Ai Shohorta Amar Jonno Na | এই শহরটা আমার জন্য না | Mehjabeen | Jovan |...
বাথরুমে কাপড় কাচছিলাম এমন সময় এক মহিলা মশা এসে পায়ে পরে বলল,মেমসাহেব বাঁচান আমাদের।কে যেন বাথরুমে কয়েল জ্বালিয়ে দিয়েছে!আমার স্বামী সহ্য করতে না পেরে মারা গেছে।বাঁচান আমাদের।
আমি অবাক হওয়ার ভান করে বললাম,তাতে কী এমন হয়েছে?
মহিলা মশা,আমার সন্তানদের জীবন হুমকির মুখে।
আমি,আমি কী করতে পারি?
মহিলা মশা,আপনি কয়েল নিভিয়ে দিন মেমসাহেব।
আমি, হা-হা-হা...! বদ মহিলা মশা এ কয়েল আমি জ্বালিয়েছি।
মহিলা মশা,নাআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআ...... আমি বিশ্বাস করি না!
আমি, পা ছাড় আমার। তোর বিশ্বাসের গুষ্টি কিলায়।
মহিলা মশা,আপনি কেন এমন করলেন আমাদের সাথে? কী ক্ষতি করেছি আমরা আপনার?
আমি, কী ক্ষতি করেছিস? মোটা হওয়ার জন্য শরীরে তিলতিল করে যে রক্ত বিন্দু আমি জমাচ্ছি পুরো গুষ্টি সহ এসে তা তোরা ভক্ষণ করিস।আবার বড় বড় কথা বলিস?
মহিলা মশা রেগে বলল,ওই রক্তে কি আমাদের অধিকার নেই? সামান্য কারণে আমার এতো বড় ক্ষতি করলি?এর ফল তুই ভোগ করবি? আমার পরিবারকে খুন করে তুই শান্তিতে থাকবি ভেবেছিস?
বলেই পায়ে একটা কামড় দিয়ে উড়ে চলে গেল।আমি হা-হা-হো-হো করো হাসতে থাকলাম।একটু পর সেই বদ মহিলা মশা দলবল সহ এসে আমায় দেখিয়ে বলল, এ তোদের বাবার হত্যাকারী।একে ছাড়িস না খোকা।মার,মার..
বলতে দেড়ি ওদের উড়ে এসে আমার হাতে, পায়ে, মুখে কামড়াতে দেড়ি নেই।আমারও ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে ততক্ষণে ইয়া ধিসুম,ইয়া ধিসুম করে প্রায় সব কটাকে থাপড়িয়ে মেরে ফেললাম।বাকিরা কেউ জীবন বাঁচাতে জানালা,ভেন্টিলেটর এর ফুটো দিয়ে পালিয়ে গেল।আর বাকিরা কয়েল এর ধোঁয়ায় প্রাণ ত্যাগ করলো।সেই বদ মহিলা সন্তান ও পরিবারের করুণ পরিণতি দেখে হার্ট অ্যাটাক করে ওখানেই মারা গেল।
এজন্যই বলে লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু।
#মশার_গুষ্টি
#ছাহেলী_আক্তার
================ 000 ================
লাই বাহুল্য যে বাবাকে যদি ডাক্তার না দেখতেন তবে হয়তো খারাপ কিছু একটা হয়ে যেত। বাবার অবস্থা বেগতিক দেখে ডাক্তার থেকে গেলেন আমাদের বাড়িতে। আমি অনেকবার বলার পরও তিনি গেলেন না। বাবার দুইপাশে আমরা দুজন বসে থেকে রাত কাটিয়েছি। ভোর রাতের দিকে কখন আমার ঘুম এসে গিয়েছিল আমি বুঝতেই পারিনি। যখন ঘুম ভাঙল তখন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পাশের বাড়ি মকবুল চাচাসহ গ্রামের আরও কয়েকজন এসে ভিড় করেছে আমাদের ঘরে। তাদের ডাক্তার সাহেব কিছু একটা বলতে চাচ্ছে কিন্তু অন্যরা বলতে দিচ্ছে না। হঠাৎ ঘুম ভাঙায় কিছু না বুঝতে পারলেও ধীরে ধীরে বিষয়টা ভয়াবহভাবে আমার কাছে ধরা দিল। ভয়ে তখন আমার পুরো শরীর কাঁপছে।
সবার এক কথা আমার সাথে ডাক্তার সাহেবের খারাপ কোনো কিছু হয়েছে যার একমাত্র সুরাহা হচ্ছে বিয়ে। আমি মকবুল চাচার পায়ে পড়ে কাঁদতে লাগলাম অনেকবার বললাম এমন কিছুই হয়নি। বাবা অসুস্থ বলেই শুধু উনি এসেছেন। কেউ আমার কোনো কথাই শুনল না। বরং নানারকম নোংরা কথা বলে যাচ্ছিল আমাকে। বাবা কোনোরকম উঠে বসলেন। একে তো শরীর রোগে জর্জরিত তার উপর এমন একটা ঘটনায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বাইরে থেকে অনেকে বলছে, "গ্রামে এসে মেয়েদের সাথে ফুর্তি করে চলে যাবে। এ হবে না। সবকিছুর একটা শেষ আছে। যে করেই হোক এ ডাক্তারকে উচিত শিক্ষা দিতেই হবে।"