Kamli - Full Song | Dhoom:3 | Katrina Kaif | Aamir Khan | Sunidhi Chauhan | Pritam
Kamli - Full Song | Dhoom:3 | Katrina Kaif | Aamir Khan | Sunidhi Chauhan | Pritam
আমি শাওয়ার নেওয়ার জন্য ওয়াশরুম এ আসছি।এই ছেলেটারে ধরে পিটাইতে মন চায়।এত্ত রাতে শাওয়ার নেওয়া কত্তটা কষ্টের ও বুঝবে কি?মনে মনে আরো কয়েকশ গালি দিচ্ছি আর শাড়ি খুলে রাখছি ।কারণ এই শাড়ি ভেজাতে বারণ করছে।আমি টাওয়াল পরেই শাওয়ার নিতে লাগলাম।(তৃষা)
অনেকক্ষন হল ওয়াশরুম এ গেছে।মানে বাসর রাত কি পুরো সেখানেই করে আসবে তাও আমাকে ছাড়া!
এই তৃষা জলদি বের হয়ে আস। এত্তক্ষণ লাগে শাওয়ার নিতে?(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য ওয়াশরুম এর গেটে বারি দিয়ে)
কি সমস্যা!(তৃষা গেটের কাছে এসে)
গেট খোল এখনি বের হবে তুমি।(তামিম রাগি সুরে)
আমার শাওয়ার শেষ হলে বের হয়ে আসব প্যারা নিও না চিল কর।(তৃষা ভাব নিয়ে)
চিল করতে পারব না জলদি বের হোও। (তামিম আবার গেটে বারি মেরে)
আমি মাত্র শাওয়ার নিতে শুরু করছি আরো এক ঘন্টা লাগবে ওয়েট কর।(তৃষা মুচকি হেসে)
তৃষার বাচ্চি জলদি বের হতে বলছি তো।এখন বের হবা নাহলে গেট ভেঙ্গে ফেলব।(তামিম আবার গেটে বারি মেরে)
উফফ জ্বালা। বের হচ্ছি।
কি আর করার জলদি শাওয়ার শেষ করে আবার শাড়ি পড়তে নিলাম। কিন্তু ফুটা কপাল আমার শাড়ি পানির বালতির উপর পরে ভিজে গেল। এখন কি করি এই অবস্হাতে বের হবো কিভাবে?এই দিকে ও তাড়া দিচ্ছে। তাই ভেজা শাড়ি শরীরে পেচিয়ে বেরিয়ে আসছি।(তৃষা)
কি এত্তক্ষণ লাগে শাওয়ার নিতে?(তামিম তৃষাকে জড়িয়ে)এই তোমার শাড়ি ভেজা কেন?এমন করে পেচিয়ে আসছ কেন ভেজা শাড়ি?(তামিম তৃষাকে ছেড়ে দাড়িয়ে)
আসলে শাড়ি নেওয়ার সময় পানি ভর্তি বালতির উপর পড়ছিল তাই ভিজে গেছে।(তৃষা মাথা নীচু করে)
তাহলে এটা আবার পরে আসছ কেন?(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য)
তুমি এইতো বলছ এই শাড়িতেই থাকতে।(ঠোঁট উল্টে তৃষা)
কি আমার বাধ্য বউ রে।এখন পুরো খুলে থাকতে বললে তাও থাকবে নাকি?(তামিম তৃষার কানে আস্তে করে)
যাওতো। (তৃষা তামিম কে সরিয়ে মুখ ঘুরিয়ে)
এত্ত লজ্জা পাওয়ার কি আছে আমি এইতো।(তামিম তৃষাকে পেছনের থেকে জড়িয়ে ধরে)
আমি এইবার পুরো ফ্রিজড হয়ে গেলাম ওর ছোয়াতে।ওর হাত গুলো আমার পেটে বিচরণ করছে।আর ওর ঠোঁট গুলো আমার ঘাড়ে।ওর কাজে আমি নড়তে ভুলে গেলাম। ও যখন আস্তে করে আমার ভেজা শাড়ি সরিয়ে দিতে লাগল আমি ঘুরে ওর দিকে তাকালাম। ও আমার ঠোঁটের দিকেই তাকিয়ে আছে।
আমার ঘুম পাচ্ছে। (তৃষা তামিম এর উদ্দেশ্য)
হুম। (নেষা ভরা কন্ঠে তামিম)
আমার ঘুম পাচ্ছে। (তৃষা ঠোঁট উল্টে)
আমি ওর ঠোঁট উল্টানো দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না ওকে টেনে আমার সাথে জড়িয়ে ওর ঠোঁট জোরা নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিলাম।আমার হাত জোরা ওর পিঠে এবং চুলে বিচরণ করতে ব্যস্ত।ও এখন ও শকড হয়ে চোখ বড় করেই তাকিয়ে আছে।কোন রেসপন্স করছে না।তাই আমার একটু রাগ হল কিস গুলো কামরে পরিণত হতে থাকল। এইবার ও ওর হাত দিয়ে আমার পিট খামচে ধরেছে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য। আমি ওকে একটু ছেড়ে ।
আমার কিস এর রেসপন্স কর নাহলে কি করব তোমার তা ভাবতেও পারবেনা।(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য)
বাজে লোক কোথাকার।
আর বলতে পারলাম না ও আবার আমাকে আকড়ে ধরেছে।এইবার ও আমার পুরো মুখে ও গলাতে চুমু দিতে লাগল। (তৃষা মনে মনে)
I WANT YOU (তামিম তৃষার উদ্দেশ্য)
আমি নিশ্চুপ এই থাকলাম।এতে ওর মন খারাপ হল ও আমাকে ছেড়ে বারান্দার দিকে চলে গেল। ওমা এটা কি হল!এখন ও আমাকে কাছে চাইছে আমি কি প্রথম এই লাফাতে লাফাতে বলব যে আমি আছি।আজিব পাবলিক। কি আর করা ও একটু রাগ করে বারান্দায় থাকুক আমি চেঞ্জ করে নেই।লাগেজ থেকে একটা সুতি শাড়ি বের করে পড়ে নিলাম। তারপর আস্তে আস্তে বারান্দার দিকে অগ্রসর হলাম।গিয়ে দেখি বারান্দার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে।আমি ফুরুত করে ওর আর গ্রিল এর মাঝে ঢুকে পড়লাম।ও আমার দিকে তাকিয়ে আবার বাইরের দিকে তাকাল।তবে সরে দাড়ালো না।
কি বাইরে কি ?সামনে এত্ত কিউট বউ চোখে পরে না!(তামিম এর গালে হাত দিয়ে তৃষা)
কি চাই বল?(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য)
জদি বলি তোমাকে চাই দিবে?(তৃষা তামিম এর আরে সামনে এসে)
না।তুমি কে যে তোমাকে দিব?(ভাব নিয়ে তামিম)
আমি কে জানো না?(তৃষা তামিম এর কানে আস্তে করে)
নাতো।কে আপনি?(তামিম ব্রু কুচকে)
আমি তোর ওয়াইফ সালা ফাজিল লোক অনেক জ্বালাতন করেছিস এই জীবনে।কিন্ত কিছু বলতে পারিনাই।আজকে আমি নিশ্চিন্ত তাই বেটা তোরে পেটাই, আদর করি,রাগ করি তাও আমার এই থাকবি।মনে মনে এসব ভাবলেও ওকে বলতে পারলাম না।
আমি তোমার ওয়াইফ বুঝছ হাবি?(তামিম এর গলা জড়িয়ে তৃষা)
তাই না তাহলে একটু আগে যখন বললাম আমার তোমাকে চাই তখন চুপ ছিলা কেন?(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য)
সব কথা বলে বুঝাতে হবে কেন?তুমি কি বাচ্চা?(তৃষা রাগি সুরে)
তোমার এত্ত সাহস আমার সাথে উচু গলায় কথা বল।ওয়েট এন্ড ওয়াচ ওয়াইফি।
বলতে বলতেই ওকে কোলে তুলে নিলাম এবং রুমের ভেতর আসতে নিলাম।কিন্ত হঠাৎই ওর পা গেটের সাথে একটু বারি খেয়ে গেল। ও আস্তে উফফ করে উঠল। আমি ওকে নিয়ে খাটে বসিয়ে দেখি পা একটু ছিলে গেছে।আমি একটা ঔষধ এনে ওর পায়ে দিতে গেলাম। (তামিম)
আরে কি কর পায়ে হাত দিও না আমার গুনাহ হবে।(তৃষা পা সরিয়ে)
এসব কি কথা ?তোমার অসুস্থতার সময় আমি তোমার পা ধরে সারাদিন বসলেও গুনাহ হবেনা।আর একটু ঔষধ লাগালে গুনাহ হবে।শোন ওয়াইফি তুমি আমার অস্তিত্ব।তোমার পুরোটাই আমার তাই পায়ে হাত দিলে তোমার কোন গুনাহ হবেনা।তাই পা বের করো ঔষধ লাগিয়ে দেই।(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য)
আমি লাগাই।(তামিম এর হাত ধরে তৃষা)
আমি লাগাব বলছি মানে আমি এই লাগাব।
বলেই ওর পা টেনে ঔষধ লাগিয়ে দিলাম। একটা ওয়ান টাইম বেনডেড ও লাগিয়ে দিয়েছি।তারপর ওর পাশে বসে ওর হাত দুটো টেনে আমার পাশে টেনে এনেছি ওকে।
ওয়াইফি একটা কথা বলবা?(তামিম তৃষার চোখের দিকে তাকিয়ে)
জিজ্ঞেস কর?(তৃষা তামিম এর উদ্দেশ্য)
আমাকে কত্ত বছর আগের থেকে ভালোবাস?(তামিম তৃষার আরেকটু কাছে গিয়ে)
সাত বছর দুইমাস পনের দিন আগের থেকে।ফেসবুক এ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর দিন থেকেই পছন্দ করতাম।তারপর তোমার সাথে মেসেজ এ কথা,রংপুর গিয়ে ঘুরা ড্যান্স প্রেকটিস এর পর তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্ত!(তৃষা হঠাৎই চুপ করে)
আমাকে আর ইতিজাকে দেখে দূরে সরে গেছিলে।আর সেইজন্য ইতিজার বিয়েতে যাওনি এবং আমাকে ফেসবুক এ ব্লোক করে দিয়েছিলে?(তামিম তৃষার উদ্দেশ্য )
হুম। (তৃষা আস্তে করে)
আমি ওর কথা শুনে ওর আরেকটু কাছে গিয়ে ওর গালে,কপালে,নাকে,গলাতে এবং পরিশেষে ওর ঠোঁট জোরাতে আমার ভালোবাসার পরশ আকতে শুরু করলাম। এইবার আর কোন বাধা নেই।ও আর আমি আমাদের ভালোবাসার জগৎ কে উপভোগ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।ওকে জদিও আমার ফেমেলির পছন্দে বিয়ে করেছি।কিন্ত দুপুর এ কবুল বলার পর থেকে ওর প্রতি আলাদা টান অনুভব করছিলাম। তারপর ওর মুখে যখন শুনলাম আমি ওর অনেক সাধনার ফল সেই সময় থেকেই ওর প্রতি আমি দূর্বল হতে শুরু করলাম। (তামিম মনে মনে)
(এখন অনেক এর প্রশ্ন থাকতে পারে ভালোবাসা জন্ম নেওয়ার আগেই স্বামী স্ত্রী এর সম্পর্ক গড়া ঠিক হয়নি।এটা সত্যি ঘটনার অবলম্বন এ।আর বিয়ের পর স্বামী তার ওয়াইফ কে শুধু গল্প আর ড্রামা তেই টাইম দেয়।আগে বন্ধু হব তারপর প্রেম হবে তারপর আরো কাহিনী হবে তারপর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আগে বাড়বে।কিন্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই ভাল সম্পর্ক স্থাপন না হলে ভালোবাসা হয় বলে মনে হয়না।)