নেশা নিয়ে গান গাইলেন নকুল কুমার বিশ্বাস।Nokul Kumar Biswas| bangla video...

নেশা নিয়ে গান গাইলেন নকুল কুমার বিশ্বাস।Nokul Kumar Biswas| bangla video...

সিদ্ধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক সকাল বেলা স্ত্রীর লাশ দাফন করার আগে ওদেরও দাফনের জন্য উপযুক্ত করতে হবে। কিন্তু যেহেতু ওরা চারজন তাই কৌশলে সবকিছু করতে হবে, স্ত্রীর কান্নার তীব্র কষ্টগুলো কানের কাছে বাজছে। 
 
হাতের কাছে শক্ত কিছু অনুভব করছি, নিজের হাত দিয়ে অন্ধকারে সেটাকে আঘাত করে ইট বলে মনে হচ্ছে। সেটাকে হাতে নিলাম, ওদের মধ্যে দুজন একটু দুরে সরে গেছে আর বাকিরা দাঁড়িয়ে আছে। আমি আস্তে আস্তে দাঁড়ালাম, আর এক কদম করে এগিয়ে গিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে একজনের মাথায় আঘাত করলাম। এমন করে আঘাত করেছি যেন হাত দিয়ে ইট পরে না যায় কারণ নাহলে তো ওরা আমাকে মেরে ফেলবে আর আমি পারবো না ওদের সঙ্গে। 
 
আঘাত সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে পরে গেল মাটিতে, বাকি লোকটা হয়তো কি করবে সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কিন্তু ততক্ষণে আমি তাকেও এক আঘাত করে বসলাম, যদিও দুজনেই আহত হয়ে গেছে কিন্তু মরেনি। বাকি যে দুজন ছিল ওরা একটু এগিয়ে এসে আবার পিছনে পালিয়ে গেল।
এমন সময় প্রথম যাকে আঘাত করেছি সে আমার পিঠে গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করলো। জানিনা কতটা লেগেছিল কিন্তু আমার মনের মধ্যে তখন শুধু ওদের হত্যা করার আকাঙ্খা। মুহূর্ত স্তব্ধ হয়ে দেরি না করে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে শুরু করলাম দুজনকেই।
 
সকাল বেলা চারিদিকে ছড়িয়ে পরলো যে দুজন যুবক খুন হয়েছে বাগানের মধ্যে। আমি স্বাভাবিক ভাবেই বাড়িতে ছিলাম, সবাই ঠিকই বুঝতে পেরে গেল আমি খুন করেছি। আমার স্ত্রীর লাশ নিয়ে আসার আগেই আমাকে থানায় নিয়ে এলো।
---
চোখের চশমা খুলে পানি মুছলেন দারোগা সাহেব। তার সামনে বসেই এতক্ষণ নিজের স্ত্রী ধর্ষন হয়ে আত্মহত্যা করার কাহিনি বলছিল নাবিল মাঝি। বৃদ্ধ দারোগা সাহেবের মনটা খারাপ হয়ে গেল, এ সমাজ কত নোংরামি দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। 
 
রাত বারোটা, দায়িত্বে নিয়োজিত প্রায় সকলেই নিবু নিবু চোখে ঢুলছে। দারোগা সাহেব জেলের তালা খুলে নাবিলকে বের করলেন। তারপর নিজে সঙ্গে করে নিয়ে বের হয়ে গেলেন অজানা উদ্দেশ্য নিয়ে।
নাবিল যে বাড়িতে থাকতো সেই বাড়ি থেকে কিছু দুরে দারোগা সাহেব নাবিলকে নিয়ে উপস্থিত হলো। সেখানে দুজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে, তারা হয়তো জানে না নাবিল দারোগা সাহেবের সঙ্গে। কিন্তু নাবিল জানে ওরাই সেই বাকি দুজন, কারণ দারোগা সাহেব আগেই তাকে বলেছে। 
 
সেদিন সকালে যখন দুজনের লাশ পাওয়া গেছে তখন এরা দুজনেই প্রথম নাবিলের কথা বলে এক বাক্যে। কিন্তু আজ যখন নাবিল চারজনের কথা বলেছে, তখন দারোগা সাহেব স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে যে বাকি দুজন এঁরাই ছিল। তাই তো তিনি নাবিলের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তি করার জন্য নিয়ে এসেছে। আর এদেরকে বলেছেন যে তোমরা থাকো, জরুরি কথা আছে। নাবিলের শাস্তির বিষয় বিভিন্ন কুপরামর্শ দিয়ে আসছিল এরা। 
 
নাবিলের হাতে আগেই বিশাল অস্ত্র দিয়েছেন দারোগা সাহেব, যেটা দিয়ে অনায়াসে এক কোপো ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করা যায়।
---
পরদিন সকাল।
গ্রামের মধ্যে হৈচৈ হচ্ছে, আরো দুজন খুন হয়েছে কিন্তু কে করলো খুন? নাবিল তো জেলের মধ্যে তাহলে এদের খুন করেছে কে? দারোগা সাহেব নিজেও সেই খুনের ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগণের ভিড় থামানোর চেষ্টা করছেন। রক্তাক্ত জখম হয়ে খুন হওয়া লাশের দিকে তাকিয়ে সবাই আৎকে ওঠে, কেউ কেউ "ভালো হয়েছে" বলে চলে যায়। এরা এতদিন অনেক অত্যাচার করেছে, সবার সঙ্গে অসম্মান করতে তারা একরোখা ছিলো। 
 
লাশ দুটো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দারোগা সাহেব হাজতে আসলেন। নাবিলকে গতকাল রাতেই আবার হাজতের মধ্যে রাখা হয়েছে, নাবিল এখন আর মন খারাপ করে নেই। চোখ বন্ধ করে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সে। জীবনের কিছু গোপনীয় কথা থাকে, যেগুলো সবসময় সম্মুখে প্রবেশ করে না। কারণ জগতে অনেক কিছু থাকে সেই " কিছু কথা কাঁদে আড়ালে "।

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url