Mitthabadi Baba | মিথ্যাবাদী বাবা | Shamim Hasan Sarkar | Tania Brishty | Bangla New Natok
Alamgir
28 Jan, 2022
Natok 2022 - Mitthabadi Baba Natok
starring Shamim Hasan Sarkar and Tania Brishty in lead roles,
directed by Bishawjit Datta.
Mitthabadi Baba Natok (2022)
Script : Preety Dutta
Direction: Bishawjit Datta
Starring: Shamim Hasan Sarkar and Tania Brishty, Abdullah Rana, Rakib Tanjib, Swampa Nizam, And Many More
Background Score: Robin Islam
Graphic Design: Nadia
Dop: Bishawjit Datta
Edit & Color : Shurjo
সহকারী পরিচালকঃ রবিউল হাসান বাবু, রাফি মামুন
রূপসজ্জাঃ হাসান
রূপসজ্জা সহকারীঃ হাসি
চিত্রগ্রহণ সহকারীঃ সিফাত,এনায়েত,জুলমাত ইরেশ
পোষ্টার ডিজাইনঃ নাদিয়া
লাইটঃ সাগর
লাইট সহকারীঃ শাকিল,আলামগীর,শুভ
ট্রলিঃ আশিক
ব্যবস্থাপনাঃ রুবেল
ব্যাবস্থাপনা সহকারীঃ আকবর,মিনহাজ,আশিক
খাবারঃ আলমগীর
গাড়িঃ জুয়েল
শুটিং লোকেশনঃ দোলনচাপা
Label: Eagle Music™
Produced By: RH Sohel
(নাটক ২০২২ - মিথ্যাবাদী বাবা )
স্বামীঃ ঘরে ঢুকেই অবাক হয়ে গেল
স্ত্রীঃ ব্যাগ গোছাচ্ছে
স্বামীঃ সে কি! কোথায় যাচ্ছ
স্ত্রীঃ বাপের বাড়ি
স্বামীঃ কেন
স্ত্রীঃ থাকবো না আমি তোমার সঙ্গে
স্বামীঃ আশ্চর্য! কি অন্যায় আমার
স্ত্রীঃ আমার বাবা একটা ভুল মানুষের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দিয়েছেন
স্বামীঃ বুঝলাম, কিন্তু আমার ভুলটা কোথায় বলবে তো
স্ত্রীঃ তুমি একদিনও তাহাজ্জুদ পড় না
(স্বামী নিশ্চুপ)
স্ত্রীঃ কুরআন তিলাওয়াত তো ছেড়েই দিয়েছ
(স্বামী নিশ্চুপ)
স্ত্রীঃ কথা ছিল একই প্লেটে খাবার খাবো , কথা রেখেছ
(স্বামী নিশ্চুপ)
স্ত্রীঃ একটাও তো ঠিক মতো হচ্ছে না। কেন থাকবো আমি তোমার সঙ্গে
স্ত্রীঃ ব্যাগ হাতে বের হয়ে যেতে উদ্যত
স্বামীঃ পিছন থেকে স্ত্রীর একটা হাত ধরল
স্বামীঃ যেও না! একটা সুন্নত তো মানছি এখনও
স্ত্রীঃ কোনটা? কোনটা মানছো বলো
স্বামীঃ তোমাকে ভালোবাসি। নবীজি আয়েশা (রাঃ) কে ভালোবাসতেন
স্ত্রীঃ ব্যাগটা হাত থেকে নামাল! হাসবে না ভেবেও ফিক করে হেসে ফেলল । চোখে গভীর ভালবাসা ।
এক নজর তাকালো স্বামীর দিকে
স্ত্রীঃ তা হলে বাকি গুলো মানছো না কেন?
স্বামীঃ ভালোবাসা দিও। আরও উৎসাহ দিও। এখন থেকে মানবো, কথা দিলাম । ইনশাআল্লাহ
স্ত্রীঃ আমি চাই পরপারে দুজনে এক সঙ্গেই জান্নাতে থাকবো
স্বামীঃ ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা যেন এমন একটি সুন্দর মনের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে সবাইকে দান করেন
হে আল্লাহ আপনি সকলকে এমন স্বামী-স্ত্রী মিলাইয়া দিয়েন
রিপ্লাই আসল, "মনে করুন আপনার গল্পের কোনো নায়িকার বিরহে কষ্ট পাচ্ছি।" এটুকু লিখে একটা হাসির ইমোজি দিয়েছে সে। বুঝল সে মজা করছে। আবার পরক্ষণেই নিরা ভাবল সে কী আমাকে নিয়ে কষ্টে আছে? তার সুন্দর গুছানো জীবনটা তো আমার জন্যই এলোমেলো হয়েছে। হয়তো সে এখন দিয়াকে বিয়ে করত। আর দিয়া তার বউ হলে এখন নিশ্চয়ই তাকে বারান্দায় রাত কাটাতে হত না। নানা ভাবনায় নিরার মনে যে রোদের মতো উজ্জ্বল এক টুকরো ভালো লাগা ছিল। হঠাৎ তা নিভে গেল। আবার মন ভার হয়ে গেল। নিজেকে একটা উচ্ছিষ্ট বৈ কিছুই মনে হলো না।
আর এই মন খারাপ হওয়া মানে অনেকটা সময় ধরে লিখতে বসা। যখন সে লিখতে বসে তখন তার কোনোদিকে মন থাকে না। শুধু প্রতিটি চরিত্রে সে নিজেকে ভেবে লিখে যায়। ভাবে তাদের হাসিই তার হাসি। তাদের কান্নাই তার কান্না!
★★
রাতে নিরা নিচে একটা চাদর পেতে অর্নব আসার আগেই শুয়ে পড়ল। সে কিছুতেই চায় না অর্নবের মুখোমুখি হতে। এটা নিয়ে কোনো জবাবদিহিও করতে সে নারাজ। তাই শুয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করল। অর্নব বারান্দার দিকে হেঁটে আসতেই তার পায়ে কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেল। নিরা কিছু পড়ার শব্দ শুনে উঠতে গিয়ে বুঝতে পারল তার পায়ের উপর ভারি কিছু পড়েছে। মাথা উঁচু করে দেখতেই হতভম্ব হয়ে গেল। কিছু না দেখার ভান করে আবার সোজা হয়ে শুয়ে পড়ল। মনে মনে ভাবল, "এ লোক নাকি ডাক্তার একটু দেখেও হাঁটে না। ঘরে এত জায়গা থাকতে আমার পায়ের কাছেই এসে পড়ল। মরণ আমার। ধুর উঠছে না কেন এ লোক। কী ভারী!
অর্নব পড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ হতবিহ্বল হয়ে রইল। কীসের উপর পড়ল এটা দেখতে উঠে বসল। দেখল নিরা নিচে শুয়ে আছে। মুহূর্তে তার মেজাজটা বিগড়ে গেল। উঠে বসে বলল, " এই মেয়ে তোমার মাথায় ঠিক কত রকমের সমস্যা আছে। এভাবে নিচে শুয়েছো কেন? তোমার জন্য আমি যে পড়ে গেলাম।"
নিরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল বলল, "এই যে চুপ থাকেন। কীসের ডাক্তার হইছে যে দেখেশুনে চলতে পারেন না?"
"এই মেয়ে তুমি আমার ডাক্তারি নিয়েও কথা শোনাচ্ছো?"
"হ্যাঁ শোনাচ্ছি। চোখ মনে হয় হাতে নিয়ে হাঁটেন। এতবড় বড় চার চোখ কেন আছে শুনি?"
নিরা ডান হাতের দুই আঙুলের ইশারায় বলল, "দুটো অর্জিনাল, আর দুটো ফেইক। মানে চশমা।"
অর্নব নিরার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে থেকে বারান্দায় চলে গেল। নিরা ভাবল বিছানায় ঘুমানোর জন্য তাকে জায়গা করে দিলাম। আর সে কী কিনা আবার বারান্দায় চলে গেল! আজব লোক তো! ধুর সে যা করার করুক। আমি নিচেই ঘুমাব।