কি হবে দুনিয়াদারী দুদিনের বাহাদুরি | Ki Hobe Duniyadari Dudiner Bahaduri...

মায়াবতী
পর্ব - ২
দ্বিতীয় বার মেয়ে হবার খবরে আজিজুল ও তার মা বাবার মন মেজাজ একেবারে বিষিয়ে গেছে। প্রথম বার ভুল হয়েছে ভালো কথা বার বার একই ভুল মেনে নেওয়া যায় না।
মাজেদুল দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, কি পাপ যে করছি, আমার কি বংশের প্রদীপ কোলে নিয়া গর্বে মাথা উঁচু কইরা মাইনসের সামনে দিয়া যাওয়ার নসিব হইবো না? ঘর ভর্তি শুধু মাইয়ার পাল। ওই আক্কাইসা তার দুই পোতা ছাওয়াল কান্ধে লইয়া যে দেমাগ দেখাইয়া ঘুরে দেখলে গা জ্বলে। ইচ্ছা কইরা আমারে টিটকারি দেয় বেডা। আমারে কয় কি বন্ধু তুমার পুতনি কই? শালায় জানে একটা অপয়া হইছে কালা ভুত তার উপর লেংড়া আমি ওই জিনিস কোলে লইয়া হাটে বাজারে যাই আর লোক হাসুক।
জাহানারা বললো, সব ওই বেডির দোষ। বেডির নিয়তেই সমস্যা আছে। তারে কতবার কইছি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি কর এবার যেন একটা পোলা আসে। কে শোনে কার কথা ছোট লোকের বেডি। আপনে এত চিন্তা নিবেন না আবার হইবো তাছাড়া আমাগো আরো পোলা আছে সবারই তো আর মাইয়ার পাল হইবো না।
এ কথা শুনে আজিজুলে খুব রাগ উঠলো। সে পিচ করে একদলা থুথু ফেলে বললো, মা তুমি আমার কথাডা একবারও ভাবলানা? অন্য পোলাগো নিয়া পড়লা। একবার ভাবলানা আমার কি হইবে? আমি মরলে নিজ পোলার একমুঠ মাটিও কি নসিবে হইবো না আমার? আমার কি শখ হয় না একটা পোলার। কোনখান থেকে এক অপয়া বেডি ধইরা আনছো যে আমারে কিছুই দিবার পারে না। মইনুলরে দেখো শশুরের দেওয়া মোটরসাইকেল নিয়া চোখে গগলস লাগাইয়া ভটভট কইরা সামনে দিয়ে যায়। ফকিরের ঘর থেকে তুইলা আনছো তার একটা পোলা পর্যন্ত দিবার ক্ষমতা নাই। এই সব তো আমারেই পালতে হইবে নাকি।
এমন সময় মায়া গুটি গুটি পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাবার কাছে এলো। বেচারি খুব ভয় পেয়েছে। তার মাকে সে পেট ধরে চিৎকার করতে দেখেছে। ছোট বাচ্চা বুঝতে পারছে না কিছু। কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো হঠাৎ উঠে সে বাবার কাছে আসতেই ওকে দেখে আজিজুলের মাথা আরও গরম হয়ে গেলো সব রাগ মায়ার ওপর পড়লো। আচমকা সে ঠাশ করে বাচ্চাটাকে একটা চড় বসিয়ে দিলো। হঠাৎ চড় খেয়ে মায়া তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলো।
রকিবুল দৌড়ে এসে কান্নারত মায়াকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করতে করতে বললো বড় ভাই তুমি কি মানুষ? এইটুকুনি বাচ্চারে কেউ এত জোরে মারে? বেচারি এমনিতে ভয়ে আছে।
আজিজুল তেজ দেখিয়ে বললো জ্ঞান ঝাড়বি না খবরদার নইলে তুই ও থাবড়া খাবি, যা ভাগ এখান থেকে।
মায়া দুই হাত দিয়ে রকিবুলের গলা জড়িয়ে ধরে মা যাবো, মা যাবো বলে কাঁদছে। রকিবুল না মা কাঁদে না চলো তোমারে চকলেট কিন্না দিমু বলে আদর করতে করতে মায়াকে নিয়ে গেল।
জাহানারা বড় ছেলেকে এভাবে রেগে যেতে দেখে বললো, এত চেতিস না রে বাপ। তিন নাম্বার ডা তোর অবশ্যই পোলা হইবো দেখিস। আর ওই বেডি পোলা না দিবার পারলে দরকার লাগে তরে আবার বিয়া বয়ামু। আমার পোলার ঘরে বংশের প্রদীপ আইবোই চিন্তা নিস না।
এমন সময় আজিজুলের ফুপু এসে বললো, ও আজিজুল তোর মাইয়া হইছে ঠিকই কিন্তু মাইয়া তো না এক্কেরে পরীর বাচ্চা। চান্দের মতন সোন্দর(সুন্দর ) ফুটফুইটা বাচ্চা। এই বাড়ির ৩ পুরুষে এমুন সোন্দর কেউ হয় নাই।
বৃদ্ধা ধাই এসে হাসিমুখে বললো, আগের বার বেশি কিছু দাবী করি নাই কিন্তুক এই বার আমারে খুশি কইরা দিবা তুমরা। পাড় ভাঙা শাড়ি দিবা, সুগন্ধি সাবান দিবা, সুগন্ধি তৈল দিবা, নগদে টেকা দিবা।
জাহানারা বাঁধা দিয়ে বললো থামো থামো বুড়ির শখ কত! একে তো পরপর দুইডা মাইয়া তার উপ্রে এই দেও সেই দেও বায়নার শেষ নাই।
বৃদ্ধা বললো, চান্দের লাহান মাইয়া হইছে গো। দেখলে তুমাগো দিল খুশ হইবো।
শুনে মাজেদুল আর জাহানারার একটু আগ্রহ হলো।
আজিজুল গজগজ করতে লাগলো মাইয়া তো মাইয়াই পাইলা পুইষা টাকা ঢাইলা বড় করো তার পর আবার এক জজ্ঞর যৌতুক দিয়া আপদ বিদায় করো।
আজিজুলের ফুপু কাপড়ে প্যাচানো সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটা এনে জাহানারার কোলে দিলো।
জাহানারা দেখে এই প্রথম একটু খুশি হলো ও আজিজ দেখ বাপ কি সোন্দর হইছে। সাদা ধবধবা মাথা ভর্তি ঘন চুল এক্কেরে পরী গো লাহান।
মাজেদুল উঁকি দিয়ে বললো নজর দিও না মাশাল্লাহ কও মাশাল্লাহ। হ্যা এইডা হইছে মাইয়া। এরে সমাজে একটু আধটু নেওয়া যাইবো। ভালো ঘরে বিয়া দেওয়াও যাইবো।
আজিজুল ও বাচ্চাটা দেখে খুশি হলো। সে বললো যাক বেডির রুপ কিছু তো কামে আইলো।
এবারও মনোয়ারার বাচ্চা হবার ৭/৮ ঘন্টা আগে ব্যাথা উঠেছিলো। প্রথম বারের অভিজ্ঞতা আছে তাই বুঝতে পারার সাথে সাথে সে টুকটাক গোজগাজ করে নিয়েছে। পরিষ্কার পাতলা তেনা, নরম কাঁথা সে আগে থেকে রেডি করে রেখেছিলো। সাথে ডেটল, ব্লেড, সাবান সহ গত বারে যা যা লেগেছিলো সব আনিয়ে রেখেছে। প্রথম বার তার কোন অভিজ্ঞতা ছিলো না তাই কিছুই গুছিয়ে রাখেনি। শুধু কতগুলো কাঁথা সেলাই করে রেখেছিলো।
ধাই এসে কোন কিছু গোছানো না দেখে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেছিলো, জাহানারার উদ্দেশ্যে বলেছিলো, ও বৌ তা বলি হারি এত গুলো বাচ্চা বিয়োইছো তার পরেও কিচ্ছুটি জানো না? কিছুই তো দেখি গুছায়ে রাখো নাই। তাড়াতাড়ি চুলোই পানি গরম বসাও আর দোকান থিকা যা যা বলি আনায়ে দেও।
জাহানারা রাগান্বিত চোখে মনোয়ারার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো, আমার কি অত খেয়াল আছে। যে বিয়োবে তারই হুঁশ নাই। মায়ে তো কিচ্ছুটি শিখায়নি। শুধু ঢেংড়ি বানাইয়া ছাইড়া থুইছে। আমার হইছে যত জ্বালা। আমরা ধান, গম ফসল সামলাইয়া, ১৫/২০ জনের জন্য হাড়ি হাড়ি রাইন্ধা থুইয়া বাচ্চা বিয়োইছি। আবার ৫/৬ দিন না যাইতেই রান্না ঘরে হাড়ি ঠেলছি। আজ কালকার মাইয়াগো নাটক দেখলে গায়ে জ্বালা ধরে। জগতে যেন উনিই একমাত্র বাচ্চা বিয়োইবে।
মনোয়ারা বেশি ব্যাথা ওঠার আগে কাউকে কিছু না বলে তাড়াতাড়ি হাত চালিয়ে কাজ করছে। সে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে মায়াকে কাছে টেনে আদর করলো। মায়া নিজেই ছোট বাচ্চা এখনো কিছু বোঝে না তারপরও মনোয়ারা তাকে বললো, মা তুমি ভয় পাবা না তোমার লগে খেলতে ছোট একটা বাবু আইবো। তুমি খেলবা তার সাথে। মায়া কিছু না বুঝেই বাবু, বাবু, বাবু বলতে লাগলো আনন্দের সাথে। মনোয়ারা মায়াকে গোসল করিয়ে পেট ভরে খাইয়ে দিলো। বাচ্চাটাকে সে ছাড়া কেউ যত্ন করে না। রকিব মায়াকে ভালোবাসে কিন্তু সামনে তার বোর্ড পরীক্ষা পড়াশোনা নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। সে স্কুলে তাকে মায়ার খেয়াল রাখার কথা বলতে পারলে ভালো হত। মনোয়ারা রান্না ঘরে ঢুকতেই তার ব্যাথা বাড়তে লাগলো। এখনো রান্না পুরো হয়নি সে জাহানারাকে সাহস করে বলতে পারছে না। মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে যেন কাজ গুলো শেষ করতে পারে।
সোনিয়া রোজ গোসলের আগে রুপ চর্চা করে। কি কি সব দুধ দিয়ে গুলিয়ে মুখে গলায় হাতে পায়ে মাখে। সোনিয়া রান্না ঘরে দুধ নিতে ঢুকে দেখে মনোয়ারা দরদর করে ঘামছে, তার চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তার খুব কষ্ট হচ্ছে। চুলার সামনে মোড়ায় বসে আছে। ভাত রান্না হচ্ছে সে একটা দুইটা জাল দিচ্ছে ঠেলে ঠেলে। সোনিয়াকে দেখে মনোয়ারা যেন একটু ভরসা পেলো সে বললো বোন একটু সাহায্য করো।
সোনিয়া বললো কি হয়েছে তোমার এমন করতেছো কেন?
মনোয়ারা বললো আমার মনে হয় বাচ্চা হবার সময় হয়ে গেছে। সব রান্না করে ফেলেছি ভাত টা বাকি। মাড় গালতে পারবো না মনে হইতেছে। তুমি একটু সাহায্য করবা?
ভাতের হাড়ির দিকে তাকিয়ে সোনিয়া আঁতকে উঠলো ওরে বাপরে এত বড় হাঁড়ির ভাতের মাড় গালতে আমি জীবনেও পারবো না। এসব কাজ আমি কোনদিন করিনি। আমার হাত পুড়ে যাবে আমি পারবো না।
মনোয়ারা একটা মাড় গালার স্ট্যান্ড দেখিয়ে মিনতি করে বললো বোন তুমি শুধু আমার সাথে ধরে এই খানে নামিয়ে দেও বাকিটা আমি করতেছি।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও সোনিয়া মনোয়ারার সাথে ধরে ভাতের হাঁড়িটা এগিয়ে দিলো। মনোয়ারা বেশ কষ্ট করে হাঁড়ি বাকিয়ে মাড় গালতে দিলো।
সোনিয়া ঘরে এসে মুখে উপটান মেখে পায়চারি করছে আর ভাবছে মনোয়ারা বাচ্চা পয়দা করলে আবার তার ঘাড়ে রান্নার কাজ আসবে না তো? অসম্ভব সে কিছুতেই এসব কাজ করবে না। হাঁড়িটা কত্ত ভারী ছিলো বাবারে বাবা দুইজন মিলে উঁচু করতে কষ্ট হয়েছে। রোজ তিন বেলা আগুনে পুড়ে চেহারা নষ্ট করে বাড়ি ভর্তি গরুর পালের মত মানুষের জন্য রান্না! তার ওপর গ্রাম গঞ্জের বাড়ি রোজ কেউ না কেউ আসতেই আছে আর থাল থাল গিলতেই আছে। সংসারের অন্য কাজ তো ছেড়েই দিলাম এত বড় উঠান ঝাঁট দিতেই এক ঘন্টা লাগে। এত মাইনসের থালা বাসন হাঁড়ি পাতিল মাঝা, কাপড় কাঁচা অসম্ভব। এসব কাজ সে কিছুতেই করবে না।
সোনিয়া এতদিনে খুব ভালো বুঝে গেছে তার শাশুড়ী জাহানারা যেমনি চালাক তেমনি কঞ্জুস ও। এত বড় বাড়ি একটা কাজের মানুষ রাখলে কি হয়। তা রাখবে না, সব ওই হাবা গন্ডমূর্খ মনোয়ারার ঘাড়ে চাপায়।
গরু ছাগল দেখাশোনার জন্য একজন রাখাল আছে সে গোয়ালঘর সামলায় কিন্তু কাজের জন্য কোন মানুষ রাখে না। ফসল ওঠার সময় যখন ১৫/২০ জন কামলা রাখা হয় সেই কয়দিনের জন্য ২ জন মহিলা রাখে। সবার খাবার রান্না করতে হয় বলে।
আগের দিন ওরা বলাবলি করছিলো মানুষ বাড়ছে একা মনোয়ারা পারে না একটা মানুষ রাখা জরুরী কিন্তু মহিলার টাল বাহানার শেষ নেই এই রাখছি, সেই রাখছি করে খালি। নিজে তো একটা কাজে হাত লাগায় না এখানে ব্যাথা ওখানে ব্যাথা করে।
সোনিয়া বেশ বুঝতে পারছে সে যদি একবার এসব কাজ করে মহিলা কোন না কোন বাহানায় তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। বড়লোকের মেয়ে বলে তাকে সবাই হুজুর হুজুর করে চলে। মাঝে মধ্যে তার বাবা পুকুরে মাছ বাজার সদাই করে পাঠান এতেই তারা গদগদ।
গাধা মইনুলটাও তেমন কিছু করে না যে আলাদা হবে কোন বাহানায়। অবশ্য এখানে সে আরামেই আছে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘোরে। কোন কাজে হাত দেওয়া লাগে না। খরচ ও কম। আলাদা হলে সংসারের দায়িত্ব খরচ সব বেশি। মইনুল ও বলে বাড়ির কোন অংশ ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না তাদেরই লস।
সোনিয়া চালাকি করে ব্যাগ গুছিয়ে রাখলো মইনুল ফিরলে সে যেকোন বাহানা দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাবে। তাকে বাঁধা দেবার সাধ্য কারো নাই। মইনুলও তার কথায় উঠে বসে। সব তার বশে আছে। কিছু দিন সেখানেই থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরবে।
বাচ্চা জন্মদিয়ে মনোয়ারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো। ঘুম থেকে জেগে চোখ মেলে সে দেখলো তার পাশে তার সদ্য জন্ম দেওয়া ফুটফুটে বাচ্চাটি ঘুমাচ্ছে। সে এদিক ওদিক তাকালো তার চোখ মায়াকে খুঁজছে।
মনোয়ারার ফুপু শাশুড়ী সে সময় ঘরে ঢুকলো মনোয়ারাকে দেখতে। মনোয়ারা বললো, আমার মায়া কোথায় ফুপুআম্মা।
ফুপু মুখ ভেছকে বললেন, চান্দের মতন বাচ্চা পাশে আর তুমার মন এখনো ওই কাইলা লেংড়ার ওপর পইড়া আছে।
মনোয়ারার চোখে পানি চলে আসলো। সে বললো ফুপু আম্মা মায়া বাচ্চা মানুষ তার তো কোন দোষ নাই সেও আমার নাড়ী ছেড়া ধন।
ফুপু বাঁধা দিয়ে বললেন হ বুঝছি বুঝছি জ্ঞান ঝাড়বা না। তুমার মাইয়া ভালোই আছে। রকিবের ঘরে ঘুমায়।
মনোয়ারা একটু ভরসা পেলো রকিবুল ছেলেটা খুব ভালো। বাড়ির অন্যদের সাথে তার স্বভাব মেলে না। সে মায়াকে খুব ভালোবাসে। মায়াবতী বলে ডাকে।
ফুপু বললেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাও যে এই মাইয়াডা সোন্দর হইছে। তা নাইলে এবারও যদি কালা মাইয়া পয়দা করতা তোমার নসিবে কি যে হইতো। পোলা পোলা কইরা সব পাগল। চান্দের মত মাইয়া দেইখা সবাই থামছে।
মনোয়ারা শিউরে উঠলো। মায়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে সে আসন্ন বিপদ টের পাচ্ছে। এই সুন্দর মেয়ের পাশে বাড়ির সকলের কাছে প্রতি নিয়ত মায়াকে হেনস্তা হতে হবে। মনোয়ারার বুক ফেটে আসছে চোখ বেয়ে অঝর ধারায় পানি পড়ছে। সে মনে মনে দোয়া করছে, আল্লাহ পাক আপনি আমার মায়াকে রক্ষা করুন।
চলবে
লেখাঃ এম আফরোজ রূপালী।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url