kobor kobita/কবর কবিতা/পল্লী কবি জসিম উদ্দিন

 

 #মায়াবতী

#পর্বঃ
মনোয়ারার ব্লিডিং দেখে ওখানে উপস্থিত সবাই ভয় পেয়ে গেল। এ বাড়িতে চিৎকার চেচামেচি শুনে আসেপাশের কিছু প্রতিবেশী জড় হয়ে গিয়েছিলো। এখানে বৌ পেটানো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার তাই বাঁধা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি সব মজা দেখছিলো। তাছাড়া এ বাড়িতে বড় বৌ এর ওপর অত্যাচার খুব সাধারণ ব্যাপার সবাই জানে। ছোট ছেলেটা বাদে এ বাড়ির মানুষ গুলোও খুব ঝগড়াটে। জাহানারা, আজিজুলের মুখ অত্যান্ত খারাপ তাই কেউ লাগতে আসে না এদের সাথে। 
 
মনোয়ারার ব্লিডিং দেখে ২/৩ জন মহিলা দৌড়ে এলো। তারা ভাবছে মনে হয় বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। রক্ত দেখা মাত্র রকিবুল মায়াকে কোলে করে ঘরে নিয়ে গেলো। বেচারি এমনিতে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে শেষ। এসব দেখলে আরও ভয় পেয়ে যেতে পারে। মায়া মা মা করে চিৎকার করছে। রকিবুল কিছুতেই মায়াকে শান্ত করতে পারছে না। সে মার কাছে যাবো বলে কাঁদছে।
রকিবুলের ও কান্না চলে আসছে মায়ার কান্না দেখে। তার ভাই এর অমানুষিকতার জন্য তার রাগ ও হচ্ছে খুব। দিন দিন বড় ভাবির ওপর ভাই এর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। 
 
মইনুল তো এ বাড়ির ছেলে হয়েও তার কোন ভুমিকা নেই। সে স্বার্থ ছাড়া আর কিছু বোঝে না। সারাদিন বৌ এর পিছে পিছে ঘোরে। যেন তার কেনা গোলাম। তার কথা মত চলে। এখন তো বাচ্চা হবার ছুতোই বউ এর সাথে শশুর বাড়ি যেয়ে উঠেছে। এ বাড়ির কারো প্রতি কোন টান বা ভালোবাসা নেই। বাড়িতে যে ২ টা বাচ্চা আছে তাদের পর্যন্ত কখনো আদর করে না, কিছু কিনে দেওয়া তো দুরের কথা।
একদিন মায়া উঠানে দাঁড় করানো তার শশুরের দেওয়া মোটরসাইকেলের ছিট ধরে ওঠার চেষ্টা করেছিলো আর আয়না দেখার চেষ্টা করেছিলো খেলার ছলে তাই নিয়ে মইনুল আর সোনিয়া চিৎকার চেচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলেছিলো। মায়ার মত লেংড়া কুৎসিত মেয়ের থেকে তার যৌতুকে পাওয়া গাড়ির মূল্য অনেক বেশি। গাড়ি পড়ে কিছু নষ্ট হলে বা আয়না ভেঙে গেলে তার ক্ষতি পূরণ কে দেবে?
চাচা হল বাপ সমতুল্য সে আদর করে মাঝেমধ্যে গাড়িতে চড়িয়ে একটু ঘোরাবে কি উল্টো তুলকালাম কান্ড শুরু করেছিল।
 
জাহানারা মইনুলদের কিছু না বলে উল্টো মনোয়ারাকে উদ্দেশ্য করে দাঁত খিচিয়ে বলেছিলো বাপের জন্মে গাড়ি দেখে নাই ফকিরের ছাও। মায়ে শিক্ষা দেয় নাই তারে যে অন্যের গাড়িতে হাত দিবার নাই।
এটা শুনে আজিজুল বলেছিলো, দেখবে ক্যামনে আমার মায়ে যে আমার কপাল পুড়াইছে। ভালো ঘরের মাইয়া আনলে তো ভালো জাত পয়দা হইবো, ভালো শিক্ষা পাইবো। খুঁইজা আনছেই ফকিরনি ঘর থিকা তো কি হইবো। 
 
রকিব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলো ওদের ঝগড়া দেখে, বাচ্চা একটা মেয়ে খেলতে খেলতে না বুঝে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলের কাছে গেছে তার জন্য এত কিছু! এরা কি মানুষ!
এরা সবাই এমনি এক প্রজাতি যে এদের কোন কিছু বোঝানো অসম্ভব ব্যাপার। এরা নিজেরাই এক একজন মহা পন্ডিত। এখানকার মানুষ গ্রামের ডাক্তার মোক্তার মানে না আদিকাল থেকে চলে আশা কুসংস্কার আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে। সঠিক বেঠিক যাচাই করে না। আগের মানুষ মেনে এসেছে এটাকেই নিয়ম বানিয়ে নিয়েছে। হোক সেটা ভুল। শিক্ষিত কেউ বোঝাতে গেলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে টিটকারি মারে। 
 
সেই তুলনায় রকিবুল তো বাচ্চা সে একটা ভালো কথা বলতে গেলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয় আরও নানা ধরনের টিটকারি মূলক কথা শুনতে হয়, "দুই কলম লেখাপড়া করে উনি একেবারে বিদ্যার জাহাজ হয়ে পড়েছেন, অর থিকা অহন আমাগো নতুন কইরা শিক্ষা লইতে হইবো, বেশি বোঝা মহা পন্ডিত সাহেব।" এধরনের নানান কথা।
তাদের বাবা মাজেদুলের মন মানসিকতা ও এমনই। তিনি মুরুব্বি তিনি সবাই কে ভালো শিক্ষা দেবেন কি তিনি সারাদিন তার বয়সী কিছু বেকার বন্ধু বান্ধব জুটিয়ে চা এর দোকানে বসে আড্ডা দেন ও সবাই মিলে পুরো গ্রামের চুগলি করে আনন্দ পান।
এসব ভাবতে ভাবতে রকিবুল মায়াকে কোলে করে হাটছিলো। মায়া রকিবুলের গলা জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে। ছোট মানুষ ব্রেনে বেশি চাপ নিতে পারেনি। রকিবুল মায়াকে আস্তে করে শুইয়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো। 
 
মহিলারা মনোয়ারাকে ধরাধরি করে কল পাড়ে নিয়ে গেছে। মেয়েলি ব্যাপার তাই রকিবুল বেশি কাছে গেল না। পরীকে এক প্রতিবেশী মহিলা কোলে করে আছে। সেখানে সে তার মা বা ভাইকে দেখতে পেলো না। গেলো কোথায় তারা খোঁজ নিতে রকিবুল তার মায়ের ঘরের দিকে গেল। রকিবুল ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় সে তার বাবার কথা শুনতে পেল,
 
মাজেদুল বলছেন, এত বড় ধাড়ি হলি তাও তর মাথায় বুদ্ধি হইলো না। এই অবস্থায় এই ভাবে কেউ মারে। বৌ শাসন করবা ভালো কথা এমন ভাবে মাইর দিবা যেন ব্যাথাও হয় আবার হুস ও থাকে। মারতে মারতে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এ কেমুন (কেমন) কথা। রক্তে ভাইসা যাইতেছে উঠান। জলদি পানি ঢাইলা ধোয়ার ব্যাবস্থা কর। ৭/১৭ কিছু হইলে গণপিটুনি খাওন লাগতে পারে।
 
আজিজুল তেজ দেখিয়ে বললো, আমার মায়েরে অপমান করছে আর আমি তারে মাথায় তুইলা নাচুম। বেয়াদপ, বেআক্কেলে মহিলা উচিৎ শাস্তি তার জন্য ফরজ। যেমনে মায়ের সাথে বেয়াদবি করছে তেমনে তার উচিৎ শাস্তি পাইছে। এ কথা শুনলে সবাই আরও কইবে আমি সঠিক কাম করছি। আজকাল আদব লেহাজের বালাই নাই। মুরুব্বি গো সম্মান দিবার জানে না বজ্জাত মহিলা গুলান। সব শেষ জামানার ইশারা। কেয়ামত ঘনায়ে আইতেছে।
 
মাজেদুল বললো এত মাথা গরম করলে কি চলে, কিছু একটা খারাপ হয়ে গেলে পুলিশ ধরবো সেই খিয়াল(খেয়াল) আছে? আজকাল গ্রামের সালিশ বিচারের কোন মূল্য নাই কথায় কথায় পুলিশ আইসা হাজির হয়। তখন তর কথা কেউ শুনবো না।
 
জাহানারা বললো, পোলা আমার যা করছে মা এর মান বাঁচাইতে উচিৎ কাম করছে। তুমি দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া খালি খালি আমাগো জ্ঞান না ঝাইড়া অহন কি করা উচিৎ বুদ্ধি দেও। ওই দিকে বেডির রক্ত পড়া কমছে না হগোলে(সকলে) কয় হাসপাতালে নিবার। 
 
মাজেদুল এক মূহুর্ত চিন্তা করে বললেন, বেডি মরলে তো আবার আরেক বিপদ পুলিশ আইসা বাড়ি সুদ্ধ বেবাগের কোমরে দড়ি দিয়া লইয়া যাইবো গা। আমার মনে হয় অরে হাসপাতালে লইয়া যাওনই ভালা। ভালোমন্দ কিছু হয়ে গেলে সবের(সবার) বিপদ। আর তুমার(তোমার) ওই গুনোধর পোলা রে কও কিছুদিন গা ঢাকা দিবার। এলাকায় যেন তারে দেখা না যায়। পরিস্থিতি বুইঝা এলাকায় ঢুকবো।
রকিবুল ঘরে ঢুকে বললো বাহ্ বাহ্ তোমাগোর বুদ্ধিতে অবাক হই। একটা মানুষরে মাইরা আধমরা কইরা হাসপাতালে না নিয়া ফালাইয়া থুইয়া তুমরা সলা-পরামর্শ করতেছো গা ঢাকা দিবার। 
 
আজিজুল রেগে গিয়ে বললো মা, তুমার ওই হাতেম তাই রে সময় থাকতে সামলাও। তা না হইলে কিন্তু তুমার কপালে দুঃখ আছে। ভাবির লাইগা দরদ উথলাইয়া উঠে নিজের বিয়ের পর তো মইনুলরেও ফেল কইরা দিবো। আমি রাগলে কিন্তু তারে সুইদ্ধা হাসপাতালে পৌঁছাইয়া দিমু। 
 
জাহানারা বললেন, আচ্ছা বাপ মাথা ঠান্ডা কর এখন মাথা গরম করবার সময় না। তুই কয়দিন গা ঢাকা দিয়া থাক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হইলে বাড়িত আসিস। জাহানারা কিছু টাকা বের করে ছেলের হাতে দিলো।
মাজেদুল আর রকিবুল প্রতিবেশী এক মহিলাকে সাথে নিয়ে মনোয়ারাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। জাহানারা গেল না দুটো বাচ্চা ঘরে আছে এই উছিলা দিয়ে তাদের দেখবে কে। হাসপাতালের দুনিয়ার ঝামেলা কে পোহাবে তাছাড়া খারাপ কিছু হয়ে গেলে পরিস্থিতি কি হয় কে জানে।
মনোয়ারার প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। একজন মহিলা ডাক্তার মনোয়ারাকে দেখে আঁতকে উঠলেন। একি অবস্থা! মাজেদুল হাত কচলে বললেন, আসলে উঠোনে পিছলাইয়া পইড়া এই এক্সসিডেন (এক্সিডেন্ট) হইছে।
ডাক্তার সাহেবা অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রাগান্বিত স্বরে বললেন, তা তো আমি নিজ চোখে দেখতেই পারছি পড়ে যেয়ে কোথায় কোথায় চোট লেগেছে। আপনি এনার কি হন?
মাজেদুল ঢোক গিলে বললেন, আমি এর শশুর।
ডাক্তার সাহেবা বললেন, এর স্বামী কোথায়?
 
মাজেদুল আমতা আমতা করে বললেন, সে জরুরী কাজে এলাকার বাহিরে আছে।
ডাক্তার সাহেবা গলা চড়িয়ে বললেন, খুব বুঝতে পারছি সে কেন পালিয়েছে। আপনারা কি মানুষ? এটা তো পুলিশ কেস। আপনাদের সব কয়েকজনকে আমি পুলিশে ধরিয়ে দেবো।
মাজেদুল বেশ ভয় পেয়েছে তার গলা শুকিয়ে আসছে। রকিবুল বললো, ম্যাডাম আপনার যা করার পরে করবেন। দয়াকরে আমার বড় ভাবি কে বাঁচান। তার বাড়িতে ছোট ছোট দুটো বাচ্চা আছে।
কয়েকটা টেস্টের পর জানা গেল মনোয়ারা অন্তঃসত্ত্বা নয় তার জরায়ুতে টিউমার আছে এবং সেটাও বেশ খারাপ অবস্থায়। ইমারজেন্সি ভাবে অপারেশন করতে হবে। অনেক রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। রক্ত লাগতে পারে। রক্তের গ্রুপ "বি পজেটিভ'।
 
মাজেদুল এতকিছু বোঝেন না তিনি বললেন, জানে বাঁচবে তো? যা তার জন্য ভালো হয় তাই করেন। তারে বাঁচান। টেকা পয়সা নিয়া চিন্তার কিছু নাই। যা লাগে আমি দিমু।
রকিবুল বললো, ম্যাডাম আমি একবার রক্ত দান কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেছিলাম। তখন জানতে পারি আমার ও "বি পজেটিভ" রক্ত। আমি দিতে পারবো।
ডাক্তার ম্যাডাম মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, গুড আপাতত এক ব্যাগ হাতে থাক। "বি পজেটিভ" কমন রক্ত আরও লাগলে পাওয়া খুব একটা কঠিন হবার কথা নয়। 
 
মনোয়ারার অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। তার জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার সাহেবা মাজেদুলকে ডেকে বললেন, আপনার বৌ মার অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। তার জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না এখন মোদ্দা কথা হচ্ছে আপনার ছেলের বৌ আর কোনদিন মা হতে পারবে না।
মাজেদুল চমকে উঠে বললেন, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' কি কন আপনে! সে আর কুনো দিন মা হইতে পারবো না! সে এখন বাজা! মাজেদুল মাথায় হাত দিলেন।
ডাক্তার ম্যাডাম ধমকে উঠলেন, কি যাতা বলছেন! তার অলরেডি ২ টা বাচ্চা আছে শুনেছি। সে বাজা হয় কিভাবে!
মাজেদুল হা হুতাশ করে বললেন, দুইডাই মাইয়া। আমার পোলার কি বংশের আলো দেখা নসিবে নাই! হায় হায় কি সব্বনাশ(সর্বনাশ) হইয়া গেল রে... 
 
ডাক্তার সাহেবা বিরক্ত হয়ে বললেন, আপনারা কোন জামানায় পড়ে আছেন বলুন তো। আমার মেজাজ এমনিতেই খারাপ আছে আর চটাবেন না। আমি ভুলিনি তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। মেয়েটির জ্ঞান ফিরুক আমি তার সাথে কথা বলবো। আর শুনুন, জরায়ুতে টিউমার এটা মহিলাদের হতেই পারে। টিউমার মানেই ক্যান্সার নয় ভয় পাবেন না কিন্তু তার টিউমারের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। অপারেশনের পর কেটে বাদ দেওয়া অংশ পরীক্ষা করে দেখা হয় এর মধ্যে ক্যান্সারের কোন জীবাণু আছে কিনা। এই টেস্টের নাম বায়োপসি। এই টেস্ট সব জায়গায় হয় না এটার স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হয় ওখানে পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠায়। বুজতে পারছেন আমার কথা?
মাজেদুল মাথা চুলকে বললেন, মেডাম যা কাইটা ফালাইয়া দিছেন তার মধ্যে খারাপ কি আছে না আছে তা জাইনা কি হইবো হেইডা তো আর প্যাডের(পেট) মইধ্যে লাগান যাইত(যাবে) না। আজাইরা পয়সা নষ্ট। এমনিতেই কত্তো গুলান টেকা খরচা হইছে। 
 
ডাক্তার ম্যাডাম সহজে চটে যান না। তিনি খুব ভালো করে জানেন গ্রামের কিছু কিছু মানুষ অন্য ধরনের। তাদের হ্যান্ডেল করা মুশকিল। তিনি সবসময় ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এখানে এসে তিনি অনেক অভিজ্ঞতার সম্মূখীন হয়েছেন। এমনও হয়েছে গ্রামের দুই একজন পুরুষ তার থেকে চিকিৎসা নেয় নি তিনি মেয়ে বলে। আরও অনেক বাজে অভিজ্ঞতা তার আছে। তিনি সবসময় ধৈর্য্য ধরে থাকেন। কিন্তু আজ তিনি নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারছেন না। তার অসম্ভব মেজাজ খারাপ হয়েছে। মেয়েটাকে কি নির্মম ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি মেয়েটির জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় আছেন তার সাথে কথা বলে দরকার পড়ে তিনি পুলিশে খবর দেবেন। ডাক্তার সাহেবা কড়া ভাবে বললেন, আপনি এখন যান এখান থেকে। 
 
পুরো গ্রামে সার্কুলার হয়ে গেছে আজিজুলের বৌ বাজা হয়ে গেছে। হাসপাতালে ডাক্তার তার পেট কেটে বাচ্চা হবার কুদরত কেটে বাদ দিয়েছে। নাউজুবিল্লাহ কত বড় গুনাহের কাজ। বেচারির জীবনের আর কোন মূল্য নাই। একটা ছেলের মুখ দেখার সৌভাগ্য হলো না। এর থেকে সে মরে গেলে বাঁচত। কি যে আছে মেয়েটির নসিবে...
#চলবে
#লেখাঃ #এম_আফরোজ_রূপালী

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url