Bangla Natok | Sei Tumi o Ami | Tawsif Mahbub | Sabnam Faria | New Natok...
গল্পঃ- রুম নাম্বার ১০১
লেখা:- Rafsan Sydul
পর্বঃ- ০৯
"আমি সোহেল। ১০১ নাম্বার রুমের রহস্যে কেন্দ্রিক ১০১ তম ধর্ষিতা শায়লার ছেলে।.."
কিছুই বুঝছে না মহিমা। ছেলেটার কথায় কিছু রহস্য নিশ্চয়ই আছে। রমিজ চাচা তো বললো এ মহলে তেমন কেউ আসেনি আমি ছাড়া তাহলে ছেলেটা ১০১ নাম্বার রুমের কথা কী করে জানলো? আর এই শায়লা কে? আর ১০১ তম ধর্ষনের সাথে এ রুমের কী সম্পর্ক? প্রশ্নগুলো নিজের মাথার মধ্যে প্রচন্ড পরিমানে জালাতন করছে, তখন সোহেল বললো.
"আপনি যা ভাবছেন, তা আপনার মনের মাঝেই লুকানো। একটু খুঁজুন পেয়ে যাবেন। আজ চললাম আবার আসব সেদিন এমন ছোট কাপড়ে দাঁড়াবেন না, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়।"
মহিমা তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে। কিসব বলে গেলো কিছুই বুঝতে পারছে না। যদি খারাপ মন-মানসিকতা নিয়ে আসত তাহলে নিশ্চয়ই ওর এমন অর্ধনগ্ন দেহের উপর শুরুতেই ঝাপিয়ে পড়ত। কিন্তু তা তো হয়নি। তবে কি উদ্দেশ্য ছিল তার? দেখা করতে হবে তার সাথে, জানতে হবে সবকিছু। ভেবেই রান্না করায় মনোযোগ দেয় মহিমা।
সন্ধ্যা ছুঁইছুঁই। অন্তুর কোনো খোঁজ নেই। ফোনটাও রেখে গেছে বাসায়। আগে কখনো এমন হয়নি। সবসময় ওর সাথে আর কিছু না থাকলেও মোবাইলটা থাকত, আজ এমন কেনো? বিছানার একপাশে বসে আছে মহিমা, মোবাইল টিপছিল। অন্ধকার নেমে আসছে পুরো শহরে। মহলের চারদিকে নানান রকমেন বাতি জ্বলছে, শুধু ওদের রুমেই জ্বলছে না কিছুই। ভাবছে মহিমা বাতিটা হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে, রমিজ চাচাকেও পায়নি নতুন বাতি আনাবার জন্য। মোমবাতি এখন একমাত্র ভরসা এ অন্ধকার মোচনে।
তারা রাতের আঁধারে বের হয়। দিনের আলোয় তাদের জ্বলন হয়। মহিমা একা সে রুমে একটা মোমবাতি নিয়ে। মোবাইলের আলো কতক্ষণ আস থাকবে? ফোন স্ক্রিনে "Inner Sanctum" মুভিটা চলছিলো, এডাল্ট মুভি। যা সবসময় মহিমার প্রিয়। রোমান্টিক মুভিগুলোতে আজগুবি সব কাহিনি, এডাল্ট মুভি গুলোয় একটা আলাদা থ্রিল আর উত্তেজনা থাকে, সে মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে মহিমা। একটা সময় থমকে যায় মোবাইল। মোবাইলের স্ক্রিনে থাকা দৃশ্যটা বেরিয়ে আসতে চাইছে। চারটি ঠোঁট এক হয়ে আছে হাতদুটো বেহায়া নারীর স্পর্শে, কেউ একজন পিছন থেকে ঝাপটে ধরেছে মহিমাকে। খুব ভারি কিছু, সমস্ত শক্তি দিয়েও তিল পরিমাণ নড়াচড়া করতে পারছে না মহিমা। চোখ বুঝে আসছিল তখন মনে হলো ছেড়ে দিয়েছে তাকে। ভারি কিছু শরীর থেকে নেমে গেছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই, কচকচ করে কড়া নড়তে শুরু করে। জানালাগুলো আচমকা লেগে গেছে। কাচুমাচু হয়ে বসে পড়ে মহিমা। দরজা জানালা সব বন্ধ মোমবাতির আলোয় রক্তচোষা কিছু চলছে সমস্ত রুমে। ওর দেহের পশম গুলো কাঁটায় কাঁটায় দাঁড়িয়ে গেছে, গলা শুকিয়ে গেছে সে দৃশ্য দেখে। উলঙ্গ সে নারী। ছায়ার মত উজ্জ্বল দেহ। স্তনের উপর শকুনের থাবার চিহ্ন স্পষ্ট। কান্না করছে দেয়ালের একপাশে বসে। মহিমার দম বন্ধ হয়ে আসছে, তবুও সাহস তার কমেনি। যেদিন অন্ধকার ছায়ার সঙ্গে যৌনতার মিলন ঘটিয়েছে সেদিন এসবের ভয় কেটে গেছে। তবুও মানুষ! মানুষের দূর্বলতা মানুষের সাহসকে ক্ষয় করে। মহিমার দূর্বলতা নগ্ন দেহে।
মহিমা দেখছে সে ছায়াটাকে সরাসরি মহিমার সামনে দেয়াল ঘেষে বসে আছে হাঁটু গেড়ে। মহিমা বললো.
"কে আপনি? কেনোই বা আমাকে এ অন্ধকারে বন্ধ করে রাখছেন?"
চেচিয়ে ওঠে সে ছায়া। সমস্ত মহল কেঁপে ওঠে, কান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে মহিমার। একহাত দিয়ে কান চেপে আবার বলে."কে আপনি?"
সে জবাবে বলে, "আমি মৃত্যুর ছায়া। তুই মুক্তি"
কিছুই বুঝছে না, 'আমি মুক্তি' মানে? এর আগেও আমি মুক্তি বলে গেছে সোহেল, এখন বলছে এ আত্মা। তাহলে আমি কে আসলে? মনের কথা বলার আগেই ছায়াটা বললো,
"উপরওয়ালা আমাদের মুক্তির জন্য তোকে পাঠিয়েছে শায়লা। অর্ধ-শতবছর পরে সেই একি নামে সম্পূর্ণ তার রূপে এসেছিস তুই"
"কেনো আপনাদের এ অবস্থা কেনো হয়েছে? আর কেই সে যে আমার মত ছিল আমার নামেই?"
"বোকা মেয়ে তোর মত সে ছিল না, তুই তার রূপে এসেছিস।"
"বুঝেছি! সে কে? তারজন্য আপনার এমন জঘন্য ভাবে ছায়ার রূপে আটকে আছেন?"
"তারজন্য আমরা এখানে মুক্ত আছি নয়তো আমাদের দাসত্ব করতে হতো এক জঘন্য ধর্ষকের। যার ছায়া রোজ ধর্ষণ করতো আমাদের। শায়লার জন্যই আমরা আজ মুক্ত, তবুও এ মহলের বাহিরে নয়।"
"আমাকে কি বলবেন আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা?" ছায়াটা নিস্তব্ধ শীত লাগছে মহিমার শরীরে। আলমারি থেকে শাল বাহির করে শরীরে জড়িয়ে নেয়। ছায়াটাও হালকা করে মহিমার কোলে এসে বসে। দুটো নগ্ন দেহ এক, তখনি মনে পড়ে অন্তুর কথা। অন্তু কোথায়?
শহর থেকে অনেকটা দূরে সাওঁতাল গ্রাম। গ্রামের চারপাশে তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা। প্রবেশ পথ একটাই। অন্তু প্রবেশ করতেই পুরো গ্রামে নিস্তব্ধতা ছেয়ে গেছে, সন্ধ্যার আকাশ কালো মেঘ হয়ে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন। অন্তু হাসছে সে সময়। গ্রামের শেষ প্রান্তে সে লক্ষ। এ শহরের সবচেয়ে সুন্দর সে মেয়ে ও ঘরে বন্দী। চামড়ার ভাজে লাল রক্তের ছাপ দেখা যায় সে মেয়েটির। অন্তু হাঁসছে সে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে। মৃত্যুর পরে অমরত্ব প্রতিষ্ঠা করার হাসি। এ হাসি সমস্ত পৈশাচের। দরজা খোলা কোনো প্রকার বাঁধা নেই সেখানে। অন্তু প্রবেশ করছে সে ঘরে। চারদিকে সাজানো গুছানো ঘরের মাঝে নগ্ন অবস্থায় বসে আছে সামাপ্রু সোহেলের বোন সামাপ্রু। নামটা সাওঁতালী হলেও তাদের ধর্ম আলাদা। মুখে লালা চলে আসছে অন্তুর পুরুষত্ব জেগে উঠেছে বুকের উপর লাল রঙের তিলটাতে। হালকা করে পা বাড়াতেই সামাপ্রু নিজের স্তন নিজেই কেটে ফেলছে ধারালো ছুরি দিয়ে. বাকরুদ্ধ হয়ে অন্তু হাত বাড়ায়,
"চলবে"