Nicki Minaj - Only ft. Drake, Lil Wayne, Chris Brown

শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি। কিন্তু দিনশেষে আজকে শচীনকে পুরো বিশ্ব ক্রিকেট নক্ষত্র হিসেবেই জানে।
মার্ক জুকারবার্গকে যখন তার গার্লফ্রেন্ড সকল সোশ্যাল সাইট থেকে ব্লক করে দেয়, তখন সে জেদ করে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক তৈরি করে, যার মাধ্যমে সে ওয়ার্ল্ডের টপ ফাইভ রিচম্যানদের একজন। আর আপনি হলে কী করতেন? শেভ করা ছেড়ে দিয়ে, সিগারেট টানতেন আর বলতেন- বেঁচে থেকে কী লাভ!
সাইকেল গ্যারেজে কাজ করা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় যতবার প্ল্যান করে বিমান উড়াতে চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হয়েছেন, আপনি ততবার প্ল্যান করে পাখির উড়াও দেখেননি। তবু তিনি বিমানটা আবিষ্কার করেই ছাড়লেন।
সাকসেস না আসার আগ পর্যন্ত আপনি থামবেন না, হেরে গেলেও না, বারবার ব্যর্থ হলেও না। ছোটবেলায় যেভাবে একবার হাঁটতে না পারলে আবার চেষ্টা করতেন, পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে কান্না করতে করতে আবার দেয়াল ধরে হাঁটতে চাইতেন,এখন সময় এসেছে আবার দাঁতে দাঁত চেপে নাছোড়বান্দার মত লেগে থাকার। যে যাই বলুক, যে যা করুক, আপনি শুধু লেগে থাকেন। বাকিটা সিস্টেম্যাটিক্যালি স্রষ্টা আপনাকে দিয়ে দিবেন।
 ================ 00000 ======================

পতিতা পল্লী
১৩ তম পর্ব
কিন্তু হঠাৎ একদিন রহমত চাচা এসে ডালিয়া আর অরন্যকে বলল
---কে জানি এসেছে ডালিয়ার খোজ করতে।অরণ্য বাবা আর ডালিয়া মা নীচে গিয়ে দেখে এসো তো।
অরণ্য আর ডালিয়া তখন বসে বসে গল্প করছিল।আর অরণ্য মনে মনে ভাবছিল যে আজকে ডালিয়াকে প্রপোজ করবে।আর ডালিয়াকে প্রপোজ করতে নিয়েছিল ঠিক এ মুহুর্তে চাচার এ কথা শোনে ডালিয়া আর অরণ্য নীচে গেল।নীচে গিয়ে অরণ্য খেয়াল করল একটা মধ্য বয়স্ক অপরিচিত লোক এসেছে।অরণ্য লোকটাকে ঠিক চিনতে পারল না।তাই অরণ্য লোকটা জিজ্ঞেস করল
---আপনি কে? এখানে কি জন্য?আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম।
অপরদিকে ডালিয়া লোকটাকে দেখে ভয়ে মুচরে গেল কারন লোকটা আর কেউ না লোকটা তার প্রাক্তন স্বামী।লোকটা ডালিয়াকে দেখে বলল
---তুই আমার সাথে চল।তোরে বিয়া করছি এখানে রাখার জন্য
লোকটাকে ডালিয়ার সাথে এভাবে কথা বলতে দেখে বেশ রেগে গেল।অরন্য লোকটাকে রাগী কন্ঠে জবাব দিল।
---কে আপনি? এখানে এসে এভাবে অসভ্যতা করছেন যে।আপনার তো সাহস কম না আমার বাড়িতে এসে আমার বউ এর সাথে অসভ্য ভাষায় কথা বলছেন।
লোকটা এবার বিদঘুটে হাসি দিয়ে জবাব দিল
---আপনার বউ কি করে হয়? একে তো আমি ২ বছর আগে বিয়ে করেছিলাম এ আমার বউ আপনি একে জিজ্ঞেস করেন।আমাদের ডিভোর্স ও হয় নি। আমার বউ এর সাথে আমি যেভাবে ইচ্ছা কথা বলব তাত তোর কি?আমি আমার বউকে নিয়ে যেতে এসেছি তোর বাপের কি তাতে?
অরণ্য লোকটার কথা শোনে বুঝতে পারল এ আর কেউ না এ ডালিয়ার প্রাক্তন স্বামী।এবার অরণ্য আরও রেগে গেল।অরণ্যের রক্ত যেন মাথায় চড়ে গেল।অরণ্য কিছু বলার আগেই লোকটা ডালিয়ার হাত ধরে বলল
---চল আমার সাথে চল তোরে আর কষ্ট দিমু না।তুই আমার সাথে থাকবি।
ডালিয়া হাতটা ছুটানো চেষ্টা করল।কিন্তু শক্তি সাথে পেরে উঠচিল না।তাই চিল্লায়ে চিল্লায়ে বলতে লাগল
--আমাকে ছাড়েন আমি আপনার সাথে কোথাও যাব না।আমার হাত ছাড়েন।
অরণ্য লোকটার কান্ড দেখে রেগেমেগে বলল
--- ডালিয়ার হাত ছাড়ুন বলছি।তা না হলে ভালো হবে না বলছি।
লোকটা আবার ও বিদঘুটে হাসি দিয়ে বলল
--- আমার বউকে আমি ধরেছি তাতে তোর কি?আমি ছাড়ব না।ডালিয়াকে আমার সাথে করে নিয়ে যাব।বেশি তেড়িবেড়ি করলে অন্যের বউ অপহরণ করার মামলা ঠুকে দিব কিন্তু।
---হাত ছাড়ুন ডালিয়ার, না হয় ভালো হবে না।
--- ছাড়ুম না হাত।ডালিয়া আমার বউ।তুই কি করবি কর।
এ বলে ডালিয়ার হাত টেনে নিয়ে যেতে চাইল।অরণ্য বেশ রেগে ডালিয়াকে ঐ লোকটার হাত থেকে ছুটিয়ে লোকটাকে কষিয়ে চড় মারল আর বলল
---জানোয়ার,বেহায়া,নির্লজ্জ, কাপুরুষ লজ্জা লাগে না ডালিয়াকে বউ এর পরিচয় দিতে।বাপের বয়সী হয়ে একটা মেয়ের বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেছিস।আমারে মামলার ভয় দেখাস।১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে বাল্য বিবাহ করেছিস,বিয়ের রাতে নিজের স্ত্রীকে অন্য পরুষ দিয়ে ধর্ষণ করাইছিস,নিজের বউরে নিজে ধর্ষন করছিস,কুত্তার বাচ্চা তুই তো একটা ধর্ষক,তারপর নিজের বউরে পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দিছিস।তুই তো একটা পাচাকারী।তুই আমার নামে কি মামলা করবি আমি তের নামে এখন বাল্যবিবাহ করার,পাচার করার আর ধর্ষণের মামলা করুম।দেখি তুই কিভাবে বাচিঁস।
এসব বলে লোকটাকে অরণ্য আরও কয়েকটা কিল ঘুষি দিল।তারপর পুলিশকে ফোন দিল।পুলিশ তাৎক্ষণিক এসে বলল
---জ্বী অরণ্য সাহেব বলেন।
---এই যে এই লোকটাকে ধরে নিয়ে যান।আপনাকে তো ফোনে সব জানিয়েছি এ লোকটার কাহিনী।একে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যাবস্থা করুন।
---ধন্যবাদ অরন্য সাহেব আমরা একে নিয়ে যাচ্ছি।আপনি সময় করে একবার থানায় এসে ফাইল করে যাবেন।আর আমরা লোকটার নামে চার্জসিট রেডি করে রাখব।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url