গল্পঃ দেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে | Part-04 | What is love to meet the needs of the body


গল্পঃ দেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে | Part-04 | What is love to meet the needs of the body

গল্পঃদেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে।

লেখকঃ শাহাদাত হাসান আশিক
পার্টঃ৪
আজ তাদের বাসর রাত মাহি খাটের উপর বসে আছে। রাত বারোটা বেজে গেছে আশিক এখনও রোমে আাসে নাই একটু পরে আশিক আসলো মদ খেয়ে মাতাল হয়ে রোমে ঢুকেই মাহি দাড়িয়ে গেলো।
আর তার সামনে গেলো দেখলো আশিক কেমন জানি করছে। সে প্রথম অনেক ভয় পেয়ে যায় কারন আশিক এর হাব বাব বেশি ভালো ছিলো নাহ।
আশিক নেশার ঘোরে বলতে লাগলো তুই কে এখানে কি করস। আচ্ছা তুই যখন আমার রোমেই আছিস তো তোকে আমার মনের কিছু কথা বলি।
তুই ভয় পাবি নাহ আমি কিছু করবো নাহ তোকে।
মাহি প্রথম ভয় পেয়েছিলো কিন্তু এখন আর পাচ্ছে নাহ কারন আশিক তো তার স্বামী আর স্বামী কিছু করলে তাতে সমস্যা নাই।
তখন মাহি আশিকের আরো কাছে গিয়ে বললো কি বলবেন বলেন শুনি তখন আশিক বলা শুরু করলো।
জানেন আমার না অনেক কষ্ট জানি নাহ কোথা থেকে এই কষ্ট আসে আমার বুকের মাঝে। কেনো হলো আমার সাথে এমন।
তখন মাহি বললো কি হয়েছে সব খুলে বলবে কি। তখন আশিক বললো।
আমি একজন কে অনেক ভালোবাসতাম কিন্তু সে আমায় অনেক বড় একটা জিনিস উপহার দিয়েছে সেটা হলো সে বাচ্চার মা হয়েছে আর আমি সেই বাচ্চাকে নিজের হাতে শেষ করে দিলাম বলে হাতকে একটানা কষ্ট দিতে লাগলো।
তখন মাহি বললো কে সে তার নামটা একটু বলবেন।তখন সে অনেক কষ্ট করে বললো মাহি হ্যা তার নাম মাহি।
এই কথা শোনার সাথে সাথে মাহি একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো আর বললো আমি বিশ্বাস করি নাহ।
তখন আশিক বললো সত্যিটাকে মেনে নিতেই হবে তবে বিশ্বাস করো আমি জীবনেও এইটা ভাবি নাই তুমি কেনো আমার গাড়ির সামনে এলে আর কেনো আমাকে অপরাধী বানালে বলো।
তখন মাহির তার চোখের জলে বুক ভেসে যাচ্ছে কারন কাউকে সে ভালোবাসতো তার একটা প্রমান ছিলো কিন্তু তাও আজ চিরতরে মুছে গেলো।
আশিক মাহিকে শান্ত্বনা দিতে তার কাছে গেলো।তখন মাহি আশিককে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো। কিছুতেই যেনো কান্না থামাতে পারলো না।
মাহি বুঝতে পারলো আশিক তার জন্য নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে করতেছে। না হলে সে নিজের সাথে এমন করতো নাহ।
কারন এর আগে অনেক বার তার সাথে কথা হয়েছে কিন্তু কোনো দিন সে শোনে নাই আশিক স্মোক করে মদ তো অনেক দুরের কথা। মাহি তখন বুঝতে পারলো আশিক অনেক ভালো মানুষ।
তবে মাহির অনেক অনেক জানার ইচ্ছা হলো আশিক এতো কিছু জানার পরে কেনো তাকে বিয়ে করলো কেনোই বা সে তার জীবনে এমন একটা খারাপ মহিলাকে সে জীবন সঙ্গি করে নিয়েছে।
যখন মাহি এই কথা জিজ্ঞেস করতে যাবে তখন দেখতে পেলো। আশিক নিজের হাতকে দেয়ালে মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলেছে।
আর কেমন যেনো হয়ে গেছে। শুদু কান্না করতেছে। যেখানে এই সংবাদ শুনে মাহির এমন করার কথা সেখানে আশিক এমন করতেছে।
যেনো বোঝা যাচ্ছে আশিকের জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। তখন মাহি আশিকের মাথায় হাত বুলাতে থাকলো হঠাৎ দেখলো আশিক তার বুকের উপর হেলান দিয়ে পরে গেছে।
মাহি তাকে অনেক ডাকতেছে। কিন্তু উঠার কোনো নাম গন্ধ নাই কোনো কথা বলছে নাহ মাহি ভয় পেয়ে গেলো।
মাহি অনেক জোরে চিৎকার দিতে লাগলো কিন্তু তার চিৎকারে কেউ সারা দিলো নাহ কারন আশিক নিজে একাই একটা বাসায় থাকতো তাই।
মাহি তার বাবার কাছে ফোন দিলো কিন্তু তার বাবার ফোন বন্ধ পেলো সে কি করবে এখন বুঝতে পারতেছে না। পরে আশিক এর ফোন বের করলো কিন্তু তার লক খুলতে পারলো না শেষে বাধ্য হয়ে আশিককে অনেক কষ্ট করে
বাহিরে বের করলো আর হাসপাতালে নিয়ে গেলো। তাকে তারাতারি করে আইসিওতে ভর্তি করা হলো। কারন তার কোনো শ্বাস প্রশ্বাস চলতেছিলো নাহ।
ডাক্তার প্রথমে এসে বললো এই রোগী আপনার কি হয় তখন বললো আমি এই রোগীর স্ত্রী। তখন ডাক্তার বললো শোনেন মিস।
এখন আপনার শক্ত হতে হবে কারন আপনার স্বামীকে আমরা বাচাতে বার বার ব্যার্থ হচ্ছি। আপনি আল্লাহকে ডাকুন এখন তিনি চাইলে সব সম্ভব।
এই কথা শুনে মাহি একটা বিকট চিৎকার দিয়ে ডাক্তার কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে সে যেখানে সেখানে চলে গেলো।যখন আশিকের কাছে গেলো তখন দেখতে পেলো আশিক যেনো মৃত ব্যাক্তির মতো শুয়ে আছে তখন মাহি গিয়ে তার মুখের থেকে অক্সিজেন মাস্কটা খুলে ফেললো আর বললো তুই আমাকে বাচালি আমার জন্য এতো কিছু করলি আর তুই আমার থেকে চলে যেতে চাইছিস বলে তার বুকে মারতে লাগলো।ডাক্তার আসলো মাহিকে ফিরাতে কিন্তু সব ডাক্তার মাহিকে রুখতে ব্যার্থ হলো।
মাহি আবার আশিকের পায়ের কাছে গিয়ে তার একটা পা ধরে
চলবে---------------------------
লেখক✍️ সাহায্য কারীঃ মাহি ইসলাম
 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url