সখি ভাবনা কাহারে বলে | Sokhi Vabona Kahare Bole

নাফিয়ান উধাও হয়ে গেল।
এদিকে নাফিয়ান ইরার অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল তাই ইরা খুব বেশি পরিমানে মিস করছিল নাফিয়ানকে!
নাফিয়ানের যোগাযোগ বন্ধ করার ১৪তম দিন! হঠাৎ ইরার মনে পড়ে "নাফিয়ান তাকে খাবারের সাথে একটা চিরকুট দিয়েছিল,সেখানে একটা নাম্বার ছিল"
,
ইরা পাগলের মত তন্ন তন্ন করে খোজা শুরু করে সেই চিরকুটটা!
অনেকক্ষণ খোজা খুজির পর ইরা চিরকুটটা পায়!
চিরকুটটা পেয়ে ইরার ঠোটে যেই হাসিটা এসেছিল সেটা ছিল দেখার মত!
,
কিন্তু চিরকুটটা পুরনো হয়ে যাওয়াতে মোবাইল নাম্বারের শেষ ডিজিটটা বুঝা যাচ্ছে না।
,
ইরা ০-৯ অবদি দিয়ে কল দেয়,৩-৪টা বয়স্ক মানুষ ধরেছে,২-৩ টা বলেই দেয়,নাফিয়ান নামে তারা কাউকে চিনে না!
২টা নাম্বার বন্ধ পায় ইরা!
ওই ২টা নাম্বারে ইরা ম্যাসেজ পাঠায় "ইরা নাফিয়ানকে খুজছে"!
,
কেটে যায় আরো ৩ দিন।
ইরা প্রতিদিন ওই দুইটি নাম্বারে কল দিত কিন্তু বন্ধ পেত!
,
হঠাৎ আজকে কল দিয়ে দেখে একটি নাম্বারে রিং হচ্ছে! ইরা জাস্ট কেপে উঠে ,,
প্রথমবার কলটা কেউ ধরে না!
ইরা আবার কল দেয়!
২য় বার কল রিসিভ করা হয়!
,
ইরা; হ্যালো নাফিয়ান
--; কে বলছেন?
ইরা; নাফিয়ান আমি ইরা বলছি।
--; আপনি ভুল করছেন,আমি নাফিয়ান না,তবে এটা নাফিয়ানেরই নাম্বার!
ইরা; প্লিজ ভাইয়া একটু নাফিয়ানকে দিন
--; আপনি কিছু জানেন না??
ইরা; কি জানবো ভাইয়া?
--; নাফিয়ান মারা গেছে আজকে ১৭ দিন!
(ইরার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেল,ইরা স্তব্ধ হয়ে গেল)
--; ডেলিভারী করার সময় পিছন থেকে একটা ট্রাক ওর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়,ও ছিটকে গিয়ে বাসের নিচে পড়ে,স্পট ডেড!
ইরা; (কাদতে কাদতে) ভাইয়া মজা করতেছেন?
--; না আপু! আসলে সবকিছু হঠাৎ করেই ঘটে গেছে!
(ইরা কল কেটে দেয়)
সেদিন সারারাত ঘরের দরজা বন্ধ করে ইরা কেদেছিল,চিতকার করে কাদতে না পারা যে কতটা বেদনাদায়ক সেটা সেদিন বুঝেছিল ইরা!
,
ইরা প্রচন্ড ভেঙে পড়ে,সারাদিন চুপচাপ বসে থাকে!কোন কিছুই তার ভালো লাগে না! এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল ইরার!
,
সময়ের সাথে ইরা নিজেকে সামলে উঠে! তবুও নিজের অজান্তে হলেও ইরা নাফিয়ানকে ভালোবেসে ছিল!
মনের কোন এক কোনে ভালোবাসাটা জমা রেখে নরমাল লাইফ কাটাতে থাকে ইরা!
কেটে যায় ৫ মাস!
,
ইরা একদিন তার এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যায়! যখন ফিরে আসছিল! তখন সেই বাড়ির নিচে ইরা একটা সাইকেল দাড়ানো অবস্থায় দেখতে পায়! ইরার সাইকেলটাকে খুব পরিচিত মনে হয়!
ইরা সাইকেলটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে,
কিছুক্ষণ পর,
ইরার পিছনে কেউ এসে দাঁড়ায়!
,
-- এক্সকিউজ মি!
(ইরা ঘুরে তাকায়)
ইরা সেই মানুষটার চোখ দেখেই কেদে ফেলে!
ইরা; আপনার মাস্কটা খুলুন!
(ছেলেটা মাস্ক খুলে)
(ইরা ১টা থাপ্পড় দেয়)
আর বলে "(কেদে কেদে) মুখোশ এর আড়ালে তুই কত বড় অমানুষ সেটা বুঝতে পারি নাই।
(ইরা চলে আসে)
" ছেলেটি নাফিয়ান ছিল"!
,
চলবে!
.
গল্পের নাম; "অন্তরালে ছোয়া "
লেখক; আলিফ খান (মেন্টাল)
.
ধন্যবাদ!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url