কেমন মেয়ে বিয়ে করবেন? | What kind of girl will get married

আমার কর্মজীবনের রাহবার মাওলানা নজীরুল ইসলাম হাফি. বলতেন, যেসব মহিলার বাচ্চাকাচ্চা বেশি, তাদের সাংসারিক সুখটাও বেশি৷ কারণ, বাচ্চা পালতে পালতে হেডম প্রদর্শনের ফুরসত থাকে না। শরীরের তেজ কমে আসে। একটাপর্যায় সংসারে উভয়ের ধৈর্যশক্তি চলে আসে, যে ধৈর্যের অভাবে বহু সংসার আজ ভেঙে যাচ্ছে। তা ছাড়া বাচ্চার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে হলেও সংসার জিইয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা তার থাকে। কিন্তু যার সন্তান নাই, কিংবা এনজিও ফরমুলা অনুযায়ী একটা বা দুইটা, তাদের শরীর থাকে টানটান। মেজাজ থাকে চড়া। এ সংসার বাদেও বহু সংসার তার স্বপ্নে উকি দেয়।

বিয়ের পর মেয়েদের প্রদান কাজটাই হচ্ছে সন্তান লালনপালন। এটাই কুরআনের শিক্ষা। ক্যারিয়ার গঠন পশ্চিমাদের থিউরি। একটা মানব সন্তান বিগ প্রজেক্ট। তুচ্ছ করে দেখার কিছু নেই। কুল-কায়েনাত বানাইতে আল্লাহ সময় নিছেন মাত্র ৬ দিন। কিন্তু মানুষ বানাইতে নিছেন ৯ মাস ১০ দিন। মানুষের জন্য নবী পাঠাইছেন। কিতাব নাযিল করছেন। জান্নাত তৈরি করছেন। আরও কত কি! বুঝতে হবে ব্যাপারটা।

সন্তানহীন কিংবা 'ছোট সংসার' দম্পত্তির বার্ধক্যজীবন বড়ই কষ্টের৷

একবার এক সাহাবা এসে নবীজি ﷺ কে বললেন, আমি একটা মেয়েকে বিয়ের জন্য দেখেছি। মেয়েটা বেশ সুন্দরী। রূপে গুণে মাশা আল্লাহ। কিন্তু মেয়েটার গর্ভধারণে অক্ষম। বন্ধা। এখন আমি কি তাকে বিয়ে করব? নবীজি ﷺ বললেন, না। কিন্তু ঐ সাহাবা কোনোভাবেই এমন মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব রিজেক্ট করতে পারছিলেন না। তিনি আবার এলেন নবীজির কাছে। আবার পরামর্শ চাইলেন। নবীজি ﷺ এবারও না করলেন। ক'দিন বাদে আবারও এলেন। পরামর্শ চাইলেন। নবীজি ﷺ এবারও না করে দিলেন। এরপর বললেন, এমন মেয়ে বিয়ে কর, যে অধিক সন্তানসম্ভবা। এবং কোমল হৃদয়ের। কেননা আমি আমার উম্মতের আধিক্য নিয়ে কিয়ামতের দিন গর্ভ করব।"

[ আবু দাউদঃ২০৫০]

ফেসবুকে কিছু 'দ্বীনি আপু' আছেন, কেউ তাদের মতের উলটা গেলে ট্রল আর হাশি-তামাশা করতে ভুলেন না। আচ্ছা এই 'দ্বীনি আপু'রা কি কোমল হৃদয়ের? আমার মায়া হয় তাদের স্বামীদের নিয়ে৷ বেচারা!

তাই আবারও বলছি, এমন মেয়ে বিবাহ করুন, যার অধিক বাচ্চাকাচ্চা নেয়ার স্বপ্ন আছে। ভুলেও তাদের বিবাহ করবেন না, যারা ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত। অধিক সন্তান ঝামেলা মনে করে। কারণ, এসব নারীরা বন্ধা। মানসিকভাবে বন্ধা৷ এদের খোলসটা ইসলাম হলেও ভেতরটা মেড ইন পশ্চিমা।

~ Masud Alimi হাফি.