Bharprapto Boyfriend | ভারপ্রাপ্ত বয়ফ্রেন্ড | Irfan Sajjad | Chamak | Bangla New Natok 2022

"ভারপ্রাপ্ত বয়ফ্রেন্ড" একটি রোম্যান্টিক নাটক যেখানে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, রুকাইয়া জাহান চমক সহ আরও অনেকে। নাটকটি পরিচালনা করেছেন রেজওয়ানুল ইসলাম সানজিদ। 

 

আজ কেন জানি বেলী সাহস করে এইভাবে কথা গুলো বলে ফেলল । কথাটা বলে বেলীও বেক্কল হয়ে গেছে । বুঝতে পারে বেলীর গাল বেয়ে চোখের পানিগুলো ঝরে যাচ্ছে । ঠিক বাগানের গাছে ফোঁটা বেলীফুলের মত । ইরফান বেলীর এই কথাটা শুনে বেলীর হাতটা ছেড়ে দেয় । হাতটা ছাড়ার পর বেলী মনে হয় তার জানটা ফিরে পায় । বেলী চলে যেতে নিলে ইরফান আবারও বেলীর হাতটা টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে । তারপর কেন জানি জড়িয়ে ধরে বেলীকে । বেলী জোড়াজুড়ি করে নাই , কারণ সে জানে এখন জোড়াজুড়ি করেও লাভ নেই , জোড়াজুড়ি করলে সে আরও বেশি করে করবে । তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে । একবারের জন্যে ইরফানকে ধরেও নি বেলী ।
কিছুক্ষণ পর ইরফান নিজেই ছেড়ে দেয় বেলীকে । নিজেকে ইরফানের থেকে মুক্ত পেয়ে ইরফানের দিকে চেয়ে থাকে বেলী । তারপর নিজেই বলে উঠে ,
- মায়া বাড়াইয়েন না , অনেক কষ্ট হবে আমার পরে । মায়া বাড়াইয়েন না , না হয় আমি আপনাকে ছাড়া বেঁচে থেকেও থাকবো মরা হয়ে ।
কথাটা বলে বেলী দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যায় । আর ইরফান সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে মূর্তির ন্যায়ে । বেলীর কথাটাও ন্যায় সংগত । ইরফান ক্ষনিকের মায়ায় বাধতে চায় বেলীকে , যেদিকে পরবর্তীতে কি হবে তা বেলী এবং ইরফান দুজনেরই ভালো মত জানা । তাই হয়তো না পারতে বেলী আজ মায়ার কথাটা বলে ফেললো ।
ইরফানের এইসব ভাবনার মাঝেই হঠাৎ তার মোবাইল ফোন বাজতে শুরু করে । ইরফান মোবাইলটা হাতে নেয় । আর দেখে মোবাইলের এক পাশে উঠে আছে Reject মাঝে আছে Slide up to answer আর উপর তার উপর একটা নাম ভেসে উঠেছে । নামটা হচ্ছে Rubi .
.
.
চলবে................
[ বিঃদ্রঃ চলার পথে হাজারো মানুষের সাথে দেখা হয় কথা হয় । কেউ কেউ আবার ক্ষনিকের দেখা হয়ে যাওয়ার মাঝেও অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায় । তেমনি দুটি চরিত্র গফুর মিয়া আর জয়তুন্নেসা । বয়সের সন্ধিক্ষণে এসেও আজ তারা একে অপরের সাথে যুক্ত । আর তাদের নাতি সেও হয়তো ইরফানের মতই একজন তবে সম্পূর্ণ আলাদা । 'তোমার বেলীফুল ' উক্তিটি দিয়ে ইরফানকে যা বুঝিয়েছেন সেটার মর্ম ইরফান কতটুকু বুঝেছে আমার জানা নেই , তবে ভালোবাসার একটা সঠিক সময় এবং সঠিক গন্ডি থাকে । দুই নৌকায় কি পা দিয়ে কখনো মানুষ সামনে এগুতে পেরেছে , পারে নি । হয়তো সাময়িকী ভাবে এগিয়েছে । কিন্তু এক সময় সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই হয়তো নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারাতে হয় । আবেগের বশে কাছে টেনে বিবেকের তাড়নায় আবার ছুড়ে ফেলে দেয়াটা হয়তো খুব সহজ কিন্তু , যাকে একবার কাছে টেনে আবার ছুড়ে ফেলা হচ্ছে সেই মানুষটা কিভাবে বেঁচে থাকতে পারে ? 
 
বেঁচে থাকা যায় কি ? আমার জানা মতে যায় না , বার বার এত কষ্ট এত অপমান এত লাঞ্চনা সহ্য করে বেঁচে থাকা হয়তো যায় কিন্তু জীবন্ত লাশ হয়ে । বরাবরের মতই প্রশ্ন হাজার কিন্তু উত্তরের খাতাটা আজও শূন্য । হাজারের মাঝে একজন বেলীর উত্তরের খাতাটা এই সেই উত্তরের খাতা যার ফলাফলটা হয় বরাবরের মতই শূন্য । আমার কথা গুলো দ্বারা কারো মনে কষ্ট আসলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত 
 
 
=========================================================
আমি তখন পাঁচ ক্লাসে পড়ি। আমাদের এলাকায় একজন মাস্তান ছিলো সোহেল নাম। খুবই ভয়ংকর সন্ত্রাসী! কেন জানি সোহেল ভাই আমাকে খুব আদর করত।
রাস্তায় দেখলেই ডাকত। "এই বাবু, শোন।"
আমি কাছে গেলে বলত। "কেমন আছিস?"
"ভালো।"
"তোর পড়ালেখা কেমন চলছে?"
"ভালো ভাই।"
"কিছু খাবি?"
"না ভাই।"
"আইসক্রিম খা।"
 
আমি মাথা দুলিয়ে না করতাম। সবসময়ই না করে পারপেতাম না। অনেক সময় জোর করে খাওয়াত।
একদিন বন্ধুদের সাথে খেলতে গেছি আমাদের পাশের এলাকায়। আমাদের এলাকায় কোনো মাঠ নেই। সেই এলাকার এক বড়ো ভাই আমাদের কে মাঠ থেকে বের করে দিলো!
আমরা ক্রিকেট ব্যাট,বল নিয়ে ফিরে আসছি। খেলতে না পারায় মনখারাপ!
এ সময় সোহেল ভাইয়ের সাথে দেখা। আমাকে দেখেই ডাকল। "এই বাবু।"
আমরা সোহেল ভাইয়ার কাছে গেলাম।
"কী হয়েছে রে?"
আমার বন্ধু বলল," ভাই আমাদের মাঠ থেকে বের করে দিছে!"
"কে বের করে দিছে? "
"ওই পাড়ার আকরাম ভাই।"
"আয় আমার সাথে। "
 
আমরা সোহেল ভাইয়ের সাথে আবার মাঠে গেলাম। আকরাম এখনো মাঠে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের দেখে হাসতে লাগলেন।
সোহেল ভাই বলল," কী খবর ভাই?"
"তুই কি করতে এসেছিস! আমার সাথে কোনো মাস্তানী -টাস্তানি চলবে না। আমি ও সব ভয় পাই না।"
"আমি কি তোরে কিছু বলছি?"
সোহেল ভাই পকেট থেকে একটা পিস্তল বের করল। আকরাম ভাই হা হা হা করে হেসে বললেন, "এ সব আমাকে দেখাস!"
সোহেল ভাই হালকা একটু হেসে ডাস করে একটা গুলি করল। গুলিটা আকরাম ভাইয়ের কানের পাশ দিয়ে ছুটে গেল। 
 
আমরা দেখলাম সাহসী আকরাম ভাইয়ের পা বেয়ে পানি পড়ছে!
সোহেল ভাই বিরক্ত হয়ে বললেন, "ধুর বেটা! দিলি তো মাঠটা নষ্ট করে। পোলাপান খেলব কেমনে এখন?"
Nabil Mahmud
 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url