Nachan Farrate VIDEO Song ft. Sonakshi Sinha | All Is Well | Meet Bros |...
Nachan Farrate VIDEO Song ft. Sonakshi Sinha | All Is Well | Meet Bros |...
বাবা-মায়ের ডিভোর্স শেষে যখন, আমার বাবা-মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলো। তাঁরা কাকে নিতে চায়।ছেলে নাকি মেয়ে।তখন আমার বাবা-মা এক সাথে বলে উঠলো। 'ছেলে'।বিষয়টা ছিলো খুব চমকপ্রদ। তাই মেম্বার চেয়ারম্যান সবাই অবাক নয়নে তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে।বেচারি আমি ছোট মানুষ আর কতোটুকুই বা বুঝি।কিন্তু এতটা বুঝেছিলাম কেউ আমার দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক নয়।আমি তখন বাবা-মায়ের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম।আসলে বোঝার চেষ্টা করছি কী হচ্ছে আর কী হবে। অবশেষে সবাই ঠিক করলেন,যেহেতু ভাই ছোট সে মায়ের কাছে থাকবে আর আমি বাবা-র কাছে। মা চলে গেলেন।আর যাবার সময় তৃপ্তির হাসি দিলেন মুখে।আর বাবা মুখ কালো করে চলে গেলেন।সেদিন থেকে শুরু আমার নতুন জীবন।বাবা নিজের দায়িত্ব তাঁর বাবা-মা এবং ভাই বোনের উপর চাপিয়ে দিয়ে চলে গেলেন ঢাকা। আহা জীবন।আমার ছোট্ট কিশোরী মনটার মৃত্যু হতে শুরু হলো সেদিন থেকে।অবহেলা অপমান আমার নিত্য দিনের সঙ্গী।আমি ছিলাম দাদা-দাদীর ঘারের উপরের বোঝা।আমাকে তাঁরা কেন জানি সয্য করতে পারতেন না।পান থেকে চুন খসলেই শুনতে হতো।ঠিক মায়ের মতো হয়েছে।খারাপের পেটে খারাপই হয়।মুখে ভাত আর চোখে জল ছিলো আমার সব থেকে আপন।চারিদিকে যখন আলোর ছড়াছড়ি তখন আমি দেখতাম অন্ধকার।রাতের অন্ধকারে যখন ভয় পেয়ে মুখ বুজে কান্না করতাম।কেউ ছিলো না বুকে টেনে নিয়ে ঝাপটে ধরে বলার মতো।ভয় কিসের আমি তো আছি।দুই ফুপির কাছে ছিলাম, একটা কাঠের পুতুলের মতো।তাঁদের ইচ্ছে মতো তারা আমায় সাজাতো,নাচাতো ব্যথা দিতো।সময়ের সাথে সাথে আমি যেন থমকে যেতে থাকি।দিনের পর দিন সব বদলে গেলেও বদলায় না আমার ভাগ্য।আমি আমার দাদা-দাদীর ছিলাম ছেলের ঘরের নাতী,কিন্তু তাঁরা আমার কদর করতো কোন কাজের মানুষের মতো।তাঁদের শত কদর ছিলো আমার ফুপির ছেলেকে নিয়ে।কত যে মিথ্যা অভিযোগে মার খেয়েছি তাঁর হিসেব নেই।একদিন আমার ছোট্ট অন্যায়ের জন্য আমার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিলো মুড়োঝাটা। যেটা আমার নরম পায়ে কাঁটার মতো গেঁথে গিয়েছিলো।তিরতির করে ছুটে ছিলো রক্ত।আহ কি ব্যথা, হৃদয় থেকে হয়তো এখনি দমটা বের হয়ে যাবে।শীতের বিকেল।চিনি কিনতে বাজারে গিয়েছিলাম।পথেই মায়ের সাথে দেখা।পাগল কুকুরের মতো ছুটে গিয়েছিলাম মায়ের কাছে।মা বুকে নিয়ে একথা ওকথা বললেন।আর আমি বললাম। আমি ভালো নেই মা।মা তখন একটি চিপস কিনে দিয়ে বললো।তোর ছোট খালার বিয়ে আসিস বর দেখে যাস।আমি এখন যা-ই সময় নেই।মা চলে গেলো।আমি চেয়ে চেয়ে দেখতে রইলাম মায়ের চলে যাওয়া।কি করার বাড়ি তো ফিরতেই হবে।চিপসটা চাবাতে চাবাতে চিনি কিনে বাড়ি ফিরলাম।আর চিপস কে কিনে দিলো দাদি জানতে চাইলে সহজ সরল মনে বলে দিলাম।'মা' আর ফলাফল দাদি বুকে পা দিয়ে মুখের ভিতরে ইটের কুঁচি ভড়ে দিয়ে এক নাগাড়ে মুখে থাপ্পড় দিতে রইলো। আর বলতে রইলো।তোকে কিছু খাওয়াই না, যে ওই ন’টি মা---র কিনে দেওয়া চিপস তুই খাচ্ছিস।আমি তখন চিৎকার করে কাঁদতেও পারিনি।মুখ থেকে যে রক্ত পরছিলো।আহ কি ব্যথা।সেদিন রাতে আর খাওয়া হলো না।মুখে যে কিছু দেওয়া যাচ্ছিলো না।দিলেই অসয্য যন্তণা হতো।পেটে খুব খিদে।মনে মনে ভাবলাম।যদি জানতাম, দশ টাকার চিপসের জন্য সারারাত না খেয়ে থাকতে হবে? তাহলে খেতাম না ওই চিপস, কি এমন হতো, না খেলে? আর আমার বাবা সে কি জানতো,আমি কেমন আছি।শুধু দায় এড়াতে মাঝে মাঝে ফোন দিতো।আর আমার সাথে যতটুকু সময় কথা বলতো।তা ছিলো সামান্য থেকেও সামান্য। আমি কেমন আছি সে খবর নেওয়ার মতো কেউ নেই।মাস্টার ছিলো না,তবুও ভালো রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। কিন্তু কেউ সেই রেজাল্ট হাতে নিয়ে বাহ বাহ বলেনি।কেউ কপালে চুমু দিয়ে বলেনি,সামনে আরো ভালো করতে হবে।দিন শেষে মুখ গুঁজে কাঁদার মতো কোন আশ্রয় ছিলো না।এভাবে কেটে গেলো ছয় বছর। বাবা দেশে বেড়াতে এলেন।ছয় বছরে মোট ছয়বার এসেছেন।আমি গুনে রেখেছি।এটা ঠিক তিনি ঢাকা গেলে, ঠিক মতো আমার খোঁজ না নিলেও এখানে এসে বেস আদরযত্ন করতেন।আর তখন বাড়ির সবার রূপ পরিবর্তন হয়ে যেতো।আমার জন্য তখন সবার মুখ থেকে ঝড়তো মধু।ইসস কী অমায়িক ব্যবহার।দেখে মন প্রান সব জুড়িয়ে যেতো।এর মধ্যে ভাইকে নিয়ে আসা হলো মায়ের থেকে। এখন আমি আর ভাই একসাথে থাকতে রইলাম।বাবা আর তাঁর ভাইয়ের কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলো।বিষয়টা আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়েই ছিলো। এক পর্যায়ে,ছোট্ট বিষয়টা অনেক বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ালো। আর এক সময় বাবা আমাদের নিয়ে বেড়িয়ে এলো।অন্যত্রে ঘর নিলো।শুরু হলো বাবা সন্তানের সংসার।একলা এভাবে কতদিন। এভাবে কি থাকা সম্ভব। এখন একটা বিয়ে করা উচিত। উঁহু কথা গুলো আমার নয়।পাড়াপ্রতিবেশির।ঠিক হলো বাবা বিয়ে করবে।ঠিক হতে দেরি বিয়ে হতে দেরি হলো না।ছোট্ট আয়োজনে বিয়ে হলো বাবা-র।এর মাঝে অনেক নাটক হয়েছিলো।যা আমার বাবা-মা করেছিলো।আর সেটা হলো। মা ফিরবে বাবা নিবে।বাবা-র শর্ত মা'কে ক্ষমা চাইতে হবে।আর মা ক্ষমা চাইবে না।দু'জনার ইগো।সর্বশেষ।তাঁরা কেউ নিজের ইগোকে নত করেনি।আর তাই তাঁদের নতুন করে আর মিলও হয়নি।বাবা-র নতুন বউ নতুন সংসার।বেস ভালোই আছেন বাবা।আমরা দুই ভাইবোন।হ্যা আমরাও ভালো আছি। জোর করে তেঁতুল গাছের ছালটা বেল গাছে লাগানোর চেষ্টা করছি।অবশেষে ছিটকে পড়ে গেলাম বাগানের বাহিরে।কারণ আমার শত মায়ের যে মেয়ে হয়েছে। দূর হয়ে গেলাম আমি,আর কদর বেড়ে গেলো ভাইয়ের।বন্ধ হয়ে গেলো বাবা-র থেকে পাওয়া শেষ ভালোবাসা টুকুও।আস্তে আস্তে আমি সবার থেকে আড়ালে চলে গেলাম।আমি নামের যে একটা মানুষ ছিলাম।তা সবাই ভুলেই গিয়েছিল। আমি নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে নিলাম।ভালো থাকতে রইলাম নিজের মতো করে।তখন জীবনে এলো আরো ঝড়।নতুন পা দেওয়া কিশোরী আমি।ঘরে মা নেই বাবা-র আমার প্রতি তেমন খেয়াল নেই।ইসস যদি এই নতুন ফোঁটা ফুলটা ছুঁয়ে দেখা যেত বেস হতো।এমন ভাবনা নিয়েই কিছু হায়েনা শিয়ালের দল আমার পিছু নিলো।হাসফাস করতে রইলাম আমি একটু আলোর মুখ দেখার জন্য। কেউ বিচ্ছিরি ভাষায় কথা বলতো।কেউ বা দিতো টাকার অফার।আমি যেন তাঁদের কাছে হয়ে উঠলাম।বাজারে ওঠা নতুন আমের মতো।যা তাঁদের চাই চাই।কেউ ছিলো না আমাকে আগলে রাখার মতো ওই শেয়ালের দলের থেকে।কখনো আমাকে তাঁদের নষ্ট চোখ দিয়ে গিলে খেতো।কখনো এ বাহানা ও বাহানায় নোংরা হাত দিয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা।বিষের থেকেও বিষাক্ত হয়ে উঠলো আমার জীবন।আর এই বিষাক্ত জীবনে এক বিশাল আকাশের রংধনু নিয়ে এলো আমার জীবনে আমার ভালোবাসা। তাঁর চাওনি তাঁর আচার আচরণ। সব বুঝিয়ে দিতো সে আমায় ভালোবাসে।নষ্ট হৃদয়টাকে রোজ সকাল বিকেল পানি দিয়ে তাজা করতে রইলো আমার ভালোবাসা। সুখের দেখা না পেয়েও আমি কোথাও যেন সুখ দেখছিলাম। অবুঝ মনের চাবিকাঠি দিয়ে দিলাম তাঁকে। কিন্তু জানতেই পারলাম না আমি ছিলাম তাঁর সুন্দর গোছানো একটি বাজি।যে জিতবে সে আমার সাথে রাত কাটানোর সুযোগ পাবে।কিন্তু কোন খারাপ কিছু ঘটার আগেই তাঁর সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেলো।তাঁর ছোট্ট একটা ভুলের জন্য আমাকে সারাজীবনের জন্য বউ করতে হলো তাঁকে ।তাঁর ছোট্ট ভুল ছিলো,সে ঝোঁকের বসে আমার এক আত্মীয় কাছে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। আর তাঁর এই মজা টাকে আমার আত্মীয় সিরিয়াস ভাবে নিয়ে নেন।আর ফলাফল আমি তাঁর বিয়ে করা বউ।সে যেন এটা মানতেই পারলেন না।একটা বাজি কি করে তাঁর ঘরের বউ হয়ে গেছে। এতো কিছুর মাঝেও আমি লেখাপড়া ছাড়তে চাইনি।কিন্তু আমার বাবা উঠে পড়ে লাগলেন আমার লেখাপড়া ছাড়াতে। আমার ছোট্ট একটা ভুলের মাশুল দিতে হলো লেখাপড়া ছেড়ে। আর সেই ভুলটা ছিলো মায়ের সাথে দেখা করা।মা নিজের ভুল বুঝছেন। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ তাঁরও অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গেছে।মা সুখে আছে সুখে আছে বাবা মাঝ নদীতে ভাসলাম শুধু আমি পড়ে একা। আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হলো মায়ের নতুন স্বামীর বাড়ি থেকে ।আর বলা হলো।আমি যদি লেখাপড়া করতে চাই,তাহলে যেন এই বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে করি।কোথায় যাবো।কে আছে আমার যে আমাকে লেখাপড়া করাবে।তাই ছেড়ে দিলাম লেখাপড়া। অল্প আয়োজনে তুলে দেওয়া হলো শ্বশুর বাড়িতে।ভেবেছিলাম সেখানে হয়তো সুখ পাবো।কিন্তু আমি বড্ড বোকা।যেখানে সুখ পাবার কথা সেখানে পেলাম না,আর যেখানে পাবার কথা নয় সেখানে কি করে পাবো।ঠিক তাই শ্বশুর বাড়িতেও পেলাম না,ভালোবাসা সম্মান।স্বামীর প্রয়োজন হয়ে পড়ে রইলাম ঘরের এক কোণে। শাশুড়ীর অখাদ্য ভাষা'র গালি, আর ননদের মুখ ঝামটি সকাল রাতের মেনু।আর মার সেটা তো কোন কথাই নেই।কথায় কথায় গায়ে হাত তোলা ছিলো আমার বরের চাকরি। আর তাঁকে তাল দেওয়ার জন্য ছিলো শাশুড়ী ননদী। মাঝে মাঝে বুক ফাটা একটা চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে করেছিলো।আমার দোষটা কোথায়।কিন্তু পারনি।মুখ বুঝে সয্য করে রাতের আঁধারে কেঁদে বুক ভাসিয়েছি।কিন্তু জল মুছে দেওয়ার মতো কাউকে পাশে পাইনি।তারপর কেটে গেলো আরো তিন বছর।এবার যে তাঁদের বাচ্চা চাই।তিন বছর হয়ে গেলো অথচ এখনো একটা বাচ্চা জন্ম দিতে পারলাম না।আমি কেমন নারী।শুরু হলো নতুন বিষয়ে নতুন টর্চার।আমি যেন শ্বাস নেওয়ার জন্যও সময় পেলাম না।ছেলে বিয়ে দিবো,ভাই বিয়ে দিবো,আমি বিয়ে করবো।এই কথা গুলোই প্রতি নিয়ত সুরার মতো পাঠ করা হতো আমার কানে।আমি যেন খাঁচা বন্দী এক পাখি হয়ে গেলাম।আমার জীবনের এতো কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও বাবা খোঁজ নিলো না আমি কেমন আছি।আমি মাঝে মাঝে খুব ভাবতাম। আমি তাঁদের মেয়ে তো? কিন্তু উত্তর দেওয়ার মতো কেউ নেই।এক বৃষ্টি ভেজা সকালে ভিজতে ভিজতে গিয়েছিলাম কিছু টেস্ট করাতে।এটাই জানার আমি কখনো মা হবো কিনা।টেস্ট করিয়ে জানতে পারলাম।আমি কখনো মা হতে পারবো না।এই শেষ কষ্টটাই বুঝি আমার পাওয়ার বাকি ছিলো পৃথিবী থেকে।টেস্ট করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক চলন্ত ট্রাক আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে,পিসে দিয়ে গেলো আমার যন্ত্রণা ময় শরীরকে ।হাত থেকে ছিটে পড়ে গেলো হাতের সব মেডিকেল রির্পোট।গাল মুখ আর নাক দিয়ে ছুটলো রক্ত। ঠিক সেদিনের মতো যেদিন দাদী আমার মুখে ইটের কুঁচি ঢুকিয়ে দিয়েছিলো।শুধু একটু পার্থক্য।সেদিন একটু পরেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছিলো, আজ হচ্ছে না।আমার নিথর হয়ে পড়া থাকা দেহটা নরছে না।রক্ত গুলো কোথাও জমে নেই আমার মতো।কারণ ওদের ধুয়েমুছে ছাফ করে দিচ্ছে বৃষ্টি। আর আমার শীতল চোখ দু'টি সামনে দৌড়ে আসা কিছু অচেনা মানুষের দিকে আটকে আছে।আহ কি শান্তি।আজ কেন আমার কষ্ট হচ্ছে না।আজ কেন আমার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়া থাকা শরীরে কোন যন্ত্রণা হচ্ছে না।আজ কেন আমার চোখের কানিস বেয়ে দু’ফোটা চোখের জল পড়ছে না।এতো শান্তি বুঝি মৃত্যুতে লুকিয়ে আছে।তাহলে মহান আল্লাহ তায়া’লা কেন আরো আগে এই শান্তিময় মৃত্যু আমাকে উপহার দিলেন না।হয়তো পৃথিবী থেকে পাওয়া শেষ কষ্ট পাওয়ার পরই আমার শান্তিময় মৃত্যু পাওয়ার কথা ছিলো।আচ্ছা আজও কি আমায় নিয়ে আমার বাবা-মা ঝামেলা করবে।কে নিব আমার লাশের দাফন কাফনের দায়িত্ব। নাকি আজও তাঁরা একে উপরের উপর চাপিয়ে দিতে চাইবে আমার দায়িত্ব। তারপর মুক্তি পেতে চাইবে আমার থেকে। এখন তো বাবা-মায়ের সাথে যুক্ত হয়েছে আমার স্বামী নামের মানুষটা।আচ্ছা সে কি কাঁদবে আমার মৃত্যুর খবর শুনে।আমার বাবা-মা কি ব্যথিত হবে আমার অকালে চলে যাওয়ার কথা শুনে।আমার দাদা-দাদী ফুপিরা কি আফসোস করবে আমার সাথে অন্যায়ের কথা ভেবে।আচ্ছা আমার মা'কে কি দেখতে দেওয়া হবে আমার মরা মুখ খানা? সব শেষে এটাই জানতে চাই।আমার দোষ ছিলো কোথায়?
সমাপ্তি