Bangla New Natok 2022 | Valobashar Uposhongher | Afran Nisho | Mehazabien Chowdhury | Uflix

Bangla New Natok 2022 | Valobashar Uposhongher | Afran Nisho | Mehazabien Chowdhury | Uflix

 # গল্প_হুজুর_ছেলেটি

পর্ব ৬
# লেখক_মোফররুখ_আহমেদ_শুভ
হঠাৎ একদিন... 
 
সেতু ফোন দেই শুভ কে আর বলে কিছু ছেলে তাকে খুব বাজে বাজে কথা বলছে। শুভ এটা শুনার সাথে সাথেই গাড়ি নিয়ে রওনা দেই সেই যায়গায় উদ্দেশ্য।গিয়ে সেতুকে খুজে বের করে। আর দেখে ঐ ছেলেগুলো সেতু কে কান ধরে দার করিয়ে রেখেছে। এটা দেখে শুভর মাথায় রক্ত উঠে যাই। আর তারাতারি গিয়ে ছেলেদের একপাশ থেকে মারা শুরু করে। তাদের মধ্যে মারামারি বেজে যাই। এক পর্যায়ে শুভ সবাইকে মেরে মাটির তে শুয়িয়ে দেই। আপনারা ভাবছেন শুভ একাই ওদের মারলো কীভাবে আরে ভাই আমি আগেই বলেছি শুভর 15টা ক্যারাটি জানা আছে। ওদের মাটিতে শুয়িয়ে দিয়ে সেতুর কাছে যাই। গিয়ে বলে কোন ছেলেটা তোমাকে সবচেয়ে বেশি বাজে কথা বলেছে। সেতু ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দেই ঐ ছেলেটা। 
 
শুভ ঐ ছেলেটার কাছে যাই। আর বলে কেরে শুয়োরের.... এখন ওকে খারাপ কথা বল। ছেলেটা বলে তুই আমাকে মেরে ঠিক করলি আমি এখনকার এমপির ছেলে। তোকে পস্তাতে হবে।
শুভ:আরে সালা তাহলে তূই আসলাম এমপির ছেলে। সালা তোরা বাপ বেটা একি হয়ছোস। লাগা তোর বাপকে ফোন লাগা। 
 
পরে হেলাল ফোন লাগাল ওর বাপের নাম্বারে(এমপির ছেলের নাম হেলাল )। ফোন দিয়ে বলে বাবা আমাকে একটা ছেলে অনেক মেরেছে। তুমি আসো তারাতারি।হেলাল এর বাবা এটা শোনার পর আমাদেরকে ফোন দিয়ে আ যে আমার ছেলেকে মেরেছে তাকে মারতে হবে তারাতারি আসো। ঐ সময় আমরাই সবচেয়ে বড় গুন্ডা ছিলাম। আমরাও চলে যাই। আমরা জানতাম না শুভ ভাই ওদেরকে মেরেছে।
 
আর শুভ এসে সেতুকে বলে তুমি বাসাই যাও আমি দেখছি ব্যাপার টা।সেতু বলে তোমার কোনো কিছু হবে না তো। শুভ না কিছুই হবে না। সেতু:তোমার কিছু হলে কিন্তু আমি বাচবোনা। এটা বলে সেতু চলে যাই ।
 
এদিকে এমপি সাহেব ও আমরা চলে যাই শুভ ভাইকে মারতে। এমপি সাহেব তার ছেলের কাছে যায়।আর হেলাল শূভকে দেখিয়ে দেই ও হেলাল কে মেরেছে। আমরা সবাই মারতে যাই। শুভ ভাই অন্যাদিক তাকিয়ে আছে।আমি যখন পিছন থেকে লাঠি দিয়ে বারি মারতে যাব তখন দেখি শুভ ভাই আমিদের দিকে ঘুরে। আর আমাদের হাত থেকে লাঠি পরে যাই। আর বলি ভাই তুমি এখানে
শুভ:আমি এখানে সেটা বড় কথা না।রবি তোরা এখানে কেন।আর আমাকে আঘাত করতে চাইছিলি তোদের শাহস তো বেশি হয়ে গেছে 
 
আমি:আসলে ভাই ভুল হয়ে গেছে। আমরা আপনাকে চিনতে পারি নাই। এমপি সাহেব আমাদের ডাকলেন আর বললেন তার ছেলেকে কে জেন মেরেছো তাকে মারতে হবে। আমরা জানতাম না আপনি মেরেছেন ওদের কে।
হাত জোর করে মাপ চাচ্ছে এটা দেখে আসলাম ঐ তোরা মাপ চাসছিন কেন। মার সালারে তোরা বলে কাউকে ভয় পাস না। 
 
এটা বলার সাথে সাথে আমরা আসলামের দিকে ঘুরে ঐ বললাম তোর তো শাহস তো কম না তুই আমাদের ভাইকে মারতে বলস
আসলাম:তোদের ভাই মানে
তখনি শুভ বেরিয়ে এসে বলতে লাগল।আমি মেরেছি তোর ছেলেকে। তোর তো শাহস কম না আমাকে মারতে বলস।
 
আসলাম:আরে ভাই জানতাম না তুমি মেরেছো
হেলাল:তুমি কী ওকে চেনো নাকি। আর ওকে ভাই বলছো কেন
আসলাম:চুপ কথা বলিস না। তা ভাই ছেলের অপরাধ কী ছিল
শুভ:আপনি জানেন আমি কাউকে বিনা দোষে আমি কাউকে মারি নাহ। ও মেয়েদের কে টিজ করতেছে।তাও আবার মেয়েটি কেউ নাহ আমারি ভালোবাসা। তোর ছেলেকে সাবধান করে দে তা না হলে এর পরের বার লাস পাবি।
 
এটা বলে শুভ চলে আসে। আসলাম আর হেলাল ও চলে যাই। কিন্তু হেলাল ওর মনে মনে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠে। সে প্রতিশোধ নিবে সেতুকে মেরে ফেলে। 
 
কয়েকটা দিন ভালোই কাটে শুভ আর সেতুর। একদিন সেতু একটা পার্টিতে যাই। যদিও শুভ পার্টিতে যেতে শুভ নিষেধ করেছিলো। কিন্তু সেতু শুভর কথা না শুনে চলে যাই। পার্টি শেষ হতে অনেক রাত হয়। সেতু একাই বাড়ির দিকে রওনা দেই। সিএনজি নিয়ে জাচ্ছিলো সেতু। তখন পথের ভিতর হেলাল সিএনজি দার করায়। দার করিয়ে সেতুকে নামতে বলে কিন্তু সেতু নামতে না করে আর সিএনজি ড্রাইভার কে সিএনজি চালাতে বলে। কিন্তু হেলাল সিএনজি ের চাকায় গুলি করে পামছার করে দেই।
পরে একরকম জোর করেই সেতুকে হেলাল তুলে নিয়ে যাই। হেলাল তুলে নিয়ে গিয়ে সেতুকে ঘরের ভিতর আটকিয়ে রাখে।
আটকিয়ে রেখে হেলাল শুভকে কল দেই আর বলে তোর ভালোবাসা আমার কাছে আটকানো।পারলে তুই ওকে বাচিয়ে নিয়ে যা। 
 
শুভর এই কথা শুনার সাথে সাথেই। শুভর শরিরের রক্ত গরম হয়ে যাই।আর শুভ ভাই রাতে সবাইকে ফোন দিয়ে যে সেতুকে বন্ধি করে রাখছে।সেই যায়গার কথা বলে। আমরা সবাই রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে রওয়া দেই। শুভ ভাই আগে যাই। শুভর ভাইয়ের যাওয়ার আগমন দেখেই। হেলাল সেতুর দুই পায়ের 2 টা.,2 হাতে 2 টা মোট চারটা গুলি করে। তারপরের গুলিটা করে সেতুর বুকে। সেতু শুধু চিৎকার করতেছে। ওর মধ্যেই শুভর আগমন ঘটে আর হেলাল লাথি মেরে ফেলে দিয়ে সেতুর কাছে যাই। এর ভিতরে আমরা যাই আর এম্বুলেছ ফোন করি।
 
শুভ সেতুকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দেই।আর আমরা হেলাল ও হেলাল এর সাথে যারা ছিল তাদের কে ধরে উরা ধুরা পিটায়। পিটানোর পর আমরা হেলাল ও তাদের সঙ্গী দের ধরে রাখি।
সেতু শুভকে বলে। শুভ আমাকে একটা কথা দেও তুমি আর খুন খারাপি করবানা।এখন থেকে ভালো হয়ে যাবা।আর পাচওয়াক্ত নামাজ পড়বা। শুভ বলল ঠিক আছে আমি কথা দিলাম। তাও তুমি সুস্থ হয়ে উঠো। 
 
অল্প একটু পরে সেতু মারা যাই এম্বুলেছ এর ভিতর। আর শুভ চিৎকার করে কেদে উঠে। মৃত্য এর খবর সুনে রিফাত আসেনি। আমরা শুভ ভাইকে শান্তনা দেই কিন্তু শুভ ভাই এর কান্না কিছুতেই থামছে না।
সেতুর দাফন করা হলো। কবর পারেও শুভ ভাই কান্না করে। আমরা তাকে শান্তনা দেই। পরে সে শান্ত হয়ে জিগ্গেস করে হেলাল ওরা কই। আমরা বলি গুডাওনে আছে। শুভ ভাই বলে এটাই সর্বশেষ খুন। পরে হেলাল দের খুন করার জন্য গুডাউন এ যাই। গিয়ে তাদের চেয়ারে বান্ধা অবস্থায় ছিল।
শুভ ভাই ওদের সবারি শরিরে চাকু দিয়ে কাটে আর কাটার ভিতর লবন দেই।আথ ওরা জবাই করা মুরগির মতো লাফ পারে। লাফ পারে আর বলে আমাদের এতো কষ্ট দিচ্ছ কেন। সেতুকে মারার জন্য আরেকজন আমাদের কে সুপারি দিয়েছে। 
 
শুভ তার নাম বল। হেলাল যে নাম টা বলে ।তাতে আমরা সহ শুভ ভাই তো আরো বেশি পরিমানে শর্কড খাই। 
 
#চলবে-------------------
দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url