Sudeep's SMART THIEF Full Hindi Dubbed Action Romantic Movie | Nithya Menen, Prakash R | South Movie
Jannat
31 Jan, 2022
Sudeep's SMART THIEF Full Hindi Dubbed Action Romantic Movie | Nithya Menen, Prakash R | South Movie
Presenting South (Sauth) Indian Movies Dubbed In Hindi Full Action Movie HD (Action Movies In Hindi, South Movie, सुपरहिट हिंदी डब्ड फिल्म) "SMART THIEF" starring Sudeep, Nithya Menen, Ravi Shankar, Nassar, Prakash Raj, Sathish & Chikkanna.
A real estate agent disguises himself as a robber and loots wealthy people. When the police begin the investigation, he tries to convince them that his identical twin brother is the culprit.
গল্পঃ- রুম নাম্বার ১০১
লেখা:- Rafsan Sydul
পর্বঃ- ০৮
মাথায় ব্যাথা পেলেও নিজেকে থামাতে পারছিল না, অন্তু ঘুমিয়ে আছে, সে ঘুম ভাঙবার নয়। মহিমা হাঁটু ভর করে বাথরুম থেকে বের হবে এমন সময় টুপ টুপ করে মহিমার উপর দু’ফোটা রক্ত পড়ে। জিহ্বা শুকিয়ে গেছে ওর। শরীরের দূর্বলতায় উপরের দিকে তাকাতেও হৃদয় কাঁপছে ওর। ঝুলন্ত মাথাকাটা দেহটা দেখতে পেয়েই জ্ঞান হারা মহিমা।
তখনও তার শ্রবণ শক্তি কাজ করছিলো, মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ সচল, কেউ একজন বলছিলো। "মহিমা ওঠ বইন, তুই তো আমাদের মুক্তির পথ। ওঠ বইন ওঠ"
যখন মহিমার চোখ খুলে তখন দিনের আলো অর্ধেকটা পেরিয়ে গেছে। অন্তু ঘুমোচ্ছে এখনো। বাথরুম থেকে বেরিয়ে বেডরুম থেকে গেঞ্জি আর জিন্স নিয়ে আবারও বাথরুমে ঢুকে। শাওয়ার ছেড়ে ভাবতে থাকে সে মুখটার কথা। স্পষ্ট মনে আছে মহিমার সে মুখ। গতরাতে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়, কিছুটা রক্তক্ষরণ হলেও সে ক্ষতটা এখন নেই। দেয়ালে ঠিকি রক্তের সে দাগ এখনো রয়ে গেছে। পা দিয়ে মুছে ফেলতে চাইছে সে রক্ত।
"আচ্ছা অন্তুকে কি এসব জানাবো? এ মহলে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো? অন্ধকারের সে ছায়ার কথা? কিন্তু ও তো একটু দূর্বল প্যারানরমাল জিনিসে। যদি অধিক ভয়ে নিস্তব্ধতা ছেয়ে যায় এ শহরে। নাহ্ থাক বলার দরকার নেই এসব ঘটনা, শাওয়ার থেকে বিন্দু বিন্দু পানির ফোঁটায় পরিষ্কার দেহের সাথে মনের ভয়কে শান্ত করে দিচ্ছে ওর। প্রায় আধাঘন্টা শাওয়ারের পানিতে নিজের দেহ ভিজিয়ে শান্ত মনে তোয়ালে খুঁজছে, পাবে কোথায়? ও তো তোয়ালে নিয়ে ঢুকেনি। ভেজা শরীরে কাপড় পড়াও যাচ্ছে না রুমের ভিতরে অন্তু। সে ভালোবাসার মানুষ নগ্ন দেহ আগেই দেখেছে, তবে ও তো এখনো ঘুমে, কিছু হবে না।
বাথরুমের দরজা খুলে ভেজা শরীর নিয়ে বাহিরে আসে, ফর্সা দেহে পানির বিন্দু ফোঁটা ছোপ কেটেছে। বাঁধা চুলের পাশ বেয়ে মোহ মাখা পানির বিন্দু ঠোঁটের পাশ বেয়ে চুপসে পড়ছে নিথর বুকে। তাকিয়ে আছে অন্তু খাটের একপাশে বসে। তোয়ালেটা অন্তুর পাশেই। অন্তুর চোখে চোখ পড়তেই নিজেকে ঢাকার ব্যার্থ প্রচেষ্টায় হাত দিয়ে বুকের অর্ধাংশ ঢেকে মাথা নিচু করে তোয়ালেটা চাচ্ছে ওর কাছে। রক্তচক্ষু নামিয়ে অন্তু তোয়ালে দেয়ার ছুতোর ভেজা ঘাড়ে ঠোঁটের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়। উষ্ণ শরীরে পুরুষের ছোয়া যেন মাতাল করা এক নেশা মহিমার। এ নেশা বরাবর ই প্রিয়। তবে কি মহিমা জানে সে এক মৃত মানুষের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হচ্ছে? মানুষের খোলসে এক অন্য মায়ার?
মধ্য দুপুর দু'জনে শুয়ে আছে একে অপরকে জড়িয়ে। কালো সেই অন্ধকার ছায়ার নতুন জীবন অন্তু। তার আজ বড্ড পিপাসা পেয়েছে। রক্তের নেশা মাথায় চড়েছে। বারবার মহিমার রক্ত চুষে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও অনিহা জন্মে তার। কেনো এ অনিহা বুঝতে পারেনা ক্ষমতাশালী সে ছায়া। ক্রমশই তার নেশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহিমার কোল ছেড়ে উঠে পড়ে অন্তু। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
"আসছি প্রিয় কোন এক অজানা কাজে যেতে হবে বাহিরে।"
অভিমানী কণ্ঠে মহিমা বলে "যাও"
অন্তুর চোখে পিপাসা মহিমার ঠোঁটের মধু আর সে পিপাসা মিটাতে পারছে না। দিনের শেষবার সে স্পর্শ অনুভব করে মহিমা। বের হয়ে যায় অন্তু। শহরের শেষ প্রান্তে। রাস্তায় এত পুরুষ থাকতেও অন্তুকে শহরের শেষ প্রান্তে কেনো টানছে ওর ভিতরের আত্মা? বুঝে উঠতে পারছে না সে। সে কল্পনা করে ওখানেই তার তৃপ্তি মিটানোর পর্যাপ্ত রক্তের খোঁজ সে পাবে।