Haal Cherona Majhi _Sanjeeb chattopadhyay || হাল ছেড়ো না মাঝি || সঞ্জিত চট্টোপধ্যায়
Haal Cherona Majhi _Sanjeeb chattopadhyay || হাল ছেড়ো না মাঝি || সঞ্জিত চট্টোপধ্যায়
শহরে একটার পর একটা খুন হচ্ছে ২০-২৫ বছরের মেয়েরা!খুনের প্যাটার্ন একদম সেইম! গলা কেটে খুন,শরীরে অসংখ্য মারের দাগ,অমানবিক ভাবে রেপ এবং গলার ডানপাশে একটা স্মাইল ইমুজির স্টিকার!
..
ঢাকার মানুষরা এই সিরিয়াল কিলারের ভয়ে জীবনযাপন করছে!
..
এমন অবস্থায় এই কেসটা বাংলাদেশ পুলিশ থেকে হস্তান্তর করা হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চে! ওসি রাহাত কেসটা হস্তান্তর করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের পাভেল এবং তার সহকারীর কাছে!
পাভেল প্রথমে পুরো কেইসটা স্টাডি করে তারপর ডক্টর আকিবের সাথে দেখা করে!
..
পাভেল; আচ্ছা ডক্টর টোটাল খুন হয়েছে ৪টা মেয়ে! যাদের সবার ময়নাতদন্ত আপনি করেছেন!
আকিব; জি স্যার!
পাভেল; ৪টা মেয়েই রেপ হয়েছে কিন্তু আপনি রেপিস্ট এর শুক্রাণু ১টা তেও পেলেন না! এটা কিভাবে সম্ভব?
আকিব; স্যার আমি যা পেয়েছি তাই রিপোর্ট এ দিয়েছি! আমিও নিজেও এটা নিয়ে কনফিউজড! এটা কিভাবে সম্ভব যে শুক্রাণু পাচ্ছি না!
পাভেল; এটা তো কনট্রোল করা প্রায় অসম্ভব! আমরা তো একটা না একটা লিড পেতেই পারি তাই না!
আকিব; তবে স্যার এই ব্যাক্তি যেই হোক..সে কোন সুস্থ মানুষ না! সুস্থ মানুষের পক্ষে একটা মেয়েকে এভাবে রেপ করা সম্ভব না! আর সবচাইতে বড় কথা ৪টা মেয়েই যখন রেপ হয় তখন তারা সজ্ঞানে ছিল!
পাভেল; আচ্ছা আসি তাহলে!
....
পাভেল প্রথম ভিক্টিম তানিয়ার বয়ফ্রেন্ড রায়হানকে ডেকে পাঠায়!
পাভেল; যেদিন রাতে তানিয়ে খুন হয়,সেদিন রাতে সে তোমার সাথে দেখা করার জন্য বের হয়েছিল! কিন্তু দেখা হল না কেন?
রায়হান;স্যার ওইদিন আমাদের দেখা করার কোন প্লানিংই ছিল না!
পাভেল; তাহলে তানিয়ে কেন বের হয়েছিল?
রায়হান; সেটা তো আমিও বুঝতেসি না!
...
পাভেলের সহকারী আশিক এবং সুব্রত..যেই ৪টি মেয়ে একই প্যাটার্ন এ খুন হয়েছে তাদের সবার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে! সব অভিভাবক জানায় তাদের মেয়েরা খুব স্বাভাবিক ছিল তাদের মধ্যে কোন চেঞ্জ তারা দেখে নি!
...
সুব্রত; স্যার আমরা তো কোন লিড পাচ্ছি না!
পাভেল; সুব্রত এখনকার যুগে যদি তুমি একজন মানুষের আসল রুপটা জানতে চাও,তাহলে তোমাকে কি করতে হবে জানো?
সুব্রত; কি স্যার?
পাভেল; তার ফেসবুক আইডি ঘাটতে হবে। বুঝেছ আমি কি বলেছি?
সুব্রত; জি স্যার! একজন ভালো হ্যাকার লাগবে আমাদের! আমি ব্যবস্থা করছি!
....
তানিয়া সহ বাকি ৩জন সিথি,রাইসা এবং প্রিয়তা! ৪জনের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা ট্রাই করা হয়! হ্যাকার একসময় ৪ জনের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলে!
...
পাভেল; সুব্রত তুমি আজকে সারাদিন শুধু এই ৪ জনের ফেসবুক আইডির ইনবক্স ঘাটবা এবং সন্দেহজনক কিছু পেলে আমাকে জানাবে!
সুব্রত; জি স্যার!
...
(১দিন পর)
..
সুব্রত; স্যার তেমন কিছু পাই নি কিন্তু একটা বড় লিড পেয়েছি!
পাভেল; কি?
সুব্রত; স্যার একটা আইডি! নাম "জান্নাতুল মুন" এই আইডিটা এদের ৪জনের সাথেই এড ছিল এবং হয়তো অনেক চ্যাটিং ও হয়েছে কিন্তু ম্যাসেজ ডিলিট ও করে দেয়া হয়েছে এবং জান্নাতুল মুন এখন ডিএকটিভ করা সম্ভবত!
পাভেল; দেখেছ সুব্রত শুয়োরের বাচ্চা ফেসবুকে ফেইক আইডি দিয়ে মেয়ে গুলোকে পটাইসে!
সুব্রত; স্যার তাহলে এখন কি করবো আমরা?
পাভেল; ভাবছি!
.
১দিন পর রাত ১২টার দিকে!
সুব্রতর কল পাভেলকে...
পাভেল; হ্যা সুব্রত বল
সুব্রত; স্যার ৫ম খুন হয়েছে! মেয়েটির লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে একজন কল করেছে!
পাভেল; তুমি মেয়েটির ডিটেইলস খবর নাও! আমি আসছি!
(কিছুক্ষণ পর)
(ক্রাইম সিনে)
পাভেল; হ্যা সুব্রত বল মেয়েটির নাম কি? কোথায় থাকে?
সুব্রত; স্যার মেয়েটির নাম মুন! আর এই সেই মেয়ে যার ফেসবুক আইডি আমরা পেয়েছিলাম!
পাভেল; (অবাক হয়ে) কি বলতেছ এগুলি?
সুব্রত; স্যার মেয়েটির ছোট ভাই বলেছে মেয়েটির ফেসবুক আইডি ৩০ দিন আগে হ্যাক হয়!
পাভেল; (ভ্রু কুচকে) প্রথম ভিক্টিম তানিয়ার লাশ পাওয়া যায় আজ থেকে ২৫ দিন আগে! OMG!
সুব্রত; কি স্যার?
পাভেল; সুব্রত আমরা কিলারের থেকে দু-এক পা নয়..৫ পা পিছিয়ে রয়েছে! কিলার চাইলে মুনকে প্রথমে খুন করতে পারতো! কিন্তু ও সেটা করে নি! কারন প্রথম মুনকে খুন করলে কেসটা সাইবার ক্রাইম এ চলে যেত! তাই ও ৫টি খুনের প্লান করে এবং মুনের আইডি দিয়ে ৪টা খুন করে এবং ৫ম খুনটা মুনকে করে!
সুব্রত; স্যার অন্য মেয়েদের গলায় ১টা স্মাইল স্টিকার থাকে কিন্তু মুনের ২টা স্মাইল স্টিকার পাওয়া গেছে!
পাভেল; সুব্রত আমরা কিলারের ৬ষ্ঠ খুন আটকাতে ব্যস্ত কিন্তু কিলার তার ১০ম খুনের প্লানিং ও করে ফেলেছে!
সুব্রত; স্যার কি ভাবছেন?
পাভেল; আমার লাইফে আমি কখনো এত হতাশ হই নি! একটা সিরিয়াল কিলার ৫টা খুন করে স্মাইল স্টিকার দিয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জ করছে কিন্তু আমাদের হাতে একটা লিড নেই!