সাধারণ মেয়ে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Bangla kobita abritti- Shadharon Mea)

সাধারণ মেয়ে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Bangla kobita abritti- Shadharon Mea)

মহুয়া) বাবা বিয়েতে রাজি,
কিন্তু একটা শর্ত আছে,,
বললাম কি শর্ত, আমি সব শর্তে রাজি আছি।
মহুয়া বললো তোমাকে আগে একটা পরিহ্মা দিতে হবে। যদি পরিহ্মাতে সফল হতে পরো তাহলে বাবা এ বিয়েতে রাজি এবং তোমার সাথে আমার বিয়ে দিবে।
কোন পরিহ্মা রসায়ন, নাকি উচ্চতর গনিত কোন সমস্যা নাই দিতে রাজি।
মহুয়া বলো ঠিক আছে একটু পরেই দেখতে পারবে।
এই নাও আজকে মাএ চারটি গ্লাস এটাতে রক্ত দাও তার পর থেকে আর কোন দিন দিতে হবে না -।
এবার শেষ বারের মতো দিয়ে দাও।
আমি বললাম ওকে সব কিছু তো তোমাকেই দিয়ে দিয়েছি,,, মন টাও তোমার জন্য -
মহুয়া কই তোমার থেকে তিনটি জিনিস চেয়েছিলাম,,
১/ তাল গাছ ২/ পুকুর ৩/ তোমাকে কিন্তু তোমাকে এখনো পাইনি নিজের করে। পেয়ছি শুধু তাল গাছ আর পুকুরটা তুমকে এখনো পরিপূর্ন্য ভাবে পাই নি.
আশা করি আজকে তা পেয়ে যাবো।
আমি) আরে এসব কি বলছো তুমি আমাকেও তো তুমাকে দিয়ে দিয়েছি।
দেখো আমাদের বিয়টা আগে হোক তারপর দেখবা আর কোন কিছু চেয়ে নিতে হবে না।
মহুয়া - যানো সাইমন আমি না তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি,,, তোমার জন্য আমার অনেক মায়া লাগছে।
জানো সাইমন আমার মনে হচ্ছে আমরা একে অপরকে ছেড়ে বহু দূরে চলে যাবো।
আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে আমার স্বামী করে পাবো নাহ। আমি মনে হয় তোমাকে হারাতে যাচ্ছি,, বলে মহুয়া কাদতে লাগলো।
আমি) মহুয়া বলো তো আমি তোমাকে ভালোবাসি না,
মহুয়া - হুম ভালো বাসো।
আমি) তাহলে কেনো তুমি আমাকে হারাবে,, কেনো তোমার সাথে আমার বিয়ে হবে না।
মহুয়া - আমার তো একটাই ভয়,, তুমি বাবার শর্ত যদি পূরন না করতে পারো,,, আমার ও মনে হচ্ছে তুমি পারবা না।
আমি - চলো এখন চলো আগে তোমার বাবার শর্ত পূরন করতে।
মহুয়া - বেজায় খুশি খুশিতে নাচছে,, বলো তুমি সত্যিই যাবে।
হুম চলো ---
মহুয়া - একটু দাড়াও রশি গুলা নিয়ে নেই।
বললাম রশি দিয়ে কি হবে। এ রশি তো বাধন আর রোকনের ওরা রেখে গেছে প্রান্তদের গাছের নারিকেল পারার জন্য।
মহুয়া সমস্যা নেই কাজ শেষে আবার দিয়ে দিবো,,,
মহুয়ার সাথে তাল গাছের দিকে ছুটে চলছি,,
ঘরের থেকে একটু দুরে যেতেই সমান মাটিতে হোচড় খেয়ে পড়ে গেলাম।
অবশেষে মাটিও বাধা দিলো না যাওয়ার জন্য, কিন্তু আমি আবার উঠে দাড়িয়ে চলতে থাকি।
নিচু বেল গাছটার দিক দিয়ে যেতে হয় বেশ কয়েক বার বেল গাছের কাটা গুলো আমার শার্টে আটকালো আমি থেমে আবার চলতে থাকি।
কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না, একটু পরে আমার সাথে কি হতে যাচ্ছে।
অবশেষে তাল গাছের কাছে পৌছায়, পেত্নি মহুয়া উপরের দিকে মাথা তুলে তাকাতেই তাল গাছ সমান হয়ে গেলো - আর তাল গাছের মাথায় রশি বাধলো,,,
রশির আরেক প্রান্ত আমার গলায় বেধে দিলে...
তারপর পেত্নি বললো বাবার শর্তো হলো তুমি নিচে এভাবে ঝুলবে আর আমি তাল গাছের উপর থেকে যদি টেনে টেনে তুলতে পারি তাহলে তোমার সাথে বিয়ে দিবে। প্লিজ তুমি মানা করো না,, আমার বিশ্বাস তুমি পারবে সাইমন।
মনটার ভেতর কেমন কনফিউশন শুরু হলো কি করবো,,, এদিকে পেত্নিটা একের পর এক বলে যাচ্ছে,, ভালোবাসো না আমায় আমার জন্য এটুকু করতে পারবে না।
কোন মুখ নিয়ে আমি বাবার সামনে দাড়াবো, এই তোমার ভালোবাসা,, ছি সাইমন ছি,, তোমরা মানুষ এতোই স্বার্থপর একটা পেত্নীর মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলো ---
পেত্নি এবার বাংলা সিনেমার নায়কা অপু বিশ্বাস এর মতো ডায়লগ মেরে যাচ্ছে -
আমার ও শাকিব খান এর মতো হাত পা কান খাড়া হচ্ছে এসব শুনে।
নায়ক রিয়াজ এর ডায়লগ এর কথা মনে পড়ে গেলো পারবো না কেনো? পারতে আমায় হবে।
ইশ বাংলা সিনামার আরো ২জনের কথা মনে পড়ে গেলো আনোয়ারার মতো যদি এখানে মা থাকতো তবে বলতো
উঠ বাবা আমি জানি তুই হার মানবি না, তুই পারবি বলতো,,, মৌয়রির কথাও মনে পড়লো,, যদি এখানে আমার বোন থাকতো তাহলে হয়তো বলতো,,,
ভাইয়া এই ভাইয়া তুই না তোর বোন কে অনকে ভালোবাসিস, আমার জন্য না তুই সব করতে পারিস,, তাহলে আমার জন্য না হয় এটা করে দেখা।
উফ কনফিউশন শেষ,, এহা ছোট বেলার বাংলা সিনামা দেখার ক্রিপায়। ধন্যবাদ আবাল মার্কা পরিচালকদের। অবশেষে মহুয়ার কথায় রাজি হলাম মহুয়াও বেশ খুশিতে লাফ দিয়ে তাল গাছের মাথায় উঠে বসলো।
এদিকে বাধন রোকন ও রতন,, আমাকে খুজেছে কোথাও পাচ্ছে না -
রোকন) আরে বেচারা কোথায় গেলো -
বাধন) ধ্যাত বাল যেখানেই যাক সমস্যা নাই, আমাদের ছুরি আর রশি দিয়ে তো যাবে।
রতন) চলতো বাগানের দিকে তো যায়নি আবার, চল ওই দিকে একটু খোজ করে দেখি -
পেত্নি - এবার রশি ধরে টান দিয়েছে,, আমিও প্রায় মাটি থেকে ২ফিট উপরে উঠে গেছি এর মধ্য গলায় ফাস লেগে গেছে,,, আর ধাপ করে শব্দ করেছি,,
শব্দ শুনে ওরা এদিকে টর্স এর আলো ধরে আর আমাকে দেখতে পাই,, সবাই চিল্লায় এবং আমার কাছে আসে -
তারপর পেত্নিটা ছেরে দেয় আমাকে,, আর খুব রাগানিত্ব হয়ে - রোকন বাধন রতন কে বলে,, আজ তদের জন্য আমার মুখের খাবার পরে গেলো -
আমার মুখের খাবার তোরা ছিনিয়ে নিলি,,,, বলে পেত্নিটা মাটিতে নেমে এলো আর এক বিভস্য কালো বিশ্চি চেহারার মেয়ে হয়ে পুকুরে ঝাপ দিলো ----
আর পুকুর থেকে উপর দিকে লাফ দিলো বড় একটা কুমির আবার পুকুরে ডুবে গেলো -
তারপর রোকন বাধন ও রতন ওরা তিনজন..........

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url