ভুল না করে,তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সবকিছু করেছেন।
 
এখন তিনি মেয়েদেরকে নিজেদেরকে ভালবাসতে ও আত্মসম্মানের গুরুত্ব শেখান।আমি প* যাওয়ার কারণ হল,আমার আত্মসম্মান কম ছিল এবং আমি চাইনা যে এসব নারীরা Instragram-এঃ থাকুক এবং লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার থাকা অন্য মেয়েদেরকে দেখতে পাবে যারা সবসময় গোছনো এবং পার্ফেক্ট।তিনি অনেক নারীকে অনুপ্রাণিত করেছেন যানা তার অতীতের নিরাপত্তাহীনতার সাথে নিজেদের মিল খুজে পায়। আপনার সুখের জন্য পুরুষ বা অন্য কারো উপর নির্ভরশীল হবেন না।মিয়া খলিফা তার কর্মের পরিণতি পুরোপুরি বুঝেন এবং চান যে,অন্য কেউ যেন তার মত এসবের মধ্য দিয়ে না যায়।
 
নাইটফাম,এটা সত্য যে,আমরা সবাই ভুল করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভগ্যবান যে,পুরো বিশ্বকে সেগুলোর স্বাক্ষী হতে হবে না এবং বারবার সেগুলে দেখে উপভোগ করতে পারবে না। আমরা সকলেই আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার সমারোহ যা আমাদেরকে লজ্জিত করে,কিন্তু মজবুতও বানায় এবং আমি শেষ পর্যায়ে আমি শেষবারের মত আমি জিগ্যেস করতে চাই। তার পুরো ঘটনাটি মাথায় রেখে,মিয়া খলিফাকে কি তার অতীতের ভুল গুলো দ্বারা আজীবন সংজ্ঞায়িত করা উচিত? 
 
-ক্রেডিট Project Nightfall
-তামান্না
 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url