আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ || Amar vitore bahire antore antore.. RUDRO MUHAMMAD SHOHIDULLAH



আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
ভাল আছি ভাল থেকো,
 আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি,
 বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম,
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা
oo তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা
 মরমের মূল পথ ধরে।
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক ,
খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ।
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া,
oo তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া,
ভিতরের নীল বন্দরে।
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
ভাল আছি ভাল থেকো,
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি,
বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে………
চা নিয়ে গেস্টদের সামনে যাচ্ছিলাম। আমার ননদ প্রেমা রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নামে দরজার কাছাকাছি এসে আমাকে ইচ্ছা করে ধাক্কা দিল। আমার হাত থেকে চায়ের কেটলি কাপ সবকিছু মেঝেতে পড়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। আমিও পড়ে গেলাম। গরম চা আমার হাতে খানিকটা ঢেলে পড়ল। মুহূর্তেই খানিকটা অংশ পুড়ে গেল। আর আমার শাশুড়ি একটা সুযোগ পেয়ে বসলেন আমাকে অপমান করার। বললেন, " ফকিন্নির মেয়ে, এসব দামী জিনিসপত্র কোনদিন দেখো নি। আমার সংসারটা ধ্বংস করতে এসেছো। পারলে বাপের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র এনে ভেঙ্গে দেখাও। "
মেহমানরা অলরেডি তখনও সামনেই বসে আছে। তারা আমার শাশুড়ির অপমানগুলো শুনে মুচকি মুচকি হাসছে। পাশের বাড়ির আন্টিরা এসেছে। উনারা বরাবরই মানুষের সংসারে অশান্তি লাগলে মজা পান।
ছয় মাস হলো বর্ণর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। যেদিন থেকে এই সংসারে এসেছি আমার শাশুড়ি ননদ কেউ আমাকে পছন্দ করে না। শ্বশুরমশাই আমাকে খুব ভালোবাসে। এত চেষ্টা করি শাশুড়ির মন পাওয়ার কিন্তু উনি পারেন না আমাকে হাতে ছুয়ে মারেন। আমার অপরাধ একটাই। গরিব ঘরে জন্ম নিয়েছি। আরও একটা বড় অপরাধ হচ্ছো বর্ণর সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছি।
বর্ণ যখন বাড়িতে থাকে শাশুড়ি মা এমন ব্যবহার করেন মনে হয় উনি আমাকে মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। বর্ণ অফিসে গেলেই উনার আসল রূপটা সামনে চলে আসে। বাড়ির সমস্ত কাজ আমি করি। রান্না, বাসন মাজা, ঘর মোছা, কাপড় কাঁচা এভরিথিং। আমার অভ্যাস আছে কাজ করার। কখনো কোন অভিযোগ করি নি বর্ণ বা শ্বশুরমশাই এর কাছে। আপ্রাণ চেষ্টা করি শাশুড়ি আমাকে ভালোবাসুক। কিন্তু দিন দিন উনার অপমানের জোর আরো বেড়ে যাচ্ছে। আমার বাবা নেই। মা আর ছোট বোনটা বিয়ের পর প্রথমদিকে বেড়াতে আসতো। কিন্তু শাশুড়ির অপমানে মা লজ্জায় আসতে পারে না।
আমি সপ্তাহে দুদিন কলেজে যাই। সেই দিনগুলো ভোরে উঠে রান্না করে সব কাজ শেষ করে তবেই যাই। কিন্তু বাড়িতে এসে পড়াশোনা নিয়ে খোঁটা শুনতে হয়। যেই একটু সুযোগ পেলে পড়তে বসি শাশুড়ি তৎক্ষণাৎ কোন না কোন কাজ বের করে হাতে ধরিয়ে দেন।
মেঝে থেকে ভাঙ্গা কাপের টুকরাগুলো তুলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। চোখে পানি ছলছল করছে। মুছে নিলাম। মাঝেমাঝে প্রচন্ড কষ্ট হয়। ভেতরে ভেতরে আমি গুমড়ে মরি। কাউকে কিছু বলতে পারি না।
রাতে রুমের লাইট অফ করে শুয়ে আছি বিছানায়। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। বর্ণ রুমে ঢুকে বলল,
-- কি ব্যাপার অসময়ে শুয়ে আছো যে?
-- এমনিতেই।
-- কিছু হয়েছে তোমার।
-- না তো।
তাড়াহুড়া করে মুছে চোখের পানি মুছে নিয়েছি। হাতটা লুকিয়ে রেখেছি পিছনে। বর্ণ দেখলে শুধু শুধু টেনশন করবে। তারপরেও ওকে এড়াতে পারলাম না।
-- এই তোমার হাতে কি হইছে?
-- কই কিছু না তো?
জোর করে হাতটা পেছন থেকে টেনে বের করল।
-- এটা কি?
-- রান্না করার সময় একটু ছ্যাকা খাইছি।
-- আমাকে জানাও নি যে?
-- ধুর তুমিও না। সামান্য পুড়েছে জানানোর কি
আছে।
-- হ্যা সামান্য। প্রয়োজনই বা কি !
রাগ করে কথাটা বলল বর্ণ। আমি কথা ঘুরিয়ে বললাম,
-- চলো ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও।
খাওয়ার টেবিলে বর্ণ বেশ চুপচাপ আছে। কারো সাথে কথা বলছে না। অন্যদিন অনেক বকবক করে। রুমে এসেও আমার সাথে আর কোন কথা বলে নি। চুপচাপ টিভি দেখছে। আমার ওপর রাগ করার কারণটা বুঝতে পারছি না। জিজ্ঞেস করলাম,
-- তোমার আবার কি হলো। চুপ করে আছো।
-- আমার আবার কি হবে!
আমিও আর কিছু না বলে শুয়ে পড়লাম।
দুদিন পরের কথা। খুব জ্বর এসেছে আমার। রান্না করছি। শরীরটা কেঁপে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। অসাবধানতা বশত হাতটা কেঁপে ওঠাই তরকারি বাটিতে ঢালতে গিয়ে মেঝেতে খানিকটা পড়ে গেল। শাশুড়ির নজর এড়ালো না। সাথে সাথে আমার চুলের বেণীটা ধরে টানতে টানতে আমাকে ডাইনিং এ এনে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন। জ্বরের শরীরে এত জোরে আঘাত পেলাম মনে হলো জান ছিড়ে বের হয়ে গেল। শাশুড়ি বলতে শুরু করলেন,
" এই ফকিন্নির বাচ্চা। তোর বাপ কয় টাকা দেয় রে বাজার করতে যে তুই জিনিসপত্র নষ্ট করিস। ওই মেঝেতে পড়ে থাকা তরকারি তুই বাটিতে তুলবি। ওইগুলো খাবি তুই। ভালো তরকারিতে যদি হাত দিস তাহলে তোর হাত আমি কেটে ফেলবো আজ। "
আমার ননদও এসে উপস্থিত হলো। সে তার মায়ের সাথে যোগ করলো,
" এইসব উচ্ছিষ্ট খাবে না তো আর কি খাবে?
ভালো জিনিস, এসব দামী জামাকাপড় কি কোনদিন বাপের বাড়িতে দেখেছে ও। আমার
সরল ভাইটাকে ফাঁসিয়েছে তো টাকার লোভেই। এ ধরনের মেয়েরা কেমন হয় জানো না মা? এক ধাক্কা দিয়ে কাজ হয় নি মা। একদম জীবনকার মতো বাড়ি থেকে বের করে দাও। "
মুহুূর্তেই বর্ণ হাততালি দিতে দিতে বাড়িতে প্রবেশ করলো। আমি চমকে উঠলাম। শাশুড়ি প্রেমা ওরাও অবাক। অফিসের ব্যাগ টা রেখে কিছুক্ষণ হাসলো বর্ণ। বর্ণর এসময় বাড়িতে আসার কথা নয়। হঠাৎ করেই চলে এসেছে।
-- মা তুমি? আই ক্যান্ট বিলিভ। রিনা আন্টি
আমাকে আগেই বলেছিল তুমি মিফতার সাথে
এগুলো করো। আমি বিশ্বাস করি নি।
ভেবেছিলাম পাশের বাড়ির আন্টিরা অন্যের
ফ্যামিলিতে ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা করে। কিন্তু
উনি সত্যিটাই বলেছে আজ প্রমাণ পেলাম।
গতদিন যে প্রেমা ইচ্ছা করে মিফতাকে ধাক্কা
দিয়ে চায়ের কেটলিসহ ফেলে দিয়েছিল আর
তা থেকে ওর হাত পুড়ে গেছে, আর তুমি কি
কি জঘন্য ভাষা ইউজ করেছো সবটাই আমার
কানে পৌছেছে। বাসায় এসে মিফতাকে
জিজ্ঞেস করলাম। সেও মিথ্যা বলে তোমাকে
দুধে ধোয়া তুলশি পাতা প্রমাণ করলো। আর
আজ তুমি সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে গেছো।
বাড়ির বউ এর গায়ে তুমি হাত তুলেছো !
ভাগ্যিস সঠিক সময়ে এসেছিলাম। আমার
প্রচন্ড লজ্জা করছে। বিয়ের আগে আমি
মিফতাকে তোমার সম্পর্কে কি কি শুনিয়েছি
আর ও এসে কি কি দেখলো। তোমার ওর
সাথে সমস্যা কি মা?
শাশুড়ি কান্নাজড়িত কন্ঠে বললেন,
-- তুই তোর বউ এর জন্য নিজের মাকে অপমান
করছিস। আজ এ দিনও আমাকে দেখতে
হলো। তোর বউয়ের কান ভাঙানি শুনে আজ
তুই আমাকে অবিশ্বাস করলি।
-- হা হা। মিফতা যদি ভুলেও একবার এসব
বলতো আমি সত্যিই ওকে বিশ্বাস করে
নিতাম। কারণ ও বিশ্বাস করার । কিন্তু
আপসোস সে আমাকে বিশ্বাস করে বলতে
পারেনি আমি কি ভাববো বলে।
আমার আর এসব সহ্য হচ্ছিল না। আমি বর্ণকে বললাম,
-- প্লিজ চুপ করো।
-- তুমি চুপ করো (বর্ণ আমাকে ধমক দিলো)
-- ভাইয়া তুই মাকে এসব বলতে পারলি? মা এর
চেয়ে তোর কাছে বউই বড় হলো? (প্রেমা)
-- তোর ব্যবস্থা তো বাবা করবে। কতবড় স্পর্ধা
হয়েছে তোর। (বর্ণ)
-- বাবা করবে মানে? (শাশুড়ি)
মিনিট পাঁচেক পরে শ্বশুরমশাই বাড়িতে প্রবেশ করলেন। বললেন,
-- সরি আসতে লেট হয়ে গেল। খানিকটা ড্রামা
মিস করে ফেলেছি। কি যেন বলছিলে তুমি
সাবেরা?
শাশুড়ি চুপ করে আছে। শ্বশুরমশাই আমাকে বললেন,
-- বউমা এক গ্লাস পানি দাও তো।
আমি ভয়ে ভয়ে একগ্লাস পানি উনার হাতে দিলাম। পানিটা খেয়ে উনি শাশুড়িকে বললেন,
-- সাবেরা, তুমি মনে হয় অতীত ভুলে গেছো।
তোমার বাবা এতটাই দরিদ্র ছিল যে উনি
একটা অর্ধবয়সী দুই বউ বাচ্চাওয়ালা
লোকের সাথে তোমার বিয়ে দিতে চেয়েছিল।
আর আমার বাবা তোমার ওপর দয়া করে
তোমাকে বাড়ির বউ করে এনেছিল। আমার
মা যদি সেকালে তোমার সাথে এমন ব্যবহার
করতো তুমি এই সংসারে টিকতে পারতে না।
কিন্তু তোমার সমস্ত অতীত ভুলে রূপ তুমি
পাল্টে নিয়েছো। বলতে বাধ্য হচ্ছি তোমার মন
মানসিকতাই ছোটলোকি টা থেকে গেছে।
হয় আজ তুমি সুধ্রে যাও তা নাহলে এখনো
ব্যবস্থা আমার জানা আছে।
প্রেমা শ্বশুরমশাইকে এড়িয়ে পেছন থেকে কেটে পড়ার চেষ্টা করছিল। শ্বশুরমশাই বললেন,
-- দাঁড়াও প্রেমা। তোমার স্পর্ধা দেখে অবাক
হচ্ছি। এই শিক্ষা দিয়েছি আমি তোমাকে?
ভাবতেও লজ্জা করছে। তোমার বিয়ে আমি
এমন সাধারণ ঘরে দিবো যেন তুমি জীবনের
প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারো। বিলাসিতা বাদ
দাও। কাল থেকে সংসারের কাজে তুমি
সাহায্য করবে। তোমার নিজের সংসার
গুছানোর জন্য প্রিপারেশন নাও। আর
এগুলো আমি মজা করে বলছি না। এটা
আমার অর্ডার। মনে রেখো।
শ্বশুরমশাই আমাকে বললেন,
-- তোমার কাছে আমি কিভাবে ক্ষমা চাইবো
বুঝতে পারছি না। তুমি এত অত্যাচার সহ্য
করে গেছো বাবাকে তো একটাবার জানাতে
পারতে। ভরসা ছিল না?
-- ছিঃ ছিঃ বাবা এভাবে বলবেন না প্লিজ। আমি
চাইনি পরিবারে এইরকম অশান্তি হোক।
-- ওয়াও। (বর্ণ)
কথাটা বলে বর্ণ রাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। আমি ওর পিছু নিয়ে ওকে থামানোর চেষ্টা করলাম। কোন কথা শুনলো না। দুপুরে বর্ণ খায় নি। বারবার ফোন দিচ্ছি ফোনটাও রিসিভ করছে না। প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে আমার। রাত এগারোটা বাজে তখন বর্ণ বাড়ি ফিরে আসলো। আমি তখন দরজাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। বর্ণ বলল,
-- জামাকাপড় গুছিয়ে নাও। আমরা কাল
সকালেই বাড়ি থেকে চলে যাবো। অন্য
কোথাও ভাড়া থাকবো।
-- তুমি কি পাগল হয়ে গেছো। প্লিজ তাকাও
আমার দিকে। এভাবে চলে যাওয়াটা কোনো
সমাধান না।
-- আমি তোমার পারমিশন চাচ্ছি না। তোমাকে
আমার সাথে যেতে হবে এটা শুধু জানাচ্ছি।
প্যাকিং শুরু করো।
-- প্লিজ ঠান্ডা মাথায় একটু চিন্তা করো। অন্তত
বাবার সম্মানের কথা ভেবে।
-- এক কথা বারবার শোনা আমার পছন্দ না।
বলে আলমারী থেকে বর্ণ ওর জামাকাপড় গুলো বের করে প্যাক করতে শুরু করলো। আমার জামাকাপড় বের করে বিছানায় ফেলে প্যাক করতে বললো। রাগের মাথায় আছে তাই বাধ্য হয়ে প্যাকিং শুরু করলাম। বর্ণ চেঞ্জ পর্যন্ত করলো না। শুয়ে পড়লো। আমি বললাম,
-- তুমি ডিনার করবা না?
-- না। তুমি ওষুধ খেয়ে নাও।
-- তুমি না খেলে আমি কিছুই খাবো না।
-- ওকে, শুয়ে পড়ো। একদিন না খেলে কিছু
হবে না।
-- তুমি আমার ওপরে রাগ করছো কেন?
-- আমার নিজের ওপর রাগ হচ্ছে। কারণ তুমি
আমাকে কিছুই বলো নি। সবটা সময় অভিনয়
করে গেছো। আর তুমি ঠিক আছো বলে আমি
কোনকিছু গুরুত্ব দিয়ে দেখি নি।
বর্ণর চোখে পানি চলে এলো। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
-- তোমার কোন ভুল নেই। প্লিজ তুমি এসব নিয়ে
ভেবো না। আমি ঠিক আছি।
অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার একই জেদ। বাধ্য হয়ে সকালে রেডি হয়ে সবার সামনে উপস্থিত হলাম দুজনে। বর্ণ বাবাকে বলল,
-- বাবা আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মিফতাকে
নিয়ে বাইরে থাকবো।
-- প্লিজ এটা করো না। তোমরা না থাকলে
আমরা কিভাবে থাকবো।
শাশুড়ি কেঁদে ফেলল। আমার হাতটা ধরে বলল,
-- আমার ভুল হয়ে গেছে বউমা। তুমি প্লিজ
আমার ছেলেকে বোঝাও। আমি তোমাকে
নিজের মেয়ের মতো করে রাখবো। প্লিজ
আমার ভুলটা সুধ্রানোর একটা সুযোগ টা
দাও।
-- আমরা কোথাও যাবো না। (আমি)
-- এর মানে কি? (বর্ণ)
-- তুমি আমাকে ভালোবাসো তো? আমার ওপর
বিশ্বাস রেখে একটা সুযোগ দাও। প্লিজ বর্ণ..
(আমি)
-- হ্যা ভাইয়া প্লিজ যাস না। (প্রেমা)
সবার কথাই বর্ণ শেষমেষ রাজি হলো।
সত্যিই আমার শাশুড়ি ননদ আমার বিশ্বাস টা রেখেছে। তারা আমাকে এখন মন থেকে পরিবারের একজন ভাবে। আমরা একসাথে কাজ করি, গল্প করি, টিভি দেখি। বেশ সুখে দিন কাটছে। আর বর্ণ আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে বলেই আজ সবকিছু এই পর্যায়ে এসেছে। কারণ জীবনসঙ্গীর সাপোর্ট টা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়।
গল্প: সাপোর্ট
লেখনীতে-- নূর-এ সাবা জান্নাত


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url