Love Babu | লাভ বাবু | Bangla Natok | Afran Nisho | Mehjabin | নিশো | মে...

আশঙ্কা
পর্বঃ ২
Trishna Banik
মেঝভাবীর দরজার কাছে যেতেই বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। এমন কেন হচ্ছে আমার। একি, দরজাটা তো বাহিরের থেকে চাপানো। দরজায় হাত রাখতেই খুলে গেল। ঘরের ভিতরে কেউ নেই। তাহলে মেঝভাবী কোথায় গেলো। সোহাগ ই বা কোথায়। বাড়ির আশপাশ টা একটু খুঁজে দেখতে গিয়ে দেখলাম আমাদের বাধানো একটা পুকুর আছে ওখানের সিঁড়িতে মেঝভাবী আর সোহাগ বসে আছে। কি নিয়ে জানি ওরা কথা বলছে। আমি আবার দূর থেকে বলা কথা আন্দাজ করতে পারি না।
দুইজনের ই মুখ বেশ বিষন্ন। আমি ওদের কাছে যেতেই কথা থেমে গেলো কাছে যেতেই মেঝভাবী বলল, হে রে ছোট তুই এখানে কি করিস।
সোহাগও বলে উঠলো। তুমি আবার খাবার টেবিল রেখে উঠে আসতে গেলে কেনো!
না, আসলে অনেকক্ষণ হলো তো তাই আম্মা পাঠালো। মেঝভাবীর ঘর হয়ে এখানে আসলাম। মেঝভাবী কে বললাম, ভাবী কি হয়েছে, কোন সমস্যা! শরীর টরির ঠিক আছে! মেঝভাইয়ার সাথে কথা বলেছেন! কবে আসবে বলেছেন কিছু। ভাবী আমাকে বিরক্তিস্বরে উত্তর দিলো, আমার আবার শরীর। সব ঠিকি আছে।
এই বলে ভাবী আমাকে আর সোহাগকে পুকুর ঘাটে রেখে চলে গেলেন। আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। তবে এটুকু বুঝলাম আমি এখানে আসায় দুইজনই খুব বিরক্ত হয়েছে। সোহাগ চুপচাপ বসে কি জানি ভাবছে। আমি পাশে গিয়ে বসলাম। বললাম কি হয়েছে। ও বললো কই নাতো কিছু হয় নি।
সোহাগকে বললাম, তুমি মেঝভাবীর অনেক টেক কেয়ার করো তাই না। সোহাগ সাথে সাথে তেলে বেগুনে রেগে গেলো। আমার সাথে কেমন করে যে কথা বলতে লাগলো। একনাগাড়ে কতগুলা কথা আমাকে শোনালো।
এখানে টেক কেয়ারের কি দেখলা। বেশি বুঝতে যাইয়ো নাহ্। তোমাদের মহিলাদের এই এক সমস্যা খালি বেশি বোঝ। যাও গিয়ে নিজের কাজ করো। আছো তো শুধু ঢেংঢেং করে সারাদিন ঘুরার মাঝে।
আমি কোন কথা বললাম নাহ্। খালি শুনলাম। সোহাগ চলে গেলো বাজারের দিকে। আমি বাড়ির বাহিরে কোথাও যাই না। আমি আমার মত থাকি তাহলে ঢেংঢেং করে ঘুরলাম কই।
রাতে খাবার টেবিলে মেঝভাবী আসলেও কারো সাথে তেমন একটা কথা বলতেছে না উনি। আম্মা উনাকে জিজ্ঞেস করলো আমার মেঝ ভাসুরের কথা। যে কবে আসবে বলছে কিছু কিনা। এতটুকুই। রান্নাঘরের সব কাজ আমি আর বড়ভাবী মিলে রাতে করি। রান্নাঘর গুছাতে গুছাতে এটা ঐটা মাথায় আসতেছে আমার। ভালো লাগছেনা পুরো ব্যপারটা। নিজের স্বামীর এরকম ব্যবহার দেখতে কোন বউ এর ই ভালো লাগার কথা না। খারাপ কিছু ভাবতেও চাচ্ছিনা। কিন্তু না ভেবেও আবার পারছি না। বিষয়টা কারো সাথে শেয়ার করা দরকার। এ বাড়িতে কাউকে করা যাবে না।
ঘরে আসতে আসতে একটু সময় লাগে গেলো আমার। ঘরের চৌকাঠে পা রেখেই শুনি সোহাগ বিছানায় শুয়ে শুয়ে মেঝভাবীর সাথে ফোনে কথা বলছে। আমি জলের জগ হাতে ঠের দাঁড়িয়ে রইলাম! এক পা ও নড়চড় করলাম না। আমার উপস্থিতি সোহাগ টের পায়নি এখনো।
.
.
.
চলবে -

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url