আবিদ এবং নিরার বিবাহিত জিবন আজকে ৩বছর। তাদের ঘর আলো করে এবার একটা কেউ আসবে।এমনটাও ইদানীং শুনা যাচ্ছে নিরার আচরনে। আবিদ তার বাবা,মা এর একমাত্র সন্তান। তাই এই ব্যাপারটাতে আবিদের বাবা-মাও অনেক খুশি। আবিদ ইদানীং নিরার একটু বেশি কেয়ার নেয়। আবিদের মাও নিরাকে ঘরের কোনো কাজ করতে দেয় না। আর আবিদের বাবা তো তার বৌ মাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার এনে খাওয়ায়। এভাবে চলতে চলতে একদিন সময় চলে আসলো। এবং নিরার কোল আলো করে আসলো একটা ছেলে। সবাই বেশ খুশি।
কিন্তু বাচ্চাটা জন্মের পর থেকে কাদছে। কোনো থামাথামি নেই। একমাত্র মায়ের কোলে গেলেই সে একদম চুপ কিন্তু বাবা,দাদা,দাদির কোলে গেলে সে কাদে। এবং তার চোখ গুলা লাল হয়েছে। দেখতে হুবুহু নিরার মতই কিন্তু জন্মের পর তার বাবা যখন তার কানের সামনে আযান দিচ্ছিলেন তখন বাচ্চাটি কাদছিল এবং তার হাতের নখ দিয়ে একটা খামছিও দেয়। এত বড় নখ কিভাবে হইল তাও কেউ জানে না।
যাইহোক তারা বাসায় চলে আসল। বাচ্চাটি সারাক্ষন কান্না করতো এবং প্রসাব করতো না। অনেক পানি খাওয়ানোর পর কোনো কাজ হয় নাই।
ডাক্তার এই ব্যপারে কিছু বলতে পারে না।
তারপর বাচ্চাটি আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলো। এবং অদ্ভত হতে লাগলো। সে অন্যবাচ্চাদের থেকে আগে কথা বলতে পারে এবং সে শুধু তার মাকেই মা বলে ডাকে এবং অন্যদের কাউকেই ডাকে না। প্রয়োজন এর চাইতে বেশি খাওয়া দাওয়া করে। এবং আরেকটা ব্যপার সে দিনে দিনে কালো হতে লাগলো। এলাকার মানুষ বলাবলি করতে লাগলো "তুমার নাতিকে খারাপ আত্তা আছর করসে"
আবিদের বাবা-মা ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। এবং তারা একটা ভালো মুফতি খুজে এবং পেয়েও যায়।
একদিন আবিদ নিরাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে বাচ্চাটিকে দাদা-দাদির কাছে রেখে যায়। বাচ্চাটি তখন একটু বড়। তখনি সেই মুফতিকে তারা বাসায় ডাকে। মুফতি বাসায় এক পা দেয়ার সাথে সাথেই বাচ্চাটি তার রুমে ভাংচুর শুরু করে। অনেক ভারি ভারি জিনিস সে ভেংগে ফেলে। মুফতি সোজা চলে যায় বাচ্চাটির রুমে। বাচ্চাটি ভয়ে ঘরের কোনে বসে ছিল। মুফতিকে দেখে বাচ্চাটি বলে 'অই হুজুর নামাজ পড়তে যা এখানে মরতে আসছিস কেন??"
মুফতি:: "শুনে রাখ তোর মরার সময় এসে পড়েছে"
.
এই বলে মুফতি বাচ্চাটিকে অই ঘরে তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখে।এবং বাহিরে এসে আবিদের বাবা-মাকে বলে "মানুষ এর পেট থেকে মানুষের বাচ্চা হয় কিন্তু রাক্ষুসের পেট থেকে রাক্ষুসের বাচ্চা হয়"
.
এই বলে মুফতি চলে...
আবিদের বাবা-মা ব্যপারটা বুঝে এবং আবার মুফতির কাছে যায় এবং বলে "হুজুর আমাদের বাচান"
.
মুফতি:: তুমাদের ছেলের বউ কিভাবে পাইসো?
আবিদের মা:: আমার ছেলেই বিয়ে করে নিয়ে এসেছিল এবং বলেছিল নিরার আপন বলতে এই দুনিয়াতে কেউ নেই।
মুফতি:: চল তুমাদের বাসায়।
.
বাসায় যেতে মুফতি আবিদের বাবা-মাকে কিছু কাজ দিয়েছে।
মুফতি বাসায় পা দিতেই নিরা টিভি বন্ধ করে ঘোমটা দিয়ে রুমে চলে গেল।
মুফতি বসে আছে।
আবিদের মা:: বৌমা এদিকে এসো। উনি আজ থেকে তুমাকে আরবি পড়াবে।
নিরা:: আম্মা আমি সব পারি তো।
মুফতি:: আচ্ছা সুরা ফাতিহা বল তো।
নিরা:: আপনি চুপ থাকেন নাহ
আবিদের মা:: নাহ বলে দাও।
নিরা:: সবার সামনে আমি সবকিছু বলি না।
মুফতি:: আচ্ছা বলো তো নামাজকে আরবিতে কি বলে??
নিরা:: অই হুজুর চুপ করতে বলসি না।
(এই বলে নিরার ঘোমটা সরে যায়। তার চেহারার এক অংশ পুড়ে গেছে। তারা চেহারায় বড় বড় লোম। আর ভিভচ্ছ চেহারা।
.
মুফতি:: আসল রুপে ফিরে আসলি?
নিরা:: মুফতি তোর ১৪ গোষ্টি শেষ করে দিবো।
মুফতি:: হা হা হা। এখন তুই এই বোতলে বন্ধি না হইলে তোর ছেলেকে আগুনে ফেলে দিবো।
নিরা:: না না যাচ্ছি।
.
(এই বলে নিরা বোতলে বন্ধি হয়ে গেল)
তারপর মুফতি বলছিল "আসলে যেদিন আপনার ছেলে বিয়ে করেছিল সেদিন এই রাক্ষুসি অই মেয়েকে মেরে নিজে সেই মেয়ের রুপ নিয়ে বিয়ে করেছে। এবং তার বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে সে অমর হয়ে গেছে এবং তার সব শক্তি হারিয়েছে। তাই সে আমার সাথে কিছুই করে নাই।
এখন এই বোতলটাকে আপনারা কোনো এক সাগরে ফেলে দিয়ে আসবেন এবং বাচ্চাটাকে আমি নিয়ে যাচ্ছি।