Nobi More Chokher Moni Nobi More Surer Dhoni | নবী মোর চোখের মনি নবী মোর...

--মারিয়া বাইরে গিয়ে কাউকে দেখতে পেল না।
এখানে তো কেউ নেই কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম কেউ একজন সরে গেল।
সে নিশ্চয়ই আমার সব কথা শুনে ফেলেছে। কি করব এবার?
মাধবীর সাথে কথা বলতে হবে ওই আমাকে বাঁচাতে পারবে।
মাধবী হাঁপাতে হাঁপাতে ছাদে এসে একজনকে কল করলো।
--হ্যালো তিথি দোস্ত আমার একটা হেল্প লাগবে প্লিজ না বলবি না।
--তুই আমার অনেক বড় উপকার করেছিস তাই আমি সারাজীবন তোর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি যদি তোর কোন হেল্প করতে পারি তাহলে আমার অনেক ভালো লাগবে।
বল কি সাহায্য চাস?
--তিথি দোস্ত দেখ তুই তো সবই জানিস আমি তুহিনকে ভালোবাসি। তুহিনকে পাবার জন্য আমি আজ পর্যন্ত কি কি করেছি সবকিছুই জানিস। মারিয়ার ব্যাপারটাও জানিস।
হুম জানি তো এখন বল কি হয়েছে।
মারিয়া কালকে তুহিনের সাথে পালানোর প্ল্যান করছে। আর কালকেই ওরা বিয়ে করবে।
--কিন্তু কালকে তো শাহেদের সাথে মারিয়ার বিয়ে হওয়ার কথা।
আমি তো মনে করেছিলাম মারিয়া সবকিছু মেনে নিবে কিন্তু এখন তো উল্টো হচ্ছে।
--তুই করতে চায়ছিস মাধবী?
দেখ তিথি আমার কথা ভালো করে শোন তুহিন কোন দিন মালাকে দেখে নি।এই বিষয় টাই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
আমি বুঝতে পারছি তুই কি বলতে চায়ছিস কিন্তু মারিয়াকে কি করে আটকাবি?
--সে আমি দেখে নেবো।শোন তোকে আমি কাজি অফসের ঠিকানাটা বলছি তুই ঠিক সময়মতো চলে আসবি আর সাথে আরো ২/১জনকে আনিস সাক্ষী লাগবে তাই।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি সময়মতো পৌঁছে যাবো।
--কিসের সাক্ষীর কথা বলছিস মাধবী?
মারিয়া কি আমার সব কথা শুনে ফেললো?
--তেমন কিছু না।
--কিছু না মানে আমি তো শুনলাম তুই বললি।
আর তুই এতো ভয় পারছিস কেন?
--ভয় কেন পাবো। আসলে আমার এক ফ্রেন্ড কালকে পালিয়ে বিয়ে করছে তাই বলছিলাম।
পালিয়ে বিয়ে করার কথা শুনে মারিয়া ঘাবড়ে গেল তারপর বললো কোন ফ্রেন্ড নাম কি?
--তুই চিনবি না।
চিনবো না কেন তোর আর আমার ফ্রেন্ড তো একই।
এটা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড।
আচ্ছা ঠিক আছে ঘরে চল তোর সাথে আমার অনেক কথা আছে।
হুম চল।
সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মাধবী ইচ্ছে করে মারিয়ার পায়ে পা বাধিয়ে দেয়।
মারিয়া সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পরলো আরেকটু হলেই মারিয়া মাথায় খুব জোরে আঘাত পেতো কিন্তু তুহিন বাঁচিয়ে নিলো।
মারিয়া তুহিনকে জরিয়ে ধরলো কারন সে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে। আমি থাকতে আপনার কিছু হতে দেবো না ম্যাডাম।
আমি জানি তুহিন তুমি শুধু আমার আর আমি শুধু তোমার।
বুঝলাম না ম্যাডাম।
এতো বুঝতে হবে না বলে মারিয়া হাসতে হাসতে চলে যাচ্ছিল।
ততক্ষণে মাধবী নিচে চলে এসেছে আমি সরি মারিয়া আসলে কি করে যে পা লেগে গেলো।
আমি ঠিক আছি মাধবী তুহিন থাকতে কোন বিপদ আমাকে ছুঁতে পারবে না।
বলে মারিয়া চলে যাচ্ছিল কিন্তু তুহিন তাকে থাকলো।ম্যাডাম আপনার সাথে একটা জরুরী কথা ছিল।
পরে বলো তোমার জরুরী কথা বিউটি কুইন তুমি আমার সাথে এসো তোমাকে একটা জিনিস দেয়ার আজূ বলে শাহেদ মারিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেল।
তুহিন ও চলে যাচ্ছিলো তখন মাধবী বললো তুহিন তুমি মালাকে খুব ভালোবাসো তাইনা।
--জি ম্যাডাম।
--তুহিন তুমি আমাকে ম্যাডাম ডাকবে না।মাধবী বলে ডাকবে।
--কিন্তু।কোন কিন্তু না তুহিন।
আচ্ছা মাধবী।
রাতে ছাদে তুহিন একা একা বসে ছিল।
মারিয়া সেখানে গেলো।তখন কি বলতে চেয়েছিলে তুহিন।
--ম্যাডাম আপনি এখন এখানে?
--ঘুম আসছিলো না তাই।
সে কি কথা ম্যাডাম কাল আপনার ছোট বেলার ভালোবাসা র সাথেবিয়ে আর আজকে এতো রাত পর্যন্ত জেগে আছেন। আপনার তো খুশি হোওয়ার কথা।
সেসব কথা বাদ দাও এখন বলো কি বলবে।
মাধবী মারিয়ার পিছু পিছু চলে এসেছে। আর এখন লুকিয়ে লুকিয়ে সব দেখছে।
--কালকে মালা আমাকে কাজী অফিসে যেতে বলেছে।
--বাহ্ একদম কাজী অফিসে গিয়ে দেখা করবে নাকি।
--ও অনেক কান্নাকাটি করছিল ‌কিন্তু আমি যেতে পারব না বলেছি।
কেন পারবে না।
--কারন কালকে আপনার বিয়ে আর স্যার আমাকে বলেছে আপনার বিয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন কোথাও না যায়।
--আমি বলছি তুমি যাবে। কিন্তু ম্যাডাম।
এতো দিন তুমি আমার সব কথা শুনেছো আর এটাও শুনতে হবে কারণ এটা আমার অর্ডার।
--আচ্ছা ম্যাডাম দেখা যাবে।
এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
সবার চেঁচামেচি তে মাধবীর ঘুম ভেঙ্গে গেল।
দ্রুত বাইরে এসে তা শুনলো তাতে তো মাধবী রেগে আগুন হয়ে গেল।
কারন সকাল থেকে মারিয়া আর তুহিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইশ আমি কি ভুলটাই না করলাম। আজকে একটু কম ঘুমাতে পারলাম না তখনই হুট করে মাধবীর মনে হলো মারিয়া তো কাল রাতে ওকে সবকিছু বললো মানে তুহিনের সাথে পালানোর কথা আর এটাও বললো যে আমি যেন তাকে সাহায্য করি পালাতে।
আর আমাকে তো সাথে যাওয়ার কথা ও বললো সাক্ষী দেয়ার জন্য। তাহলে আমাকে না বলে পালিয়ে যাওয়ার কারন কি?
মারিয়া কি আমার সাথে ভাবল গেম খেললো।
এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে মারিয়া দেখ এবার আমি কি করি।
মাধবী তুমি কিছু জানো ওরা কোথায় যেতে পারে। (মারিয়ার বাবা)
না আঙ্কেল আমি জানি না।
সবাই সবার মতো করে খোঁজ নিচ্ছে।
মাধবী একবার ভাবলো মারিয়ার বাবা কে সব বলে দিবে কিন্তু না আমি বললে হবে না তাহলে সবাই আমাকে আরো বলবে আগে কেন বলিনি তার থেকে বরং তিথিকে বলি মারিয়ার বাবা কে ফোন করে সবকিছু বলে দিতে।
মাধবী তিথিকে কল করতে যাবে তখনই শাহেদ এসে হাত চেপে ধরলো আর বললো.....
.
.
.
.
.
চলবে...............
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url