Utshober Bangladesh | Bushra | Mashrafe Mortaza | Dejan | Bangla New Mus...
Utshober Bangladesh | Bushra | Mashrafe Mortaza | Dejan | Bangla New Mus...
বিবাহিত মেয়েরা পরকীয়া করে কেন...???
স্ত্রীকে যৌন তৃপ্তি দিতে পারছে না সেইজন্য
বুঝি বিবাহিত নারীরা পরকীয়া করে।
আজ উপযুক্ত স্বামী থাকার পরও দেখতে পাই
বিবাহিত নারীরা অন্য পুরুষদের দিকে আকৃষ্ট
পরকীয়াতে আজ বিবাহিত নারীরাও জড়াচ্ছে।
অবিবাতি নারী পরকীয়ায় জড়াতেই পারে কারণ তার স্বামী নেই।
কিন্তু একটা বিবাহিত নারী উপযুক্ত স্বামী থাকার
পর কিভাবে পরকীয়ায় জড়াতে পারে,,,,,,,,,,,,,।আর সমাজে পরকীয়া করে যদি ছেলে মেয়ে ধরা পড়ে,,,একটা আংগুল ছেলের দিকে উঠে।আর বাকি চার আংগুল মেয়ের দিকে উঠে।
সমাজ আজ মেয়েদের দিকে আংগুল তুলছে বেশি বারো ভাতারি একটা স্বামী দিয়ে
হয়না,,,, বিভিন্ন রকম গালি দেয়া হয় মেয়েদের...!!!
আমাদের দিনাজপুরে দেখেছিলাম একটা ভাবি পাশের বাড়ির একটা ছেলের সাথে
পরকীয়ায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে।স্বামী বেচারা
মেয়েটাকে হাতপা বেধে চামের জুতা খুলে
মেয়েটার গালে এতোই জোরে মারলো।
কানের পর্দা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুরু হলো।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার বউ
পরকীয়া করছে কেন...!
তার পিছনে কারণ কী,একবারো কি সেটা চিন্তা
করে দেখেছেন।শুধু তো চামের জুতা খুলে গালে
মেরে দিয়ে কানের পর্দা ফেটে দিলেন...
একবারো চিন্তা করলেন না, আমার কি কোন
ভুলের কারণে আমার স্ত্রী এই রাস্তা বেচে নিলো নাকি।
এ ভাই শুনেন শুধু স্ত্রীর গায়ে চড়ে পুরুষত্ব
দেখানোর নাম স্বামী না
হ্যা ভাই আমি স্বীকার করছি আপনি একজন
সক্ষম পুরুষ।
আপনার স্ত্রী ক্লান্ত হয়ে যায়,তবুও আপনি ক্লান্ত
হননা।তবু্ও আপনার স্ত্রী নিজের জিব্বায় কামড় দিয়ে আপনাকে শরীরিক তৃপ্তি দিচ্ছে আনন্দ
দিচ্ছে।
এমন একটা সক্ষম স্বামী থাকার পরও কেন বিবাহিত নারীটা পরকীয়ার রাস্তা ধরে নিলো।
ধরে নিয়েছি আপনি যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম।
কিন্তু একবারো কি ভেবে দেখেছেন
তাকে মানসিক তৃপ্তি কতটুকু দিয়েছেন।
তার মন কি আপনি ছুয়ে দেখতে পেরেছেন,
আপনি স্বামী, আপনি তার মনের শহরে
ভালোবাসার ঘর বাধতে পেরেছেন।
তার মনের ছোট্ট ঘরে গিয়ে ঘুরে আসুন না।,,,, কতো এলোমেলো অগোছালো ঘর হয়ে আছে।
কিসের কারণে মনের ঘরটা এতো এলোমেলো
চাইলেই আপনি তার ঘরটা সাজিয়ে দিতে
পারেন।তার ছোট ঘরে একবার প্রবেশ
করে দেখুন,কি যেন একটা নেই ওই ঘরে...!!!
আপনি সারাদিন অফিসে কাজ করেছেন
আপনার স্ত্রী বাড়িতে ছিলো সারাদিন।
বাসায় এসেছেন আপনি, আপনার স্ত্রী
আপনার হাতের ব্যাগ এবং জুতা গুলো
খুলে নিলো।
আপনি ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসেছেন
আপনার স্ত্রী আপনাকে খাবার দিয়ে
আপনার খাওয়া দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে।
কই আপনিতো একবারো বললেন না
কি গো তুমি খেয়েছো কিনা, এসো তোমাকে
একটু খাইয়ে দিই।
যদি তার মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দিতেন।
লক্ষ টাকার জিনিস পেলে যতোনা খুশি
হতো। তার চেয়ে বেশি খুশি হতো এক এক লোকমা
খাবার তুলে দিলে।
আপনার স্ত্রী যখন আবদার করেছে প্লিজ একটু
খাইয়ে দেবে।কিনতু আপনি সেই মহুর্তে বলে দিলেন,,, তুমি কি বাচ্চা মানুষ যে তোমাকে খাইয়ে
দিতে হবে।
আপনি বিকালবেলা অফিসে কাজ সেরে
বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতেছেন।
আপনার স্ত্রী চার দেয়ালের ভিতরে থাকে
কখনো বাড়ির ছাদের উপরে উঠে
একটু হেটে বেড়ায়,আবার ফুলের গাছ গুলোতে
হাত দিয়ে একটু টাস করছে।
একটা গোলাপ ছিড়ে নিয়ে গোলাপ ফুলটা
একটা একটা গোলাপের পৃষ্ঠা গুলো ছিড়তেছে।
চোখের পলক যেন আর পড়ছেনা
কোথায় যেন আপন ধান্দায় তাকিয়ে আছে।
আবার কখনো জানালার গ্রিল ধরে
বাহিরের দিকে এক পলকে দৃষ্টি গ্রচর করে আছে,,
আপনি কী কখনো বলেছেন এই শুনোনা কালকে তো আমার অফিস ছুটি,
কালতে তোমাকে একটু ঘুরতে নিয়ে যাবো।
কোনদিনও বলেন নি।
বরং আপনার স্ত্রী যদি বলতো একটু ঘুরতে নিয়ে
চলো।কিন্তু না,,, বরং আপনি বলেছেন তুমি কী ছোট বাচ্চা যে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো।
আপনার স্ত্রী রাত্রিবেলা ভয় পায়
আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরে মাথাটা বুকে
রেখে একটু শান্তির নিশ্বাস ফেলতে যাবে।
তখনে আপনি তার চুলের মুটি ধরে
বুক থেকে তার মাথা সরিয়ে দিয়ে বললেন
এসব ঢং বাদ দাও।
কি করছেন আপনি তার সাথে, রান্নায় লবণ কম হয়েছে বলে তাকে অকাট্য ভাষায় গালি দিলেন।
কখনো কি একবারো তার নরম হাতটা ধরে
চুমু দিয়েছেন বলেছেন,, কি গো তোমার হাতে
রান্না এতো সুন্দর কেন।
যদি ভালো না হলেও যদি বললেন সুন্দর
সারাজীবন আপনাকে রেধে খাওয়াতো ক্লান্ত
হতোনা।
আপনাকে রেখে খাওয়াতে গিয়ে গরম তেল
মেয়েটির হাতে পড়েছে।
খুব জ্বালা যন্ত্রনা করছে,আপনি যদি ওই
ক্ষত জায়গায় ফু দিতে যদি একটা চুমু দিতেন
বিশ্বাস করেন তার কাছে গরম তেলে হাত পুড়িয়ে
যাওয়ার যন্ত্রনা থাকত না।
বরং তা করেন নাই,বলেছেন অকর্মার ঢেকি
হয়েছো নাকি। দেখে কাজ করতে পারোনা।
সে বালিশের ওইদিকে মুখ বুজে কান্না করেছে
আপনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন।
আপনি কিন্তু দেখতে পাননি আপনার স্ত্রীর কান্না
বুঝতেও পারেন নি, সে কান্না করেছিলো।
কেন কান্না করছে জানেন,, আপনি তাকে অবহেলা
করতেছেন।সে ভাবছে আগে কত ভালোবাসত
এখন আর তাকে ভালোভাবে কথা বলা তো দূরের
কথা। বরং আপনি তার মুখটা দেখলেই যেন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছেন।
সব সময় তাকে কর্কশ ভাসায় কথা বলছেন..!!!
আপনি তাকে যৌন তৃপ্তি দিতে পারেন ঠিকই
কিন্তু মনের তৃপ্তি দিতে আপনি ব্যার্থ...!!!
আপনি স্বামী হয়েছেন সাত বছর সংসার
করেও তার মন এখনো ছুয়ে দেখতে পারেন নি।
শরীর ছুয়ে দেখা পুরুষত্ব না,মন ছুয়োটাই আসল
পুরুষত্ব।শরীর তো ধর্ষক ও ছুতে পারে.....!!!
এই অবহেলিত নারীকে যদি অন্য পুরুষ
প্রেমের গল্প সোনায়। মেয়েটা ওর প্রতি দূর্বল হয়ে
যাবে এটাই স্বভাবিক।
একটা বার চিন্তা করে দেখুন যার সাথে আপনার
স্ত্রী পরকীয়া করছে।
তার কি এমন জিনিস আছে যা আমার মধ্যে নাই
নিশ্চয় কোন কোমতি আছে।হয়তো বা আমি
স্বামী হয়েও স্ত্রীর হক আদায়ে ব্যার্থ।তাই আমার স্ত্রী
অন্য পর পুরুষের সাথে পরকীয়া করে.
চিন্তা করে দেখুন উত্তর পেয়ে যাবেন....!!!
দ্বিতীয় কথা হলো একটা মেয়েকে গুনাহের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় কিছু পুরুষেরা।
ইনবক্সে আপু আপু বলে ভাইয়ের দরদ দেখিয়ে
এক সময় মেয়েটাকেই পরকীয়ার প্রস্তাব দিয়ে
ফেলে।কেন ভাই তোর তো নিজের ঘরে বোন আছে।নিজের বোনটাকে এতো আপু আপু বলে ডাকিস না।অন্য একটা মেয়েকে এতো আপুর ডাকার মতলব টা কী...!!!
পরকীয়া শুধু এক তরফায় হয় না,কোন মেয়ে একটা পুরুষের প্রতি এমনি দূর্বল হয়না
তাকে দূর্বল করানো হয়,আর দূর্বল করায়
আপনার আমার মতো পুরুষ গুলো....!!!!
তারপরও এই সমাজ মেয়েকেই দোষি করে বেশি।
তৃতীয় কথা হলো মেয়েরা পরকীয়া করার আরেকটা কারণ।স্ত্রীকে একা রেখে বাহিরে দীর্ঘদিন থাকা।
এটা উচিত না,,, আমরা কোন হাদিসে পাইনি
যে স্ত্রীকে একা রেখে বাহিরে দীর্ঘদিন থাকা যাবে
আপনি সারা জীবন বিদেশ থাকেন পারলে স্ত্রীকে সাথে করে নিয়ে যান।শুধু একটা মাসের জন্য বিয়ে করে নিয়ে কি লাভ হলো।বাকি দশ বছর যদি একাই থাকা লাগে।
আল্লাহর নবী দূরে কোথাও সফরে গেলে
তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যেতেন,
মা আয়েশা কে সাথে নিয়ে যেতেন।
স্ত্রীকে রেখে আল্লাহর নবী দূরে দীর্ঘদিন থেকেছে
এমন কোন বর্ণনা নবীর জীবনীতে আমি পাইনি।
হাদিসে পাইনি,
আল্লাহ প্রতিটা স্বামীকে তার স্ত্রীর মন বুঝার
তৌফিক দান করুণ
আমীন