আমার নবী প্রাণের নবী গো | Amar Nabi Praner Nabi | Amar Nobi Praner Nobi ...
#ডেজ্ঞারাস খালাতো বোন MUNNE
, লেখক // আরমান হোসেন (সোহেল)
মুন্নি যদিও সম্পর্কে আমার খালাত বোন হয়। তবে বয়সে আমার থেকে এক বছরের বড়। শুধু বয়সে বড় নয় চাকরি ও করে আমার থেকে বেশি বেতনের টাকা। আম্মুর ইচ্ছে তার বোনের মেয়েকে তার ছেলের পুত্র বঁধু করে আনবে।
ভাইয়াকে আম্মু অনেক বলছে মু্ন্নিকে বিয়ে করতে। কিন্তু ভাইয়া আত্বীয় স্বজনদের মাঝে কোন রকম সম্পর্ক করতে রাজি নয়। আর খালাম্মার ৩টা মেয়ে সব গুলা দেখতে মাশাল্লাহ।
বাকি ২ জনের বিয়ে হয়ে গেছে এখন শুধু মুন্নির বিয়ের বাকি। খালাম্মার কোন ছেলে সন্তান নেই তাই খালাম্মারও খুব ইচ্ছে ছিলো ভাইয়ার সাথে মুন্নির বিয়ে দিতে। কিন্তু ভাইয়া রাজি হয়নি বলে আর বিয়েটা হয়নি।
আমি মাত্র পড়া শোনা শেষ করে ছোট একটা প্রাইবেট কম্পানিতে নতুন চাকরিতে জয়েন করেছি। মোটা মুটি বেতন পাই তা দিয়ে আমার চলে যাচ্ছে। ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে গেছি আম্মু বলছে তার বোনের বাড়ীতে বেড়াতে যাবে। আমি আবার খালাম্মার বাসায় বেড়াতে যেতে পছন্দ করতাম তাই আম্মু আমাকে একবার বলাতেই রাজি হয়ে গেছি।
আমি সাট পড়তেছি এমন সময় পারুল ভাবি রুমে এসেছে তবে ভাবি আমাকে ভাই বলে ডাকে কারন ভাবির আর কোন ভাই বোন নেই। আর আমিও ভাবিকে ভাবি বলিনা আপু বলে ডাকি কারন আমারো কোন বোন নেই।
পারুল :- ভাই তুই কি খালাম্মার বাসায় যাবি?
আমি:- হ্যা যাচ্ছি তো। আর অনেক দিন ধরে খালাম্মাকে দেখিনা। যাই একটু খালাম্মাকে দেখে আসি।
পারুল :- আম্মাজান তোমাকে কেন তার বোনের বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছে?
আমি:- কেন নিয়ে যাচ্ছে আম্মু একা যেতে পারবে না তাই নিয়ে যাচ্ছে।
পারুল :- আরে বোকা তার জন্য নই। আসলে আম্মাজান চাচ্ছে......
তখনি আম্মু এসে হাজির আর ভাবি কথা থামিয়ে দিয়েছে।
আম্মু:- সোহেল তুই কারো কোন কথা শুনিস না। আমি যা বলি তুই তাই করবি। চল আমার সাথে বলে আম্মু আমার হাত ধরে সোজা টেনে নিয়ে এসেছে।
আমি:- আম্মু ভাইয়ার বাইকটা নিয়ে নেই তাহলে আর রাস্তায় গাড়ীর ঝামেলা করতে হবে না।
আম্মু:- ঠিক আছে যা।
আমি:- ঠিক আছে আপনি এখানে দ্বাঁড়ান আমি বাইকটা নিয়ে আসতেছি। আমি গিয়ে বাইকটা নিয়ে এসেছি আম্মুকে পেছনে বসিয়ে নিলাম। সারা রাস্তা আম্মু আমাকে শুধু একটা কথা বলছে,,
আম্মু:- দেখ বাবা সোহেল তুই আমার একটা কথা রাখবি, আমি তোর কাছে জীবনে আর কিছু চাইবোনা। আর আমার বিশ্বাস তুই আমার এই কথাটা রাখবি।
আমি:- আম্মু আপনি যা বলবেন তাই হবে এখন একটু চুপ করে বসে থাকেন। ১ ঘন্টা পর খালাম্মার বাড়ীতে গেলাম। খালাম্মা আম্মুকে দেখে জড়িয়ে ধরেছে। আমি সবাইকে ভাল মন্দ জিগেস করে নিছে সুফায় বসে আছি।
খালাম্মা:- বাবা সোহেল আমি অনেক খুশি হয়ছি তুমি আমার মনের কথাটা রাখার জন্য।
আমি:- আরে খালাম্মা আপনি এমন ভাবে বলছেন কেন। এইটা তো আমার কর্তব্য আর আম্মু বলছে আমি না করতে পারি।
খালাম্মা:- আয় বাবা আমার বুকে আয় বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমা দিয়েছে। তখনি মুন্নি এসে বলে,,,
মুন্নি:- এত আদর দেখাতে হবে না, এসোহেল তুই আমার সাথে আয়। তোর সাথে আমার কথা আছে।
আমি:- আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই।
মুন্নি:- এই তোর কথা বলতে হবে না। তুই দাঁড়িয়ে আমার কথা গুলা শুনবি। আয় বলছি বলে আমার হাত ধরে মুন্নি শিড়ি দিয়ে উপড়ে নিয়ে যেতেছে। তখনি আমার আরেক খালাত বড় বোন নিপা নামতেছে শিড়ি দিয়ে।
নিপা:- আরে তোর পিচ্চি বরকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস? একটু পর তোদের বিয়ে হয়ে যাবে আর রাতে বাসর! তখনি মন খুলে যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে যাস।
আমি:- কে কার বর আর বিয়ে কার?
নিপা:- আজকে তোর আর মুন্নির বিয়ে আর তুই জানিস না মনে হয় এমন ভাব করতেছিস?
মুন্নি- আপু তুই যা আমি সোহেলকে সব বুঝিয়ে বলতেছি। মুন্নি আমাকে টেনে সোজা ছাদে নিয়ে এসেছে। এই তুই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ছিস কেন? তুকে আমি খুন করে ফেলবো বলে আমার গলা টিপে ধরছে। আর আমি ঠিক তখনি,,,,
আমি:- আম্মু বলে এক চিৎকার দিয়েছি আর মুন্নি আমার মুখ চেপে ধরেছে।
মুন্নি:- এই তুই চিৎকার দিলি কেন?
আমি:- (মুন্নির হাতটা সরিয়ে) আমার বিয়ে আমি জানিনা আম্মুকে এখনি জিগেস করতে হবে। আমাকে এই জন্য এত আদর যত্ন করে বলি দেওয়ার জন্য এখানে নিয়ে এসেছে।
মুন্নি:- কি তুই জানিস না আজকে তোর বিয়ে? আর আমার সাথে তোর বিয়ে হলে তোর বলি দেওয়া হবে? যাক ভালোই হবে তুই আমাকে বিয়ে করিস না কেমন। আসলে তুই যদি আমাকে বিয়ে না করিস তাহলে আমার বয় ফ্রেন্ডের সাথে আমি বিয়ে করতে পারবো।
আমি:- এই আপনার মত গ্যাস সিলিন্ডার কে আমি কেন বিয়ে করতে যাবো। আর তাছাড়া আপনি আমার থেকে এক বছর তিন মাসের বড়। আপনাকে বিয়ে করলে আমার বন্ধুরা আমাকে কি বলে ডাকবে জানেন?
মুন্নি:- আরে আমি তো তুকে বিয়ে করতে রাজি নয়। আর আমরা তো দুজন দুজনকে বিয়ে করতে চাইনা। এখন এক কাজ কর তুই এই ছাদ দিয়ে নেমে পালিয়ে যা। আজকে আমার বিয়ে সবাই যানে আর যদি বিয়ে ভেঙে যায়। তাহলে সময় করে আম্মুকে বলে আমি রাজিবের কথাটা বলে দিব। দেখ সোনা ভাই আমার তুই আমার এই উপকার টুকু কর।
আমি:- আম্মু জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবে। এক কাজ করি চলেন আমি আর আপনি মিলে আমাদের পরিবারের সবাইকে বুঝায় বেপারটা।
মুন্নি:- আম্মু আর খালাম্মা এইটা জীবনেও মেনে নিবে না। ভাই আমার সোনা লক্ষী তুই এই ছাদ দিয়ে নেমে যা।
আমি:- আম্মুকে আপনি মেনেজ করিয়েন কেমন। বলে আমি ছাদ দিয়ে নিছে একটা রসি ফেলানো আর রসি দিয়ে একটু নিছে নামার পরে মুন্নি চলে গেছে। অনেক কষ্ট করে নিছে নেমেছি তখনি চেয়ে দেখি আম্মু আর খালাম্মা হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আম্মু:- এই জন্য তুই আমাকে বলেছিস তুই আমার সব কথা রাখবি। বলে ধুম ধাম বাড়ি দিতে লাহলো। আমাকে মন মত ধোলাই আর বকে কান ধরে বাড়ীর ভীতরে নিয়ে এসেছে। ভীতরে ঢুকে দেখি মুন্নি লুঙ্গী ডান্স দিতেছে। আমাকে দেখে ডান্স বন্ধ করে চোখ গুলা বড় বড় করে তাকিয়েছে। আর হাত দিয়ে ইশারা করে বলছে আজকে আমাকে খুন করবে। এদিকে আম্মু আমার হাত ধরে রাখছে কিছুক্ষনের মধ্য কাজি আর মৌলভীকে নিয়ে এসেছে আঙ্কেল। সবাই মিলে তারা তারি করে আমাদের বিয়েটা পড়িয়ে দিয়েছে। এমনি নিপা আপু বলে,,,
নিপা:- আমি আগেই বুঝতে পারছি তোরা দুজনে প্লান করবি তাই আম্মুকে বলে দিয়েছি।
খালাম্মা:- বাবা সোহেল মুন্নি অনেক ভালো মেয়ে সে একটা অচেনা ছেলেকে লাভ করে। শুধু ফেসবুকে পরিচয় দুজন দুজনকে ছবিতে দেখছে কোন দিন সরাসরি দেখা হয়নি। তাই আমি আর তোর মা মিলে তোদের বিয়ে দিয়েছি। তবে বাবা তুই কিন্তু মুন্নি সব কিছু বুঝিয়ে সারা জীবন আগলে রাখবি।
আম্মু:- দেখ আপা আমার ছেলে জাদু যানে দেখিস মুন্নি সব কিছু ভূলে সোহেল নিয়ে থাকবে।
নিপা:- চল সোহেল তোকে মুন্নি রুমে নিয়ে যাই। আমার ইচ্ছে হচ্ছে না তাও নিপা আপু আমার হাত ধরে টেনে মুন্নি রুমের সামনে এনে দিয়েছে।
আমি:- আপু আপনি যান আমি ভীতরে যাচ্ছি।
নিপা:- আমি বুঝতে পারছি বলে আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে ভীতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি চেয়ে দেখি মুন্নি রুমে নেই মনে হয় বাথরুমে গেছে। কিন্তু বাথরুমের দরজাটাও খোলা তাহলে মুন্নি গেলো কোথায়। তখনি চেয়ে দেখি জানালাটা খোলা আর খাঠের উপড় একটা সাদা কাগজে কি সব লিখা। হাতে নিয়ে দেখি লিখা আছে
মুন্নি চিঠি:- সোহেল তোর সাথে বাসর করার আমার কোন ইচ্ছে নেই। আমি তোকে বলেছি তাও তুই আমাকে বিয়ে করেছিস। তাই আমি আমার ভালোবাসার মানুষের কাছে চলে গেলাম। কিছু দিন পর তোর ডির্ভোসের কাগজটা পেয়ে যাবি। নতুন করে কাওকে বিয়ে করে নিস কেমন। ইতি তোর বড় আপু মুন্নি।
আমি:- মুন্নি বড় আপু হা হা হা একটু আনন্দে নাজ্ঞিন ডান্স করে নেই। তখনি মনে পরে গেল আন্টি যদি জানতে পারে তাহলে নিরগাত স্টোক করবে। এখন আমি মুন্নিকে কোথায় খুজবো। না বসে থাকলে হবে না যাই মুন্নিকে খুজে আনতে হবে। আমিও জানালা দিয়ে বেরিয়ে সোজা বাস স্ট্যান্ড চলে এসেছি। না এখানে তো মুন্নি নেই। দূর পালিয়ে যাওয়া খবরটা বাড়িতে জানিয়ে দেয়। মোবাইলটা বের করে ফোন করেছি আম্মুকে এমনি কেও একজন পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
আমাকে বাচান প্লিজ আমাকে বাচান বলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। আমি ওকে ছারিয়ে মোবাইলের আলো দিয়ে চেহারাটাই দিয়ে তো পুরাই অবাক হয়ে গেছি আরে মুন্নি আপু আপনি এখানে। আর আমি আপনাকে তন্য তন্য করে খুঝতেছি।
মুন্নি:- তুই এখানে কি করে আসলি?
আমি:- সেই কথা পরে হবে আগে বাড়ীতে চলেন। তখনি কিছু ছেলে এসেছে। মনে হয় ফুটপাতে বড় হয়ছে হীরন গাজা এসব নিয়ে পড়ে থাকে। আমি মুন্নি ওদের সামনে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে মিসেয়ে ওর কপালে গালে কিস করতেছি আর বলতেছি,, আমার সোনা বউ তোকে আমি কত খুঝতেছি বলে মুন্নির হাত ধরে এক দৌর।
মুন্নি:- কি হল বাড়ীর দিকে নিয়ে যাচ্ছিস কেন আমি বাড়ীতে যাবো না।
গল্প লেখা
কোন পেশা নয়,,প্রভাসে সময় কাটানো,,,,
আমি:- যদি ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা আমাদের রুমে না যাই তাহলে সব গন্ড গুল হয়ে যাবে। কারন আমি আম্মুকে ফোন করেছি আর আম্মু এখন আমাকে ফোন করতেছে। আমার মোবাইলে চার্জ নেই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আম্মু সহ সবাই রুমে আসবে। আর যদি আপনাকে আর আমাকে রুমে না পাই তাহলে খালাম্মার কি হবে একবার ভেবে দেখুন। কথা বলছি আর দৌরাচ্ছি দুজনে তারা তারি করে জানালা দিয়ে রুমে ঢুকেছি। তখনি দরজায় কন্ক করতেছে আর আমি মুন্নিকে টান মেরে আমার কাছে নিয়ে এসেছি।
মুন্নি:- কি হয়ছে গিয়ে দরজাটা খুলে দাও তাহলে তো হয়ছে।
আমি:- হ্যা যাচ্ছি বলে মুন্নির ঠোটে হাত দিয়ে লিপস্টিক ছেত্রাই দিয়েছি। চোখের কাজল গুলা আর গালের মেকাপে লিপস্টিক লাগিয়ে দিয়েছি। চুল গুলা এলো মেলো করে দিয়েছি।
মুন্নি:- কি হলো এমন করছিস কেন?
আমি:- সবাই বুঝবে আমাদের বাসর ঘরের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছ। আমি গিয়ে দরজাটা খুলে দিয়েছি আর তখনি মু্ন্নি দরজার সামনে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,,
মুন্নি:- কি হলো আমাদের কি শান্তিতে বাসরটাও করতে দিবে নাকি। মুন্নির কথা শুনে সবাই লজ্জা পেয়ে চলে গেছে।
পরে আমাকে বলে কিনা আমিও দেখবো তুই আমাকে কতটা সহ্য করতে পারিস। তোকে এত কষ্ট দিব জীবনে ভালোবাসা কি কোন দিন পাবিনা আমি তো মুন্নির কথা শুনে পুরাই অবাক আরে এই মেয়ে বলে কি। আমাকে কষ্ট দিবে?
আমি:- শুনেন আপনি দুই মাসে আমার প্রেমে হাবু ডুবু খাবেন বলে দিলাম।
মুন্নি:- কথা দিলাম দুই মাসে না সারা জীবনেও তোর প্রেমে পরবো না। আর যদি পরি তাহলে তুই যা বলবি তাই হবে। আর না পরি তাহলে আমি যা বলবো তাই করতে হবে। এখন রাজি থাকলে বল।
আমি:- এখন কি করবো যদি রাজি হয় তাহলে কি মুন্নি আমার প্রেমে পরবে? ঠিক তখনি মুন্নি আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে এমন কথা বলছে তা শুনে তো আমি পুরাই অবাক হয়ে গেছি।
।প্রভাসে সময় কম তাই চোট করে লিখি,,
আপনাদের চোট ভাই সোহেল,,,,,,
।
যদি গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন আগামী পর্ব বড় করে দিব।
।
চলবে,,,,,