গল্পঃ দেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে | What is love to meet the needs of the body | Part-01

 

 
একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে তার ভালোবাসা প্রমান করার জন্য রুম ডেট করছে। এমন অবস্থায় মেয়েটা তার চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বললো। আমি আর পারছি নাহ আমাকে এইবার ছেড়ে দাও। মেয়েটার কথা শুনে ছেলেটা বললো তুমি যদি এখন চলে যেতে চাও তো সারা জীবনের জন্য চলে যেতে পারো। আমি তোমায় আটকাবো নাহ।
আর যদি থাকতে চাও তাহলে আরেকটু ধর্য্য ধরো। তখন মেয়েটার চোখের জল বুক বেয়ে পড়তে লাগলো। আর তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো।
আমাকে তুমি ছেড়ে চলে যাবে নাতো কোনো দিন আমি তোমাকে হারাতে চাই নাহ। তখন ছেলেটা মনে মনে বললো তুমি আমাকে হারাতে চাও না বলেই তো এই কাজটায় জড়াচ্ছো আর আমি যে তোমার থেকে মজা নিয়ে চলে যাবো তা তুমি বুঝতেও পারবে নাহ বলে ছেলেটা একটু মুচকি হাসি দিয়ে না কোনো দিনও যাবো নাহ বলে তার কপালে একটা চুমু একে দিলো।
তখন মেয়েটা মনে মনে ভাবলো যেই ভাবেই হোক একটা সন্তান তার থেকে আমার নিতেই হবে আজকে আমাকে প্রেগনেন্ট হতেই হবে নাহ সে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে তাই সেই স্মৃতি টুকু নিয়ে আমি সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবো তবে সে নিজেকে অনেক শক্ত করে ধরে রাখলো তারপর তাদের অনেক দিন কেটে গেলো সে ছেলে আর তার সাথে সেই দিনের পর আর দেখা করে নাই।
কোথায় যে হারিয়ে গেছে কেউ জানে নাহ সেই মেয়েটি তাকে অনেক খুজেছিলো কিন্তু কোথাও পায় নাই। মেয়েটি অনেক টা ভেঙ্গে পড়ে এখন সে কি করবে পরে তার মনে হলো।
এই ভালোবাসা ছিলো না ছিলো শুধু দেহের প্রতি লোভ। মেয়েটি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য সে একটা কাপড়ের ওরনা নিলো তা ভালো ভাবে ফাসির মতো করে রেডি করলো।
যখন সেই ফাসিতে মাথা রাখলো তখন তার মনে হলো কেউ যেনো বলতেছে। কিরে তুই এটা কি করছিস এইটা করলে কি তোর সমস্যার সমাধান হবে।
তুই যদি আজ মরে যাস৷ তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না হবে না। তাহলে তুই আরেকটু ভেবে দেখ কি করা তোর জন্য ভালো।
তখন সেই মেয়েটি ভাবলো মরেতো যাবো তো একটু ভেবে দেখলে ক্ষতি কি। মেয়েটি ভাবা শুরু করলো।
এক পর্যায়ে মনে পড়লো তার ফেইসবুক ফ্রেন্ড আশিকের কথা। আশিক তাকে বলেছিলো কোনো বিপদ হলে তাকে জানালে সে সাহায্য করবে।
তখন অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর সে এই সিদ্ধান্ত নিলো আমি কারো জন্য মরবো না বরং বেচে থেকে আমি এই পৃথিবীর মানুষকে দেখিয়ে দিবো।
ভালোবাসার জন্য নিজের সব থেকে বড় সম্মান বিলিয়ে দিয়ে একটা মানুষ বেচে থাকতে পারে। সেও সাধারন মানুষ হতে পারে বলে এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
তখন সে অনেক চিন্তা করে শেষ মেষ আশিক কে এসএমএস দিলো।
কিন্তু আশিক কোনো উত্তর দেয় নাই। সে একটু ভয় পেলো কারন সে ভাবলো এই বিপদে কি কেউ আমাকে সাহায্য করবে নাহ।
তারপর আশিক তার এসএমএস এর উত্তর দিলো রাত বারোটা ৫০ মিনিটে মেয়েটি তার এস এমএস এর উত্তরের জন্য এত রাত পর্যন্ত ফোনের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
কে সে বললো তাকে সাহায্য করার জন্য তাকে বিয়ে করার জন্য। আশিক তাকে কথা দিয়েছিলো তাকে সহায্য করবে কোনো একদিন কিন্তু আশিক এই কথার জন্য একদম রেডি ছিলো নাহ। রিকুয়েষ্ট দিয়ে বন্ধু বানাবেন আশিক ছিলো অনেক ভালো আর উদার আর আল্লাহ ভক্ত মানুষ।৷ আশিক তার কোনো এসএমএস এর উত্তর আর দিলো না।
তা দেখে মেয়েটি কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেলো যখন মেয়েটির ঘুম ভাঙ্গলো তখন দেখতে পেলো সে অন্য এক জায়গায়। নতুম কোনো ঠিকানা তখন তার সামনে একটা ফর্সা আর অনেক স্মার্ট মুখ ভরতি দাড়িওয়ালা তার সামনে দাড়িয়ে চা এর কাপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
মাহি অবাক হয়ে তাকে বলে কে তুমি আমি এখানে কেনো আর তুমি আমার কাছে কি চাও। তখন সেই ব্যক্তিটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো।
চলবে -------------------------------------।
গল্পঃ দেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে
পার্টঃ১
লেখক✍️ সাহায্য কারীঃ মাহি ইসলাম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url