Tumi Amari | তুমি আমারই | Afran Nisho | Mehazabien | Mizanur Rahman Aryan | Bangla New Telefilm

 
ফেইসবুকে একজনের উপর উচ্চতর লেভেলের ক্রাশ খাই। উনার নামই দিছিলাম ক্রাশ আপু। একদিন দেখি উনি উনার মেয়েসহ মাই ডে তে ফটো দিছেন সেই মেয়ে আবার ক্লাস টেনে পড়ে। মেয়ে তো মায়ের থেকে দ্বিগুণ সুন্দরী। সাথে সাথে আপুটা আমার আন্টি হয়ে গেল। নিক নেইম চেঞ্জ করে দিলাম আন্টি।
 
সেই আন্টি আমারে নক দিয়ে বললেন, নাদিম তোমার মতলব তো ভালো না। এতদিন আপু ডেকে এখন আন্টি ডাকতেছো। আমি হাসির তিনটা ইমুজি পাঠিয়ে বললাম, আগের সব ভুলে যান আন্টি। যাই হউক উনি ভুলে গেলেন।
 
কিছুদিন পর উনার মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হলো মেয়ের মনেও দেখি আমার জন্য জায়গা জমি আছে। সেই মনে আমি ভালোবাসার বিল্ডিং তুলে দিলাম। তাই আন্টির নিক নেইমে গিয়ে দিলাম শ্বাশুড়ি আম্মা। এবার শ্বাশুড়ি আম্মা নক দিয়ে বললেন, আপু আন্টি এখন শ্বাশুড়ি নাদিম তোমার মতলব কি? 
 
আমি আবার হেসে বললাম, প্যারা নিয়েন না শ্বাশুড়ি আম্মা আগের সব ভুলে যান। উনিও ভুলে গেলেন।
সম্প্রতি উনার মেয়ের সাথে আমার ব্রেকআপ হয়ে গেছে এক কথায় বিল্ডিং ভেঙ্গে পরেছে। তাই উনার নিক নেইম আবার গিয়ে আপু করে দিছি। এখন উনি আবার নক দিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, বিষয় কি তুমি আবার আপু ডাকতেছো কেন? আমি হেসে বললাম, আগের সব ভুলে যান। এবার তিনি রে/গে গিয়ে বললেন আর একবার যদি চেঞ্জ করছো তাহলে তোমারে রাজবাড়ী এসে পি/ডা/ইয়া যাব। রাজবাড়ী আমার খালাতো ভাই আছে, সে আবার পুলিশ।
 
এইদিকে আজ সকালে উনার মেয়ে আবার সব কিছু ঠিকঠাক করে আমার লাইফে আসতে চাচ্ছে। এখন আমি পরছি মুসিবতে নিক নেম চেঞ্জ করলেই পি/ডা/ইবে, চেঞ্জ না করলে উনি আপু আর মেয়ে ভাগ্নি হয়ে যাবে। বুঝিনা সব সময় আমার সাথেই কেন এসব ঘটতে যায়।
 
ফোসকা পরা হাত নিয়ে মেহেভীন এক লোকমা ভাত মুখে দিতেই, কেউ খাবারের প্লেট ছুড়ে ফেলে দিয়ে মেহেভীনকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। মেহেভীন তাঁকিয়ে দেখে অভ্র। যে এখন মেহেভীনের প্রাক্তন। কাল অভ্রের বিয়ে। অভ্রের গাঁয়ে এখনো সেই গাঁয়ে হলুদের পাঞ্জাবি। অভ্র রাগে চিৎকার করে বলে,
'তুই এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গিলছিস মেহেভীন? ওইদিকে আমার মা কত খেটে যাচ্ছে। যা আমার মায়ের কাছে গিয়ে দেখ কিছু লাগবে কিনা। '
 
অভ্র মেহেভীনের ফোসকা পরা হাত এমনভাবে চেপে ধরেছে যে,মেহেভীনের হাতে খুব ব্যাথা করছে। ব্যাথায় মেহেভীনের জল চলে এসেছে।
সারাদিন খাটুনি করে, রাতের দিকে এক লোকমা খাবার মুখে দিতে যাচ্ছিলো মেহেভীন,কিন্তু অভ্রের এরুপ অপমানের বিপরীতে, সে খাবারটুকু রেখেই
 
তার খালামণির ঘরের দিকে ছুটলো। মেহেভীন যেতেই, অভ্র রাগান্বিত চোখে আশিকের দিকে তাকালো। অভ্রের চাহনী দেখে আশিক তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো। আশিক অভ্রের বন্ধু হয় সম্পর্কে। সবসময়ই আশিকের মেহেভীনের প্রতি কুনজর ছিলো। হলুদের অনুষ্ঠানে সকলে ব্যস্ত ছিলো, এই সুযোগে আশিক রান্নাঘরে মেহেভীনকে একা পেয়ে তার সুযোগ নিতে এসেছিলো। অভ্র সঠিক সময়ে, তা দেখতে পেয়ে মেহেভীনকে রাগ দেখিয়ে রান্নাঘর থেকে যেতে বলে। কেন যেন আশিক মেহেভীনের দিকে কুনজর দেওয়ায় বড্ড রাগ লাগছে অভ্রের,কিন্তু কেন এতো রাগ হচ্ছে তা অভ্র নিজেও জানে না।
 
অভ্র জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিয়ে,নিজের রাগটুকু সামলিয়ে গাঁয়ে হলুদের স্টেজের দিকে রওনা দিলো।
মেহেভীন দৌড়ে কোনরকম তার খালামনির ঘরের সামনে এসে দাঁড়ায়। অভ্র নামক মানুষটি তাকে সবসময় কষ্ট দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত থাকে। অভ্র মেহেভীনের সম্পর্কে খালাতো ভাই হলেও, সে এখন মেহেভীনের প্রাক্তন। মেহেভীন একসময় অভ্র নামক মানুষটি খুব ভালোবাসতো। হয়তো এখনো বাসে।
মেহেভীন খুব ছোটবেলায় নিজের বাবাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে গিয়েছিলো। মেহেভীনের বাবা মারা যাওয়ার পরে, মেহেভীনের মা হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে যায়। ছোট মেহেভীনকে মেহেভীনের খালামনি ইশরা বেগম নিজের সাথে করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
 
ইশরা বেগমের স্বামীও মেহেভীন ছোট থাকতে মারা গিয়েছিলো। খুব ছোট থাকতেই অভ্রকে ইশরা বেগম পড়াশোনার জন্যে লন্ডন পাঠিয়ে দিয়েছিলো।মেহেভীনের মনে পড়ে যায় একবছর আগের কথা,যখন অভ্র দেশে ফিরে এসেছিলো। তখন মেহেভীন অনার্সে ১ম বর্ষের ছাত্রী।
১বছর আগে,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url